ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ শাবান ১৪৪৬

সামান্য জ্বর-সর্দিতেই অ্যান্টিবায়োটিক? হতে পারে যে বিপদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সামান্য জ্বর-সর্দিতেই অ্যান্টিবায়োটিক? হতে পারে যে বিপদ
সংগৃহীত ছবি

জ্বর-সর্দি বা পেট খারাপ হলেই ফার্মেসি থেকে যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাওয়া হচ্ছে। শুধু নিজেই খাচ্ছেন না, বাড়ির শিশুদের চিকিৎসায়ও অহরহ দিচ্ছেন এই অ্যান্টিবায়োটিক। আর তাতে কী বিপদ হতে যাচ্ছে, তা টের পাচ্ছেন না বেশির ভাগই।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে নবজাতক মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো, শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা রেজিস্ট্যান্স তৈরি হওয়া।

যার পিছনে রয়েছে অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ।

অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগের কুপ্রভাব যে কেমন তা জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদনে। সংস্থাটি জানিয়েছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অল্প সময়ের ব্যবধানে এত ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে রোগ সারানোর চেষ্টা হিতে বিপরীত হচ্ছে। পরিণামে বাড়ছে দুর্ভোগ।

নিরাময়যোগ্য অসুখও চেনা ওষুধে সারছে না।

আরো পড়ুন
শীতে প্রোটিনের অভাবে হতে পারে যে ক্ষতি

শীতে প্রোটিনের অভাবে হতে পারে যে ক্ষতি

 

সাধারণত মৌসুম বদলের সময়ে জ্বর-সর্দিকাশিতে বেশি ভোগে শিশুরা। বেশির ভাগ জ্বরের কারণই ভাইরাস। সাধারণভাবে ভাইরাস শরীরে ১৪ দিনের বেশি কখনোই থাকে না।

কিন্তু ভাইরাসঘটিত অসুখেও অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে শিশুকে। ব্যাক্টেরিয়াঘটিত অসুখ সারাতেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ হয়। কাজেই অসুখ কী কারণে হয়েছে তা না জেনে ওষুধ খাইয়ে দেওয়ার এই প্রবণতাই বিপদ ডেকে আনছে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, যত খুশি যেমন খুশি অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে প্রবেশ করিয়ে এর আসল কার্যকারিতাই নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। খোলা বাজারে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি চলছে।

এর জেরে ওষুধ কেনার জন্য কোনো রকম বাধা-নিষেধই নেই। ফলে ইচ্ছেমতো ওষুধ কিনে খাওয়ার উপায় রয়েছে। এ ছাড়া ওষুধ কিনলেও পুরো কোর্স শেষ করেন না বেশির ভাগই। অসুখ ভালো হলেই ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ফলে শরীরে প্রবেশ করা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে জীবাণুগুলো কিছু দিন ঝিমিয়ে গেলেও কয়েক দিন পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

আরো পড়ুন
শীতে যে তেলের মালিশ করলে শিশুর পেশি হবে শক্তিশালী

শীতে যে তেলের মালিশ করলে শিশুর পেশি হবে শক্তিশালী

 

তেল মালিশ

এর ফলে কোনো কোনো ব্যাক্টেরিয়া তার চরিত্র বদলে আরো সংক্রামক হয়ে ওঠে, যা অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে। 
এসব সমস্যার জন্য ভীষণ জরুরি অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর নির্ভরতা কমানো। কোন পর্যায়ে রোগীকে কী অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে, তার সুনির্দিষ্ট নীতিকে বলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রোটোকল। তা মেনে চলতেই হবে। আর চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে কোনোরকম ওষুধ খাওয়াই উচিত হবে না।

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করবেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

শরীরের হাড়সহ বিভিন্ন অঙ্গ এবং দাঁত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে ক্যালসিয়াম। মানুষ স্বাভাবিকভাবে মনে করেন ক্যালসিয়ামের কাজ শুধুই শরীরের হাড় মজবুত করা। কিন্তু আসলে দেহের নানা কার্যকারিতা পূরণ করে ক্যালসিয়াম। ব্লাড ক্লটিং, মাসল কন্ট্রাকশন, স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে ক্যালসিয়াম।

মানব দেহের প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম সংরক্ষিত থাকে হাড় ও দাঁতে। বাকি ১ শতাংশ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় রক্ত ও কলাকোষে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। যার জেরে অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি শুধু হাড় দুর্বলই করে দেয় না, সেই সঙ্গে মস্তিষ্ককেও দুর্বল করে দেয়। যার ফলে পেশি দুর্বল হয়, মানসিক চাপ বাড়ে, মাথা ঘোরায় এবং হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিভাবে বুঝবেন

