জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর সহিংস ঘটনার স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ ‘আন্দোলনের ছবি’ ওয়েবসাইটে আপলোডের আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। গত ৯ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে স্যোশাল মাধ্যমে নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। যারা ছবি-ভিডিও পাঠাবেন তারা সাইবার সুরক্ষা পাবেন কিনা এমন সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
জুলাই আন্দোলনের ছবি-ভিডিও আহ্বান, নিরাপত্তা ইস্যুতে যা বলল পুলিশ
অনলাইন ডেস্ক

তাই বিষয়টি আজ শনিবার বাংলাদেশ পুলিশ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে খোলাসা করেছে। ওই স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, আন্দোলনের ছবি (https://andolonerchobi.police.gov.bd) নামক প্লাটফর্মে বিভিন্ন ব্যক্তির নিজস্ব মোবাইল কিংবা ক্যামেরায় সরাসরি ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র জমা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই ফুটেজগুলো জুলাই আগস্টের গণ আন্দোলনের প্রামাণ্য দলিল। বিভিন্ন ব্যক্তিগত মোবাইল কিংবা ক্যামেরায় সরাসরি ধারণকৃত ফুটেজ বা স্থিরচিত্র এই আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য।
আরও বলা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) এর ব্যবহার করা হচ্ছে এই প্লাটফর্মে। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো যেন শুধু বাংলাদেশ থেকে এই প্লাটফর্মে ডাটা আপলোড করা যায়।
এর পাশাপাশি এই প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীরা নিজের আপলোডকৃত ডাটা যেন কেবল নিজে দেখতে পারেন তা নিশ্চিত করার জন্য ওটিপি ব্যবহার করা হবে। সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শুধু তথ্যের সুরক্ষা নয়, ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবেও বিভিন্ন সেক্টরে ওটিপির ব্যবহার রয়েছে যা বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিনিয়ত ব্যবহার হচ্ছে। তাই ওটিপির ব্যবহার নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সম্পর্কিত খবর

রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
অনলাইন ডেস্ক

‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।’
গানটি বেজে উঠলেই ছেলে-বুড়ো সবার মন দুলে ওঠে আনন্দে। প্রায় এক শ বছর ধরে বাঙালির ঈদ-আনন্দের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হয়ে আছে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা গানটি। এ গান বাজার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনের আঙিনায় বানের মতো হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে স্মৃতির লহর।
ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে টেলিভিশনে, রেডিওতে বাজতে শুরু করে গানটি। এ গান ছাড়া রমজানের ঈদ আমাদের অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সত্যি বলতে কী, গানটি ছাড়া বাঙালির ঈদুল ফিতরের কথা তো ভাবাই যায় না। এটি হয়ে উঠেছে আমাদের জাতীয় ঈদ-সংগীত।
