এএমটিসি চুক্তি বন্দরের সক্ষমতা জোরদার করবে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এএমটিসি চুক্তি বন্দরের সক্ষমতা জোরদার করবে
সংগৃহীত ছবি

সমুদ্র পরিবহন সহযোগিতা (এএমটিসি) সংক্রান্ত বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) চুক্তি এই অঞ্চলে পণ্যের সহজ চলাচল ও পরিষেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, সমুদ্র নীতিমালার সমন্বয় সাধন করবে এবং শুল্ক পদ্ধতি সহজতর করবে। 

ঢাকায় সোমবার (৭ এপ্রিল) বিমসটেক দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এএমটিসি কার্যকর হওয়ায় বিমসটেক এখন নিরবচ্ছিন্ন সমুদ্র পরিবহণের জন্য একটি বিস্তৃত কাঠামো তৈরি করেছে, যার লক্ষ্য লজিস্টিক বাধা হ্রাস করা এবং অর্থনৈতিক সংহতি আরো গভীর করা।’

বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গত ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের একদিন আগে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা এই অঞ্চলে সামুদ্রিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ।

এই চুক্তির লক্ষ্য বাণিজ্য সুবিধার বাইরেও, বন্দর, শিপিং লাইন এবং উপকূলীয় লজিস্টিক হাবসহ গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা জোরদার করবে।

  

চুক্তিটি সামুদ্রিক নিরাপত্তা, টেকসই পরিবেশ, শিপিং প্রক্রিয়ার ডিজিটালাইজেশন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা উৎসাহিত করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিমসটেক নেতারা এএমটিসি স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা আঞ্চলিক সামুদ্রিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য সহজতর করা এবং বন্দর অবকাঠামো, অন্যান্য সুবিধা ও সংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

নেতারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

 

বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সাতটি দেশ- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে বিমসটেক গঠিত।

এ সাতটি দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, সংযোগ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, নিরাপত্তা ও বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ও উন্নয়নই সংস্থার মূল লক্ষ্য।

এই সহযোগিতার আটটি সাব-সেক্টরের মধ্যে রয়েছে সুনীল অর্থনীতি, পার্বত্য অর্থনীতি, জ্বালানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও পশুপালন, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মার্চে সড়কে ঝরেছে ৬০৪ প্রাণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মার্চে সড়কে ঝরেছে ৬০৪ প্রাণ

বিদায়ি মাস মার্চে ৫৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন। শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।

এতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৮৯ জন নারী ও শিশু রয়েছে ৯৭ জন। এ সময় ২৪২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় ২৩৪৩ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। 

আরো পড়ুন
পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৮২টি দুর্ঘটনায় ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন।

সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৪টি দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে বগুড়া জেলায় ২৭টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম নেত্রকোনা জেলায়। এই জেলায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি।
আর রাজধানী ঢাকায় ২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ৫৩ জন আহত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল ও তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোয় ঘটছে এসব দুর্ঘটনা। এ ছাড়া দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণেও।

আরো পড়ুন
পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

 

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশও করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এগুলো হলো- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক এবং যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়কপথের ওপর চাপ কমাতে হবে, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে, ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্তব্য

ফ্যাসিস্টের মোটিফে আগুন, তদন্ত কমিটি গঠন করল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ফ্যাসিস্টের মোটিফে আগুন, তদন্ত কমিটি গঠন করল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের বাংলা নববর্ষের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মোটিফ পোড়ানোর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায়’ প্রদর্শনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ কর্তৃক নির্মিত দানবীয় ফ্যাসিস্টের প্রতীকী মোটিফ পোড়ানোর ঘটনা তদন্তের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল এবং সহকারী প্রক্টর ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী। সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল প্রাং কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মোটিফ পুড়ে যায়। শুধু দুটি মোটিফে আগুন লাগার ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলে দাবি করছে ফায়ার সার্ভিস।


 

মন্তব্য

নববর্ষের মূল মোটিফে আগুন, যা দেখা গেল সিসিটিভি ফুটেজে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নববর্ষের মূল মোটিফে আগুন, যা দেখা গেল সিসিটিভি ফুটেজে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা মূল মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। 

নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বানানো মোটিফে এক ব্যক্তিকে আগুন দিতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।

আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

প্রক্টর বলেন, 'সিসিটিভি ফুটেজে একজন ব্যক্তিকে মোটিফে আগুন দিতে দেখা গেছে।

তিনি প্রথমে পর্দার আড়ালে প্রবেশ করেছেন। তারপর মোটিফে লিকুইড দিয়েছেন। তারপর আড়ালে এসে লাইটার জ্বালিয়ে ফায়ার টেস্ট করেছেন। পরে মোটিফে আগুন দিয়ে বেরিয়ে গেছেন।
যে গেট দিয়ে ঢুকেছিলেন, সে গেট দিয়েই বেরিয়ে গেছেন।'

মন্তব্য

পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করায় উমামাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সম্মাননা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীদের সাহসিকতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত সম্মাননা পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। উমামার সাহসী ভূমিকার জন্য তাকে এবার বিশেষ সম্মাননা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রমজান। 

গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে উমামাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। এ সময় উমামা ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন আনিকা তাহসিনা ও আয়শা সিদ্দিকা।

 

অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা সব সময় এমন পদক্ষেপ মনে রাখব। তা আমাদের শক্তি দেয় এবং শুধু ফিলিস্তিনিদের কাছেই নয়, বরং বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠায়। আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি এবং কষ্ট পাচ্ছি। তবে আমরা একা নই।

উমামা ফাতেমা বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণ যা সহ্য করছে তা অকল্পনীয়। তার তুলনায় পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার কাজ কিছুই নয়। একজন মানুষ হিসেবে আমি শুধু নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেছি। বাংলাদেশের ছাত্র হিসেবে আমরা প্রতিরোধ উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি এবং আমাদের সেই উত্তরাধিকার মেনে চলতে হবে।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