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক থেকে জানানো হয়েছে, কারো ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে সবার আগে তার পেশিতে যন্ত্রণা হতে শুরু করে। এমনকি পায়ে ক্র্যাম্পও দেখা দিতে থাকে।

সেই সঙ্গে ত্বকও শুষ্ক হতে শুরু করে। আর নখ দুর্বল হয়ে দ্রুত ভেঙে যেতে থাকে। এর পাশাপাশি চুলও দুর্বল হয়ে মোটা হয়ে যায়।

আরো পড়ুন
যেভাবে সুজি খেলে কমবে ওজন

যেভাবে সুজি খেলে কমবে ওজন

 

এই উপসর্গগুলো সম্পর্কে সচেতন না হলে এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিন্তু স্নায়ুকে দুর্বল করে দিতে থাকে। যার ফলে মন সব সময় বিভ্রান্ত থাকে।

স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে শুরু করে। মনে অস্থিরতা দেখা দেয়। মেজাজ খারাপ হয়ে যায় এবং মানসিক অবসাদ দেখা দেয়।

পরিস্থিতি কখনো কখনো এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মানুষ কল্পজগতে বাস করতে শুরু করে। এরপরেও যদি চিকিৎসা না করানো হয় অথবা ক্যালসিয়াম দেহে প্রবেশ না করে, তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে যেতে পারে। তারপর থেকে জিভ, ঠোঁট, আঙুল ও পা কাঁপতে শুরু করে। প্রায় সময়ই পেশিতে ক্র্যাম্প দেখা দেয় এবং দেহের বিভিন্ন অংশে ফোলাভাবও তৈরি হয়। যার ফলে হার্ট রেট অনিয়মিত হয়ে যায় এবং খিঁচুনি উঠতে শুরু করে। ফলে যেকোনো সময় হার্ট ফেলিওর পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন
উচ্চ রক্তচাপ কমানো ছাড়াও আরো যে উপকার করে বরই

উচ্চ রক্তচাপ কমানো ছাড়াও আরো যে উপকার করে বরই

 

ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণ

সবার আগে ডায়েটের মধ্যে যদি ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, তাহলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এরপরে সবথেকে বড় কারণ হলো ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি। সূর্যের আলো থেকেই মূলত আমরা ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। যদি শরীরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না লাগে, তাহলে তার ফলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

আসলে শরীরে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে ক্যালসিয়ামও তৈরি হবে না। শরীরে ভিটামিন ডি থাকলে তা ক্যালসিয়ামকে শোষণ করে এবং রক্তের মাধ্যমে সারা দেহে ছড়িয়ে দেয়। ঘাড়ের কাছে একটি গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি থাকে, যাকে প্যারাথাইরয়েড হরমোন বলা হয়। সেই গ্রন্থিতে সমস্যা থাকলেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। কারো যদি কিডনি বিকল হয়ে যায়, তাহলেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। কোনো উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

আরো পড়ুন
যে ভিটামিনের অভাবে অকালে চুল পাকে

যে ভিটামিনের অভাবে অকালে চুল পাকে

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সীমান্তবিহীন চিকিৎসকদলের সেবা পেল ৭৭ হাজার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সীমান্তবিহীন চিকিৎসকদলের সেবা পেল ৭৭ হাজার মানুষ
সৌজন্য ছবি

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরভিত্তিক বিভিন্ন সহিংসতায় আহত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষকে সেবা দিয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা মানবিক সংস্থা মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স তথা সীমান্তবিহীন চিকিৎসকদল (এমএসএফ)।

দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে এখানে সেবা দিয়ে আসছে সংস্থাটি। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১০ সাল থেকে এমএসএফ কামরাঙ্গীরচরে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে।

২০১৩ সালে শিশু অপুষ্টি থেকে কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য (এসআরএইচ), যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা (এসজিবিভি) থেকে বেঁচে ফেরাদের যত্ন এবং কারখানার শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য (ওএইচ) পরিষেবা শুরু হয়। গতকাল স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাছে পরিষেবাগুলো স্থানান্তর করে চিকিৎসা কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

জানা গেছে, আলীনগর এবং মাদবর বাজারে ক্লিনিক পরিচালনার পাশাপাশি কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালকে সহায়তা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং অনানুষ্ঠানিক কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার উন্নত ও পেশাগত স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আউটরিচ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এমএসএফ।