আপামর বাঙালির মননে গেঁথে যাওয়া এই গানটি কাজী নজরুল লিখেছিলেন জনপ্রিয় শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদের অনুরোধে, ১৯৩১ সালে। গানটি লেখার পেছনে আছে অসাধারণ এক গল্প।
আব্বাসউদ্দীন আহমদের আত্মজীবনী ‘আমার শিল্পী জীবনের কথা’ থেকে জানা যায়, নজরুলের সঙ্গে আব্বাসউদ্দীনের ছিল বেশ সুসম্পর্ক। আব্বাসউদ্দিন বয়সে একটু ছোট হলেও দুজনের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতোই।
কাজী নজরুল ইসলাম তখন শ্যামাসংগীত লিখে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে তার লেখা কিছু গান রেকর্ড করেছেন আব্বাসউদ্দীনও। সেসবের মধ্যে অন্যতম ‘বেণুকার বনে কাঁদে বাতাস বিধুর’, ‘অনেক কিছু বলার যদি দুদিন আগে আসতে’, ‘গাঙে জোয়ার এল ফিরে তুমি এলে কই’, ‘বন্ধু আজও মনে পড়ে আম কুড়ানো খেলা’ ইত্যাদি।
এক রাতে রেকর্ডিং শেষে বাড়ি ফিরছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
এ প্রস্তাব পেয়ে নজরুল পড়ে গেলেন দোটানায়। কারণ বাজারে তখন শ্যামা সংগীতের মোটামুটি একচ্ছত্র আধিপত্য। স্বয়ং নজরুলও শ্যামা সংগীত লেখেন, সুর করেন। ইসলামী ধারার গানের বাজারই গড়ে ওঠেনি তখন। এই অবস্থায় স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কাজ করে সফল হতে না পারলে ক্যারিয়ারই বরবাদ হয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে ইসলামের সঙ্গেও যে নজরুলের আবেগ জড়িয়ে আছে! ইসলামকে তো তিনিও ভালোবাসেন। কিন্তু চাইলেই তো গান রেকর্ড করে ফেলা যায় না, সেজন্য লাগে সরঞ্জাম, লাগে লগ্নি। এসব বন্দোবস্তের জন্য ধরনা দিতে হবে গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেল-ইন-চার্জ ভগবতী ভট্টাচার্যের কাছে। তাই নজরুল বললেন, 'আব্বাস, তুমি ভগবতীবাবুকে বলে তাঁর মত নাও। আমি ঠিক বলতে পারব না।'
এবার আব্বাসউদ্দীন গেলেন গ্রামোফোন কম্পানির রিহার্সেল-ইনচার্জকে ভগবতী ভট্টাচার্যের কাছে। প্রস্তাব শুনে ভগবতী বাবু তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন। এককথায় মানা করে দিলেন ইসলামি ধারার গান করার প্রস্তাব। চলতি স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে গান করে ব্যবসায় লালবাতি জ্বালাতে রাজি না তিনি। অগত্যা মনের দুঃখ মনে চেপে চুপ মেরে গেলেন আব্বাসউদ্দীন।
এরপর প্রায় ছয় মাস পেরিয়ে গেল। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে একদিন দুপুরে। নিজের অফিস থেকে গ্রামোফোন কম্পানির রিহার্সেল ঘরে গেছেন আব্বাসউদ্দীন। গিয়ে দেখেন একটা ঘরে বেশ ফুরফুরে মেজাজে গল্প করছেন ভগবতীবাবু। তার খোশমেজাজ দেখে আব্বাসউদ্দীন ভাবলেন, এই তো সুবর্ণ সুযোগ।
আব্বাসউদ্দীন ঝটপট বলে ফেললেন, 'যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে বলি। সেই যে বলেছিলাম ইসলামি গান দেবার কথা, আচ্ছা, একটা এক্সপেরিমেন্টই করুন না, যদি বিক্রি না হয় আর নেবেন না, ক্ষতি কী?'
