স্ট্রোক একটি মারাত্মক রোগ। স্ট্রোকের অনেকগুলো কারণের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। স্ট্রোকের দ্বিতীয় কারণ এটি।
কারণ : স্ট্রোকের কারণগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
স্ট্রোক একটি মারাত্মক রোগ। স্ট্রোকের অনেকগুলো কারণের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। স্ট্রোকের দ্বিতীয় কারণ এটি।
কারণ : স্ট্রোকের কারণগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
* নন মডিফাইয়েবল বা পরিবর্তন করা যায় না—স্ট্রোকের এমন কিছু কারণ থাকে যেগুলো পরিবর্তন করা আমাদের হাতে নেই। যেমন—বয়স, পুরুষ মানুষ, রেস ও জেনেটিক কিছু ব্যাপার স্যাপার।
* মডিফাইয়েবল বা পরিবর্তন করা যায়—এমন কারণগুলোর মধ্যে আছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের আধিক্য, ধূমপান, অ্যালকোহল পান, মাদক সেবন, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল সেবন, ইনফেকশন, স্থূলতা, হার্টের রোগ এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন ইত্যাদি।
উচ্চ রক্তচাপ : রক্তচাপ হলো রক্তনালির মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচলের সময় তা রক্তনালির গায়ে এক ধরনের প্রেসার বা চাপ প্রয়োগ করে।
স্বাভাবিক পূর্ণ বয়স্ক মানুষের রক্তচাপ সিস্টোলিক ১২০ মিলিমিটার মার্কারি ও ডায়াস্টোলিক ৮০ মিলিমিটার মার্কারি, যাকে লেখা হয় ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি।
স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপ : প্রায় ৫৪ শতাংশ স্ট্রোকের কারণ কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের স্ট্রোক করার ঝুঁকি নরমাল রক্তচাপের মানুষের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, সিস্টোলিক রক্তচাপ ২ মিলি মার্কারি বাড়লে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ১০ শতাংশ। কাজেই উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
স্ট্রোক প্রতিরোধে তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। স্ট্রোক হওয়ার পর স্ট্রোকের হার বেশি। কাজেই বারবার স্ট্রোক যেন না হয় সে জন্য স্ট্রোকের কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একবার স্ট্রোকের পর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না করলে ঝুঁকি কিন্তু অনেক বেড়ে যায়। গবেষণার দেখা গেছে ১৩০/৮০ নিচে রক্তচাপ রাখলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। যদি কিডনির রোগ থাকে তাহলে রক্তচাপ ১২০/৮০ নিচে রাখতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু
সহকারী অধ্যাপক
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস
সম্পর্কিত খবর
সুইসাইড ডিজিজ। নাম শুনলে মনে হতে পারে হয়তো কোনো মানসিক রোগ। মানসিক অবসাদের ফলে বারবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করার মতো। তবে বিষয়টা মোটেও তেমন নয়।
এই রোগে আক্রান্ত হলে মুখের এক পাশে শুরু হয় তীব্র ব্যথা। যা কখনো কখনো রীতিমতো অসহনীয় হয়ে ওঠে।
প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজের সময়ই ব্যথা শুরু হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
কী হয় এই রোগের প্রভাবে
মুখের স্বাভাবিকতার জন্য যেসব স্নায়ু কাজ করে, তারই একটি হলো ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু। কোনো কারণে এই স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি হলে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। হয়তো একটি ধমনি ওই স্নায়ুকে বেশ চেপে রাখে।
কেন এই স্নায়ুর ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট কোনো জীবনপদ্ধতি এর জন্য দায়ী নয়। যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়।
কী করবেন
ঘরোয়া চিকিৎসায় এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ ধরনের ওষুধ। জীবনধারায় কোনো পরিবর্তন এনে রোগের তীব্রতা কমানো সম্ভব হয় না। সুস্থ থাকতে তাই ওষুধ সেবন ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। মনে রাখবেন এটা এক ধরনের স্নায়ু জনিত রোগ। তাই ফেলে না রেখে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা
