যে নামেই হোক কোনো রাজনৈতিক দলের বিদেশি কোনো শাখা থাকতে পারবে না, এমন বিধান আনার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও শ্রমিক সংগঠন, ভাতৃপ্রতীম বা যেকোনো নামেই হউক না কেন, না থাকার বিধান করার করার সুপারিশ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেওয়া ১৮৪ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রস্তাবনায় এমন সুপারিশ করেছে কমিশন।
আরো পড়ুন
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার আটক
সুপারিশগুলো হলো- ১. নতুন দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিলের লক্ষ্যে ১০ শতাংশ জেলা এবং ৫ শতাংশ উপজেলা/থানায় দলের অফিস এবং ন্যূনতম ৫ হাজার সদস্য থাকার বিধান করা।
২. দলের সব সদস্যের তালিকা প্রস্তুত ও তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।
৩. আরপিওর ১২ ধারার অধীনে সংসদ সদস্য পদের জন্য অযোগ্য ব্যক্তিদের কোনো নিবন্ধিত দলের সাধারণ সদস্য/কমিটির সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা।
৪. আইসিটি আইনে সাজাপ্রাপ্ত সব ব্যক্তিকে কোনো দলের সাধারণ সদস্য/কমিটির সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা।
৫. আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ৯(১) ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হলে সেসব ব্যক্তিকে কোনো নিবন্ধিত দলের সাধারণ সদস্য/কমিটির সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা।
৬. দলের সদস্যদের গোপন ভোটে দলের স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল কমিটি নির্বাচিত করা।
৭. দলের সদস্যদের গোপন ভোটে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তিনজনের একটি প্যানেল তৈরি এবং তা থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের বিধান করা।
৮. দলের সদস্যদের চাঁদা ন্যূনতম ১০০ টাকা ও কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদান হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা নেওয়ার বিধান করা। এ অনুদান ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রহণের বাধ্যবাধকতা প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ট্যাক্স রিটার্নে প্রদর্শনের বিধান করা।
আরো পড়ুন
কুমিরের পিঠে বসে চা পান তরুণীর, ভাইরাল ছবির বিষয়ে যা জানা গেল
৯. দলের তহবিল ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে বিদ্যমান ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিবন্ধিত দল কর্তৃক বাৎসরিকভাবে দাখিলকৃত অডিটেড আয় ও ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা এবং নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা। একইসঙ্গে কমিশন কর্তৃক অডিটেড হিসাব নিরীক্ষণের বিধান করা।
১০. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর আওতাভুক্ত করা।
১১. দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও শ্রমিক সংগঠন, ভাতৃপ্রতীম বা যেকোনো নামেই হউক না কেন, না থাকার বিধান করা।
১২. দলের, যে নামেই হউক না কেন, বিদেশি শাখা না থাকার বিধান করা।
১৩. দলের সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের সংশ্লিষ্ট দলের তিন বছরের সদস্য পদ থাকা বাধ্যতামূলক করা।
১৪. প্রতি ৫ বছর পর পর দল নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করা।
১৫. পর পর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন বাতিলের বিধান বাতিল করা।
কমিশনের সুপারিশ দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।