এত জনপ্রিয় শিল্পীকে এবার আর ফেরাতে পারলেন না ভগবত বাবু। হেসে বললেন, 'নেহাতই নাছোড়বান্দা আপনি, আচ্ছা আচ্ছা, করা যাবে।'
সেদিন আব্বাসউদ্দীনের ভাগ্য ছিল ভীষণ ভালো। ওখানে বসেই শুনলেন পাশের ঘরেই আছেন আছেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি তৎক্ষণাৎ গিয়ে নজরুলকে বললেন যে ভগবতবাবু রাজি হয়েছেন।
নজরুল তখন ইন্দুবালাকে গান শেখাচ্ছিলেন। খবর শুনে তিনি ইন্দুবালাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে গান লিখতে বসলেন আব্বাসউদ্দীনের জন্য। তার জন্য এক ঠোঙা পান আর চা আনিয়ে দিলেন আব্বাসউদ্দীন। তারপর দরজা বন্ধ করে আধ ঘণ্টার মধ্যেই নজরুল লিখে ফেললেন সেই বিখ্যাত গান—'ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ'।
লেখার সঙ্গে সঙ্গে সুরসংযোগ করে শিখিয়ে দিলেন আব্বাসউদ্দীনকে। পরদিন তাকে ঠিক একই সময় যেতে বললেন নজরুল। পরদিন তিনি লিখলেন: 'ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর'।
লেখার চারদিন পরে রেকর্ড করা হলো গান দুটো। তার দু-মাস পরে ঈদুল ফিতর। আব্বাসউদ্দীনকে বলা হলো, ঈদের সময় গান দুটো বাজারে বের হবে।
ঈদের ছুটিতে কলকাতা থেকে বাড়ি গেলেন আব্বাসউদ্দীন। বন্ধের সঙ্গে আরও বিশ-পঁচিশ দিন বাড়তি ছুটি নিয়েছিলেন। তাই নতুন ইসলামি গান কেমন চলল, তা জানার সুযোগ পাননি। তারপর ঈদে যে গানটি বাজারে ছাড়ার কথা রয়েছে, সে কথা ভুলেই গেলেন।
ঈদের ছুটি শেষে কলকাতা ফিরে এসে ট্রামে চড়ে অফিসে যাচ্ছেন আব্বাসউদ্দীন। হঠাৎ শুনলেন ট্রামে তার পাশে বসা এক যুবক গুনগুন করে গাইছে, 'ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে।'
শুনে একটু অবাকই হলেন আব্বাসউদ্দীন। এই যুবক এ গান শুনল কীভাবে? অফিস ছুটির পর গড়ের মাঠে বেড়াতে গিয়েও শোনেন মাঠে বসে একদল ছেলের মাঝে একটি ছেলে গেয়ে উঠল—'ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে।'
তখন আব্বাসউদ্দীনের মনে পড়ল এ গান তো ঈদের সময় বাজারে বের হবার কথা। সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলেন সেনোলা রেকর্ড কোম্পানীর বিভূতিদার দোকানে গেলাম। আব্বাসউদ্দীনকে দেখেই তাকে জড়িয়ে ধরলেন বিভূতিবাবু। সন্দেশ, রসগোল্লা, চা আনিয়ে খেতে দিলেন। আব্বাসউদ্দীনের গান দুটো আর আর্ট পেপারে ছাপানো তার বিরাট ছবির একটা বান্ডিল সামনে রেখে বললেন, 'বন্ধু-বান্ধবদের কাছে বিলি করে দিও। আমি প্রায় সত্তর আশী হাজার ছাপিয়েছি, ঈদের দিন এসব বিতরণ করেছি। আর এই দেখ দু'হাজার রেকর্ড এনেছি তোমার।'
এ কথা শুনে আনন্দে নেচে উঠল আব্বাসউদ্দীনের মন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটলেন কাজী নজরুলের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে শুনলেন নজরুল রিহার্সেল রুমে গেছেন। সটান সেখানে গিয়ে হাজির হলেন আব্বাসউদ্দীন। তার গলার স্বর শুনে লাফিয়ে উঠলেন দাবা খেলায় মগ্ন নজরুল। তাকে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললেন, 'আব্বাস তোমার গান কী যে—'
ওইটুকু কথাতেই বুঝিয়ে দিলেন, তাদের গান তোলপাড় ফেলে দিয়েছে বাজারে। বাংলার মুসলমানের ঘরে ঘরে বাজছে তাদের গান। আনন্দে চট করে নজরুলকে কদমবুসি করে ফেললেন আব্বাসউদ্দীন।
ওদিকে গানের সাফল্যে মহাখুশি ভগবতীবাবুও। এরপর একের পর এক ইসলামি ধারার গান লিখলেন নজরুল, গাইলেন আব্বাসউদ্দীন। নতুন জোয়ার এল বাংলা গানের ধারায়।
এভাবেই জন্ম হলো এক অবিস্মরণীয় গানের আর সেই গান হয়ে উঠল আমাদের ঈদ উদযাপনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। আমাদের সবার শৈশব-কৈশোরের ঈদ উদযাপনের রঙিন স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে গেল ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’ গানটি।

ফ্যাসিবাদের পতনে ঈদ আনন্দে স্বস্তি যোগ হয়েছে : মাহফুজ আলম
অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