মাত্র সতেরো বছর বয়স। অথচ এই সময়ে দিনরাত কেশে যাচ্ছে। আবার কখনো কখনো শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। কাশির কারণ জানতে ঘন ঘন চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘পপকর্ন লাংস’ রোগটিকে ‘ব্রঙ্কিওলাইটিস অবলিটেরানস’ বলা হয়। ফুসফুসের বিরল রোগটি ‘পপকর্ন লাংস’ নামে পরিচিতির কারণ হচ্ছে, পপকর্ন মাইক্রোওয়েভে তৈরির সময় ডায়াসিটাইল নামে একটি রাসায়নিক নির্গত হয়। ওই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুসের সংক্রমণ হয়।
পপকর্ন ফুসফুসের লক্ষণ ও উপসর্গ
‘ব্রঙ্কিওলাইটিস ওব্লিটারানস’ (বিও) বা পপকর্ন ফুসফুসের উপসর্গ যেমন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, বমিভাব, দুর্বলতা ও শ্বাসকষ্ট, এগুলো যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তাই দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ভেপিংয়ের ফলে সৃষ্ট লাইপয়েড নিউমোনিয়া সাধারণ নিউমোনিয়া থেকে আলাদা।
এই রোগ হলে একজন ব্যক্তি ক্রমাগত কাশি, শ্বাস নিতে অসুবিধা এবং কাশি থেকে রক্ত বা রক্তযুক্ত শ্লেষ্মার মতো লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। নিউমোথোরাক্স, বা ফুসফুসের ক্ষতি তখনই ঘটে যখন ফুসফুসে একটি ছিদ্র থাকে, যা অক্সিজেনকে বেরিয়ে যেতে দেয়। ধূমপান ও ভেপিং এক্ষেত্রে ভীষণ ক্ষতিকর।
হার্ভার্ড হেলথের মতে, পপকর্ন ফুসফুসের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, এবং কাশি যা হাঁপানি বা ঠান্ডা লাগার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এই রোগের দ্রুত নির্ণয় জরুরি।
কিভাবে এলো এই রোগ
আমেরিকার নেভাডার বাসিন্দা ব্রায়ান কালেন। ১৪ বছর বয়স থেকে সে ই-সিগারেটের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তার ফলে প্রায় প্রতিদিনই সে ব্যাটারিচালিত যন্ত্রের সাহায্যে ভেপার নিত। ভেপিংয়ের ফলে অ্যাসিটালডিহাইড নামে এক যৌগ তার ফুসফুসে প্রবেশ করত। তার ফলে ক্ষতি হয়েছে ফুসফুসের। সে কারণে এমন বিরল রোগে কিশোরী আক্রান্ত হয়েছে বলেই জানা গেছে।
ফাইবার বা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এই ব্যাটারিচালিত ই-সিগারেটের মধ্যে একটি প্রকোষ্ঠ থাকে। তার মধ্যে ভরা থাকে বিশেষ ধরনের তরল মিশ্রণ। যন্ত্রটি গরম হয়ে ওই তরলের বাষ্পীভবন ঘটায় এবং ব্যবহারকারী সেই বাষ্প টেনে নেন ফুসফুসে। এই পদ্ধতিকে বলে ‘ভেপিং’। এই বাষ্পেই মিশে থাকে অ্যাসিটালডিহাইড নামে এক ধরনের যৌগ, যা ফুসফুস ছারখার করে দেয়। ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণের (ই-লিকুইড) মধ্যে থাকে প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার এবং নিকোটিন, যা ফুসফুসের ক্যানসারের কারণও হয়ে উঠতে পারে।
বলে রাখা ভালো, এর আগে ওই কিশোরী করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিল। সে সময় চিকিৎসক তাকে ই-সিগারেট ছাড়তে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে সে পরামর্শ কানে নেয়নি। সে কারণেই সম্ভবত অতি দ্রুত ফুসফুসের সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করে বলেই দাবি চিকিৎসকদের। তাদের ধারণা, গত তিন বছর ধরেই নীরবে ফুসফুসে বাসা বেঁধেছিল এই বিরল রোগ। এটি কারো কারো ক্ষেত্রে প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। তাই চিকিৎসকদের মতে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধূমপানের মতো কুঅভ্যাস ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
ঝুঁকি কাদের
ডায়াসিটাইল বা অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিকের আশেপাশে থাকা ব্যক্তিরা, যাদের ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বা শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ রয়েছে এবং যাদের অটোইমিউন রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই এই রোগের ঝুঁকি বেশি।
কখনো কখনো রাসায়নিক এক্সপোজার বা অটোইমিউন রোগসহ বিভিন্ন কারণে ফুসফুসের প্রদাহ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছোট শ্বাসনালীকে ক্ষতি করে, যা পপকর্ন ফুসফুসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রোগ নির্ণয়
পপকর্ন ফুসফুসের চিকিৎসা
সূত্র : আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরো ২২ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩ জন রয়েছে।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ২ হাজার ৭৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৬২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ শতাংশ নারী।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছে ৫৭৫ জন।