কামরাঙ্গীরচরে এমএসএফের মেডিকেল টিম লিডার ক্রিস্টাবেল মাইয়েনগা বলেন, ‘গত ১০ বছরে কামরাঙ্গীরচরে স্বাস্থ্য কর্মসূচি সীমিত অধিকার এবং সুরক্ষাসহ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কর্মরত ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৪ বছরের কম বয়সী প্রায় ১ হাজার শিশু রয়েছে।

১১ হাজার ২৯৫ জন সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ সেবাও প্রদান করেছে সংস্থাটি।’

এমএসএফ কামরাঙ্গীরচর হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী ক্রিস্টফ ফ্রিডল বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরে এমএসএফের উপস্থিতি শেষ হলেও আমরা আশা করি অন্যান্য সংস্থাগুলো যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতায় থেকে বেঁচে ফেরাদের যত্ন এবং পেশাগত স্বাস্থ্যসেবার বিদ্যমান ঘাটতি পূরণে এগিয়ে আসবে, আমাদের ভিত্তির ওপর নির্ভর করে এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য ব্যাপক সেবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে।’

এমএসএফ যখন কামরাঙ্গীরচরের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন প্রকল্পটি কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সহায়তা অব্যাহত রাখতে একটি ‘বেসিক ইমার্জেন্সি অবস্টেট্রিক অ্যান্ড নিউবর্ন কেয়ার (বিইএমওএনসি)’ চালু করতে সহায়তা করে, লজিস্টিক এবং সামান্য মানবসম্পদ সহায়তা প্রদান করে এবং অবশেষে হাসপাতালের জন্য একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তৈরি করে।

এই বিশেষ সহায়তা প্রজনন স্বাস্থ্য (এসআরএইচ) থেকে রোগীদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে।

৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সহায়তা প্রদান করা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

কামরাঙ্গীরচরের দ্রুত নগরায়ণ, অতিরিক্ত ভিড়, অপর্যাপ্ত সরকারি অবকাঠামো, পরিবেশ দূষণ এবং এর বিশাল অভিবাসী জনগোষ্ঠীর দুর্বলতা প্রায়শই শোষিত এবং মৌলিক সেবাগ্রহণে সীমিত সুযোগ সম্প্রদায়ের উন্নত স্বাস্থ্যসেবার গ্রহণ কার্যক্রমকে ক্রমাগত চাপের মধ্যে রাখে।

মন্তব্য

‘ভিটামিন ডি’-এর অভাবে হতে পারে যেসব রোগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘ভিটামিন ডি’-এর অভাবে হতে পারে যেসব রোগ
সংগৃহীত ছবি

শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হচ্ছে ভিটামিন ডি। হাড়ের বিকাশ ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভিটামিন ডি প্রয়োজন। শরীরে এই ভিটামিন যথেষ্ট পরিমাণে না থাকলে ঘাটতি দেখা দেয়। যদি ত্বক পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না পায়, তবে শরীরের এটি শোষণ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।

এ ছাড়া যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার না খেলে, ভিটামিন ডি-এর অভাবে আরো নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন ডি একটি। এটি রক্ত ও হাড়ের ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং হাড়ের গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন ডি-এর অভাবের লক্ষণ

প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অভাব প্রায়শই সনাক্ত করা যায় না।

তবে কিছু উপসর্গ এর অভাবের লক্ষণ হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, হাড়ের ব্যথা, পেশি দুর্বলতা, পেশি ব্যথা বা ক্র্যাম্প, মেজাজের পরিবর্তন, যেমন বিষণ্নতা।

আরো পড়ুন
যেভাবে সুজি খেলে কমবে ওজন

যেভাবে সুজি খেলে কমবে ওজন

 

শিশুদের ভিটামিন ডি-এর অভাবের লক্ষণ

শিশুদের ভিটামিন ডি-এর মারাত্মক অভাব রিকেটের কারণ হতে পারে। বাচ্চাদের রিকেট হলে তাদের হাড় বাঁকা বা পেঁচিয়ে যায়।

যার কারণে তাদের সঠিকভাবে বিকাশ হয় না। পেশি দুর্বলতা এবং হাড়ের ব্যথাও এর লক্ষণ।

কিভাবে শরীরে ভিটামিন ডি বাড়াবেন

সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। সর্বোত্তম উৎস হলো ত্বক সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আনা। ভৌগোলিক অবস্থান আপনাকে সূর্যের আলো থেকে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পেতে বাধা দিতে পারে।