আজ রবিবার এক শুভেচ্ছা বার্তায় উপদেষ্টা বলেন, ‘ঈদুল ফিতর আনন্দ, সহমর্মিতা, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির এক মহিমান্বিত বার্তা নিয়ে এসেছে। ঈদ হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি ভুলে মানুষকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা দেয়।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ায় মানুষের ঈদ-আনন্দের সঙ্গে এবারে এক ধরনের স্বস্তি যোগ হয়েছে।
উপদেষ্টা আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করেন।

বিডা চেয়ারম্যান
৩০ চীনা কম্পানির ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি মিলেছে
অনলাইন ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে দেশটির সরকার এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ পেয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি ডলারের বেশি হবে বিনিয়োগ।
রবিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চীনের ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রতিশ্রুতির কথা আমরা বলছি।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘এবার এই ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১ বিলিয়নের বেশি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি।
এবারের চীন সফরে স্বাস্থ্য সেবা একটা বড় বিষয় ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১২ শতাংশের মতো এসেছে অনুদান, যা প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মতো। এর মধ্যে ১৫০ মিলিয়ন ডলার কারিগরি সহায়তার জন্য এবং ১০০ মিলিয়ন হাসপাতাল তৈরির জন্য। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরি করা এবং বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য যে যাত্রা ভারত-থাইল্যান্ডের দিকে হয়, আমরা চেষ্টা করছি, যাতে চীন থেকে সেই সাপোর্ট পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, ‘চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়টি কিন্তু আমাদের জন্য বড় প্রভাব রেখেছে। আমরা অনেক দিন ধরে চীনের বিনিয়োগের কথা বলছি। চীনা বিনিয়োগের যে গুরুত্ব সেটা আমরা আবারও গিয়ে অনুধাবন করেছি। আমরা এই সুযোগ আসলে খুব কম গ্রহণ করেছি। চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা এখনো আছে কিন্তু খুব স্বল্প পরিসরে আছে। আমাদের আরো বেশি হারে চীনে যেতে হবে। চীন এমন একটি মহাদেশ, যেখান থেকে আমাদের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আসা সম্ভব। লাস্ট আগস্ট থেকে এই মার্চ পর্যন্ত ৩৪টি চীনা কম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ-বেপজাতে। এখানে আর্থিক প্রতিশ্রুতি প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় ইতিবাচক সাড়া চীনের
অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে চীন। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী বর্তমানে দেশটিতে পড়াশোনা করছেন। যা ভবিষ্যতে আরো সম্প্রসারিত হবে।
রবিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. খলিলুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০টি চমৎকার বর্ষ অতিক্রম করেছি আমরা। আগামী ৫০ বছর কেমন করে আমরা আমাদের দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলবো তার একটি শক্ত ভিত্তি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তৈরি করে দিয়েছেন।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, তার একটি দিক হচ্ছে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং অন্য দিকটা হচ্ছে শিল্পায়ন। এই দুটি স্তম্ভ তারা শক্ত করে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বলেছেন, আমরা এক-দুজন নয়; বরং হাজার হাজার বাংলাদেশি চাইছে, যারা চীনে শিক্ষা নিতে যাবেন। আগামী এপ্রিল মাসে কুনমিং শহরের গভর্নর বাংলাদেশে আসছেন।
এবারের চীন সফরে স্বাস্থ্য সেবা একটা বড় বিষয় ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১২ শতাংশের মতো এসেছে অনুদান, যা প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মতো।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।