প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান নিয়ে প্রকৃতিতে যেমন পাথর তৈরি হচ্ছে, তেমনই মানবদেহের উপাদান ও খনিজ দিয়ে আমাদের শরীরের কয়েকটি অঙ্গে পাথর তৈরি হতে পারে। সাম্প্রতিক ধারণা হলো, প্রস্রাবে দ্রব অত্যধিক ঘন হলে পাথরের কণা বা ক্রিস্টাল তৈরি হয়। এ অবস্থা সৃষ্টি হয় যদি শরীর থেকে প্রতিনিয়ত পানি কমে যায়। কিভাবে বুঝবেন যে আপনার কিডনিতে পাথর হয়েছে—তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।
কিডনিতে পাথরের লক্ষণ
কিডনির পাথরগুলো মূত্রনালীতে প্রবেশের আগে বোঝা যায় না। যে নালীগুলো আপনার কিডনি ও মূত্রাশয়কে সংযুক্ত করে সেগুলোতে যদি পাথরগুলো আটকে যায়, তখন সেটি প্রস্রাবের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এর ফলে কিডনি বড় হতে পারে এবং মূত্রনালীতে খিঁচুনি হতে পারে, উভয়ই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে।
কিডনি পাথর মূত্রনালীর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় যে ব্যথা অনুভূত হয় তা পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত হওয়া বা তীব্রতা বেড়ে যাওয়া।
কিডনিতে পাথরের চিকিৎসা
কিডনিতে পাথরের চিকিৎসা পাথরের ধরন ও কারণের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
ন্যূনতম উপসর্গসহ ছোট পাথর
তরল গ্রহণ বাড়ান : প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে সাড়ে ৩ লিটার পানি পান করুন।
ব্যথা উপশম ব্যবহার করুন : মূত্রনালী দিয়ে ছোট পাথর পাস হওয়া অস্বস্তিকর হতে পারে। হালকা ব্যথা উপশম করার জন্য চিকিৎসক আইবুপ্রোফেন (অ্যাডভিল, মট্রিন আইবি) বা নেপ্রোক্সেন সোডিয়ামের (আলেভ) মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথা উপশমকারীর পরামর্শ দিতে পারেন।
চিকিৎসা থেরাপি : চিকিৎসক আপনার কিডনি পাথরের উত্তরণ সহজতর করার জন্য ওষুধ লিখে দিতে পারেন।
বড় পাথর ও বেশি উপসর্গ
এক্সট্রাকর্পোরিয়াল শক ওয়েভ লিথোট্রিপসি (ESWL)
এই চিকিৎসা কিডনি পাথর ভেঙ্গে শব্দ তরঙ্গ তৈরি করে। আকার ও অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট ধরনের পাথরের জন্য এটি সুপারিশ করা হয়। ESWL শক ওয়েভ তৈরি করে, যা পাথরকে ছোট ছোট টুকরো করে দেয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়।
পদ্ধতিটি ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট স্থায়ী হয়। এতে অবসাদ বা হালকা অ্যানেশেসিয়া থাকতে পারে। সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রস্রাবে রক্ত, ক্ষত ও পাথরের টুকরো মূত্রনালীর মধ্য দিয়ে যাওয়ার কারণে অস্বস্তি। এ ছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে।
কিডনিতে পাথর নির্ণয়
চিকিৎসক যদি মনে করেন যে আপনার কিডনিতে পাথর আছে, তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিত ডায়াগনস্টিক পরীক্ষাগুলো করতে বলতে পারেন—
রক্ত পরীক্ষা : রক্ত পরীক্ষার ফলে আপনার রক্তে ক্যালশিয়াম বা ইউরিক এসিডের অতিরিক্ত পরিমাণ রয়েছে কি না বোঝা যাবে। রক্ত পরীক্ষার ফলাফল কিডনির স্বাস্থ্য নিরীক্ষণ করতে সাহায্য করে এবং অন্য চিকিৎসার প্রয়োজন থাকলে তাও জানা যেতে পারে।
প্রস্রাব পরীক্ষা : ২৪-ঘণ্টার প্রস্রাব সংগ্রহের পরীক্ষাটি প্রকাশ করতে পারে যে আপনি হয় অনেক বেশি পাথর-গঠনকারী খনিজ নিঃসরণ করছেন বা পর্যাপ্ত পাথর প্রতিরোধকারী রাসায়নিক নেই। এই পরীক্ষার জন্য পরপর দুই দিনে দুটি প্রস্রাবের নমুনা সংগ্রহ করার পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসক।
ইমেজিং : মূত্রনালীর ইমেজিং পরীক্ষা কিডনিতে পাথর প্রকাশ করতে পারে। এমনকি ছোট পাথর উচ্চ-গতি বা দ্বৈত-শক্তি কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফি (সিটি) ব্যবহার করে সনাক্ত করা যেতে পারে।
কিডনিতে পাথর বা কিডনিতে কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পাশাপাশি একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শও নিতে পারেন। যিনি আপনাকে একটি খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারেন। যার ফলে আপনার কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
সূত্র : কেয়ার হসপিটাল