এ ছাড়া পুষ্টিগুণ ও পরিপূরকসমৃদ্ধ ভালো খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটানো যায়।

আরো পড়ুন
যে ভিটামিনের অভাবে অকালে চুল পাকে

যে ভিটামিনের অভাবে অকালে চুল পাকে

 

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতে কী হতে পারে

সিস্টিক ফাইব্রোসিস, ক্রোহন ডিজিজ এবং সিলিয়াক ডিজিজ ভিটামিন ডি-এর অভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ শর্তগুলো আপনার অস্ত্রকে পরিপূরকের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি শোষণ করতে বাধা দিতে পারে।

যে কারো বডি মাস ইনডেক্স ৩০-এর বেশি হলে ভিটামিন ডি-এর অভাবের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। ফ্যাট কোষ ভিটামিন ডি সঞ্চয় করে যাতে এটি নির্গত না হয়। স্কুলতার জন্য শরীরে ভিটামিন ডি-এর স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখতে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টের উচ্চ মাত্রা প্রয়োজন।

কিডনি ও লিভারের রোগ কিছু নির্দিষ্ট এনজাইমের পরিমাণ হ্রাস করে। তাই আপনার শরীরের ভিটামিন ডি-কে এমন একটি ফর্মে রূপান্তর করতে হবে যার ফলে এসব এনজাইম বৃদ্ধি পাবে। এই এনজাইমের যেকোনো একটির ঘাটতি আপনার শরীরে সক্রিয় ভিটামিন ডি হ্রাস করতে পারে।

আরো পড়ুন
যে ভিটামিনের অভাবে মেজাজ থাকে খিটখিটে

যে ভিটামিনের অভাবে মেজাজ থাকে খিটখিটে

 

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

ডায়াবেটিস না থাকলেও যে কারণে সতর্ক থাকবেন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিস না থাকলেও যে কারণে সতর্ক থাকবেন
সংগৃহীত ছবি

বর্তমানে সারা বিশ্বে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ডায়াবেটিস। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও এই রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো এর হাত থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য প্রি-ডায়াবেটিস পর্যায়ে সাবধান হতে হবে।

ডায়াবেটিস হওয়ার আগের পর্যায় হচ্ছে প্রি-ডায়াবেটিস পর্যায়। এই পর্যায়ে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যায়, কিন্তু ডায়াবেটিসের পর্যায়ে পৌঁছায় না। এমন পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।

প্রি-ডায়াবিটিসের লক্ষণ

  • ঘন ঘন তৃষ্ণার্ত বোধ করা।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
  • চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।
  • ঘ ঘন ক্লান্তি বোধ করা।
  • আরো পড়ুন
    মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা

    মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা

     

    প্রি-ডায়াবেটিস কেন হয়

    • শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকলে প্রি-ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • স্থূলতার কারণে প্রি-ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
  • উচ্চ রক্তচাপ প্রি-ডায়াবেটিসকে উসকানি দিতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়েও এই রোগ আসতে পারে।
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম প্রি-ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।
  • ভালো কোলেস্টেরল কমে গেলে প্রি-ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।
  • উচ্চ খারাপ কোলেস্টেরল আবার প্রি-ডায়াবেটিসকে উসকানি দিতে পারে।
  • পরিবারে কারো সুগার বা ডায়াবেটিস থাকলেও সাবধান।
  • কিভাবে প্রি-ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করবেন

    রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিভাবে প্রি-ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক—

    আরো পড়ুন
    ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেলে হতে পারে যে ক্ষতি

    ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেলে হতে পারে যে ক্ষতি

     

    নিয়মিত ব্যায়াম করুন

    ব্যায়াম ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। তাই নিয়মিত জোরে জোরে হাঁটা, জগিং, দৌড়, যোগব্যায়াম, ধ্যান, কার্ডিও ইত্যাদির মতো ব্যায়াম করুন।

    স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

    কার্বোহাইড্রেট ও চিনি সরাসরি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। একই সঙ্গে, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং কমাতে সাহায্য করে। চিনির মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকা উচিত।

    ওজন হ্রাস

    টাইপ-২ ডায়াবেটিস থাকলে স্থূলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিএমআই বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রি-ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। স্থূলতার কারণে পেশি ও অন্যান্য টিস্যু তাদের নিজস্ব ইনসুলিন হরমোনের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে ওঠে।এরপর অতিরিক্ত ওজন স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ায়।

    আরো পড়ুন
    ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

    ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

     

    সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও ওজন কমানোর মাধ্যমে প্রি-ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

    সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