একেক ঋতুতে একেক ধরনের ফল আসে। একেক ফলের পুষ্টিগুণ একেক রকম। কথায় আছে, খালি পেটে জল এবং ভরা পেটে ফল। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ, প্রত্যেকেই বলেন, প্রতিদিন অত্যন্ত একটি করে মৌসুমি ফল খাওয়া উচিত।
একেক ঋতুতে একেক ধরনের ফল আসে। একেক ফলের পুষ্টিগুণ একেক রকম। কথায় আছে, খালি পেটে জল এবং ভরা পেটে ফল। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ, প্রত্যেকেই বলেন, প্রতিদিন অত্যন্ত একটি করে মৌসুমি ফল খাওয়া উচিত।
ভিটামিন এ, বি, সি থেকে শুরু করে ই এবং ক্যালসিয়াম, আয়রন থেকে শুরু করে পটাসিয়াম পর্যন্ত, ফল শরীরকে অনেক পুষ্টি সরবরাহ করে। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
প্রায় সব ফলের নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে এবং এগুলো থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কখন এবং কিভাবে ফল খাবেন, তাও জানা উচিত, তবেই শরীর পূর্ণ উপকার পেতে পারে।
অনেকেই ফল খেয়ে পানি খেয়ে নেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাস অত্যন্ত খারাপ। এতে শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। ফল খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পানি খেলে কী কী ক্ষতি হয়, চলুন জেনে নিই—
হজমে সমস্যা
ফল খাওয়ার পরপরই যদি পানি পান করেন, তাহলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং বদহজম, এসিডিটি, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
পিএইচ স্তরে ব্যাঘাত
ফল খেলে এবং তার পরপরই পানি পান করলে শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে শরীরের পিএইচ স্তরের অবনতি হতে পারে। কিছু ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, তাই যখন আপনি তাৎক্ষণিকভাবে পানি পান করেন, তখন অতিরিক্ত পানির কারণে বমি হতে পারে।
রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে
ফল খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং এটি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের মনে রাখা উচিত যে ফল খাওয়ার পরপরই পানি পান করা উচিত নয়।
সর্দি-কাশি সমস্যা
ফল খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে শরীরে কফের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে কাশি, সর্দি ও গলা ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় আপনি নিশ্চয়ই বড়দের বলতে শুনেছেন যে ফল খাওয়ার পর পানি পান করলে কাশি শুরু হবে। খাবারের আধ ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া উচিত এবং সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করাও এড়িয়ে চলা উচিত।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা
সম্পর্কিত খবর
চুইংগাম চিবিয়ে মুখের স্বাদ পরিবর্তনের অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। এ ছাড়া মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও অনেকে চুইংগাম চিবিয়ে থাকেন। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিটি চুইংগামে শত শত মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে, যা চিবানোর মাধ্যমে সরাসরি মানবদেহে প্রবেশ করে।
গবেষণায় যা উঠে এলো
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় ৭টি ভিন্ন ব্র্যান্ডের চুইংগাম পরীক্ষা করা হয়। গবেষকরা জানিয়েছেন, মাত্র এক গ্রাম চুইংগাম চিবালেই গড়ে ১০০টি মাইক্রোপ্লাস্টিক নির্গত হয়।
গবেষকদের মতে, যদি কেউ বছরে ১৮০টি চুইংগাম খান, তাহলে প্রায় ৩০হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক গিলে ফেলেন, যা শরীরের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।
চুইংগামে কিভাবে মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ চুইংগাম সিন্থেটিক গাম থেকে তৈরি।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, গামভিত্তিক উপাদান বলতে প্রায়ই প্লাস্টিক বোঝানো হয়। যদিও এটি প্যাকেজিংয়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না।
মানবদেহে মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব
গবেষণায় বলা হয়েছে, ইতোমধ্যেই মানুষের ফুসফুস, রক্ত ও মস্তিষ্কে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যদিও এখনো এর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির বিষয়ে নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, প্লাস্টিকের উপস্থিতি শরীরে জটিলতা তৈরি করতে পারে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষকে ভয় দেখানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে নিয়মিতভাবে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা নিরাপদ, তা স্পষ্ট নয়।
বিকল্প কী
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, প্লাস্টিকভিত্তিক চুইংগামের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি চুইংগাম বেছে নেওয়া ভালো। পাশাপাশি চুইংগাম চিবানোর পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত, যাতে শরীরে প্লাস্টিক প্রবেশের সম্ভাবনা কমে।
সূত্র : আজতক বাংলা
দিন দিন গরম বাড়ছে। আর গ্রীষ্মের তীব্র গরমে মাথার তীব্র ব্যথা দেখা দেয়। এই মাথা ব্যথা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। মাইগ্রেনের কারণে মাথা ব্যথা হচ্ছে না তো?
