একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৩১ জানুয়ারি)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

সম্পর্কিত খবর

পুলিশের ৮২ কর্মকর্তা ওএসডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পুলিশের ৮২ কর্মকর্তা ওএসডি
সংগৃহীত ছবি

এক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) পুলিশের ৮২ কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে প্রজ্ঞাপনে ওএসডির কারণ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

ওএসডি হওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি আবদুল আলীম মাহমুদ এবং ১৩ উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ৪৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি ও ১৯ জন পুলিশ সুপার পদের কর্মকর্তা রয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানায়, এই ৮২ জন কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মন্তব্য

‘জনতাই বৈধতা’ লিখে কী বার্তা দিলেন নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘জনতাই বৈধতা’ লিখে কী বার্তা দিলেন নাহিদ
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা থেকে সদ্য পদত্যাগ করা নাহিদ ইসলাম ‘জনতাই বৈধতা’ লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি এ কথা লিখেছেন।

হাজারো ছাত্র-জনতার মাঝে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছবি পোস্ট করে ‘জনতাই বৈধতা’ বার্তাটি শুধু একটি বার্তা নয়, বরং একটি বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অনেকে।

নাহিদের পোস্টে জান্নাতুল বুশরা নামের একজন বলেছেন, জনতার আস্থার যে পতাকা নাহিদ ভাই তুলতে যাচ্ছেন, তা যেন সততা আর সাহসের প্রতীকে পরিণত হয়।

দেশ ও মানুষের অধিকার রক্ষার পথে তার প্রত্যাবর্তন ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনার আহ্বান। ইনকিলাব জিন্দাবাদ!

তাহসিন ইসলাম বলেছেন, নাহিদ! আপনি বাংলাদেশের ইতিহাসে কেবল এক দফার ঘোষক হিসেবে ইতিহাস তৈরি করেননি। সরকারি গাড়ি, বাংলো, ভিআইপি প্রটোকল, ক্ষমতা সব ছেড়ে জনতার কাতারে এসে আমাদের ৫৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য নজির তৈরি করলেন। জনগণের প্রয়োজনে, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে মন্ত্রিত্ব যে ছেড়ে দেওয়া যায় সেটাই প্রমাণ করলেন আজ।

মঙ্গলবার দুপুরে নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব তার পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এদিকে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগপত্র প্রকাশ্যে এসেছে।

এতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে আবেদন করেছেন নাহিদ ইসলাম।

পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমার সশ্রদ্ধ সালাম গ্রহণ করুন। প্রথমেই আমি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’

‘বৈষম্যহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আপনার নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে আমাকে সুযোগদানের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

গত ৮ আগস্ট শপথ নেওয়া উপদেষ্টা পরিষদে আমি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাই। নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আপনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালনে সদা সচেষ্ট থেকেছি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমার ছাত্র-জনতার কাতারে উপস্থিত থাকা উচিত মর্মে আমি মনে করি। ফলে আমি আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া সমীচীন মনে করছি।’

নাহিদ ইসলাম আরো লিখেছেন, ‘এমতাবস্থায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে মহোদয়কে সবিনয় অনুরোধ করছি।’

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দলের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। নতুন এই দলের আহ্বায়ক পদে দেখা যেতে পারে নাহিদ ইসলামকে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন নাহিদ ইসলাম। পরে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে উপদেষ্টা হন নাহিদ ইসলাম।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কেমন ছিল উপদেষ্টা নাহিদের পদত্যাগের মুহূর্ত, জানালেন প্রেসসচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেমন ছিল উপদেষ্টা নাহিদের পদত্যাগের মুহূর্ত, জানালেন প্রেসসচিব
ছবি : ফেসবুক

নতুন দলের দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘পদত্যাগের সময় যমুনায় নাহিদ ইসলামের স্ত্রী, বাবা-মা ও ছোট ভাই উপস্থিত ছিলেন। জুলাই বিপ্লবের শীর্ষ এই নেতা যখন তার পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করছিলেন তারা তখন নীরবে তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগাপ্লুত হয়ে নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে ধরেন। এরপর তিনি নাহিদ ও তার পরিবারের সঙ্গে ছবি তোলেন।

ছেলের জন্য দোয়া চান নাহিদের মা। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের সব সদস্যের সঙ্গে ছবি তোলেন নাহিদ।

তারা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন এবং একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।

প্রেসসচিব বলেন, ‘নাহিদের বাবা-মা যখন যমুনা ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন, তখন তার মা আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি বোধ হয় মনোযোগ দিয়ে সংবাদ দেখেন এবং তিনি আমাকে চেনেন!!!’

মন্তব্য

জোর করে পরিভাষা করা ঠিক নয় : আইনুন নিশাত

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
জোর করে পরিভাষা করা ঠিক নয় : আইনুন নিশাত
কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক কবি হাসান হাফিজের সঞ্চালনায় ‘আমি বাংলায় গান গাই’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কালের কণ্ঠের বিশেষ আয়োজন ‘আমি বাংলায় গান গাই’ অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, ‘জোর করে পরিভাষা করা ঠিক নয়। জোর করে প্রতিশব্দ করলে ভাষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজের সঞ্চালনায় আইনুন নিশাত আরো বলেন, ‘ষাটের দশকে আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখন শিক্ষকরা ইংরেজিতে কথা বলতেন। আমরাও ইংরেজিতে উত্তর দিতাম।

কিন্তু এখন আমার ধারণা, অধিকাংশ শিক্ষকই বাংলায় কথা বলেন। আমিও ক্লাসে বাংলায় কথা বলি। তবে আমি জোর করে ইংরেজি শব্দ-প্রতিশব্দ বানাতে চাই না। আমরা যখন ৫০-এর দশকে স্কুলে পড়তাম তখন কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বলতাম অম্লজান।
এটার প্রয়োজন নেই।’

মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রকৌশলবিদ্যায় আমরা কেন উচ্চতর শিক্ষা নিতে পারছি না? হাসান হাফিজের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বাংলায় পড়ানোতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে যে বই লেখা হবে সেখানে পরিভাষাটা জোর করে না করে ইংরেজি শব্দটা ইংরেজিতে রাখলেই চলে। তাহলে পরবর্তীতে পড়াশোনার ব্যাপারে কোনো অসুবিধা হয় না।

যেমন আমি জাপানের ডাক্তারি বই দেখেছি, যা জাপানি ভাষায় লেখা। কিন্তু ওই বইয়ের মধ্যে টেকনিক্যাল টার্মগুলো ইংরেজিতে লেখা। আর সংখ্যাগুলো অ্যারাবিক স্টাইলে লেখা। এভাবে ডাক্তারি ভাষায় আমরা ফুসফুসকে ইংরেজিতে বলি। এ ছাড়াও ব্লাড প্রেসার বিষয়টি সঙ্গে আমরা পরিচিত।

এই শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ করতে গেলেই জটিলতা। তাই জোর করে প্রতিশব্দ করাটা বন্ধ করতে হবে।  

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে কাজ করি। এই শব্দটির থেকে জলবায়ু পরিবর্তন বলতে আমার কোনো অসুবিধা নেই। তাই শিক্ষকদের বাংলায় কথা বলা সহজ, শিক্ষার্থীদেরও বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হয়।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