মাথার তীব্র যন্ত্রণায় অনেকেই বেশ কষ্ট পান।
এ ছাড়া কানে অনেকক্ষণ হেডফোন রাখলে, একটানা ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব, টিভি দেখলে, জোরে গান শুনলে, জোরে আওয়াজ হলে, বেশি আলোয় মাথা ব্যথা বাড়তে পারে। অনেকের আবার মাথার পেছনের অংশে ব্যথা হয়, যা একটু চিন্তার বিষয়। তাই অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মাথা ব্যথার সঠিক বা নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই।
কিন্তু আপনার মাথা ব্যথা মাইগ্রেন কিনা সেটা বুঝবেন কিভাবে? চিনে নিন মাইগ্রেনের পরিচিত লক্ষণগুলো।
মাইগ্রেনের লক্ষণ
সাধারণ মাথা ব্যথার তুলনায় মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা একটু অন্য ধরনের হয়।
মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে মাথা ব্যথার পাশাপাশি গা গুলিয়ে বমি পেতে পারে। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে মাথার একদিকে মাথা ব্যথা হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। মাথার পেছনেও ব্যথা হতে পারে।
যদি দেখেন মাথা ব্যথা শুরু হলে আপনি জোরে শব্দ, বেশি আলো সহ্য করতে পারছেন না, তাহলে বুঝতে হবে মাইগ্রেন রয়েছে। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে মাথা ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং ঝিম ধরা ভাব থাকতে পারে শরীরে।
মাইগ্রেনের ব্যথা নানা কারণে বাড়তে পারে। বাইরে প্রচুর রোদে বের হলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। রাতে ভালোভাবে ঘুম না হলেও বাড়তে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা।
নারীদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডসের আগে মাইগ্রেন অ্যাটাক হতে পারে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মুঠো মুঠো পেইনকিলার খেয়ে মাথা ব্যথা কমাতে যাবেন না। উল্লিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অবহেলা করলে চলবে না।
সূত্র : এবিপি লাইভ
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) বর্তমানে মেয়েদের সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৮-১৩% নারী এই সমস্যায় ভুগছেন। তবে সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো- কিশোরীদের মধ্যে পিসিওএসের বৃদ্ধি। খুব অল্প বয়সে ঋতুমতী হওয়ার পাশাপাশি বয়ঃসন্ধির সময় পিসিওএসের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
পিসিওএসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, পিরিয়ডের সময় তলপেটে তীব্র ব্যথা, ওজন বাড়া, ব্রণ, মুখে ও বুকে লোমের আধিক্য, চুল পড়া। এ ছাড়া হাই কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো ঝুঁকিও বাড়ে। ভবিষ্যতে গর্ভধারণে সমস্যা ও এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এ জন্য দায়ী।
পিসিওএস থাকলে কী কী খাবার এড়িয়ে চলবেন :
প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেটজাত খাবার,
ময়দা এবং ময়দার তৈরি খাবার,
ডুবো তেলে ভাজা খাবার,
সয়াবিন,
চিনিযুক্ত খাবার,
চিপস,
সল্টেড পপকর্ন,
কোল্ড ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকস,
কফি,
ফুল ফ্যাট দুধ-চিজ-মেয়োনিজ,
রেড মিট-ডিমের কুসুম।
পিসিওএস থাকলে কী খাবেন :
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন— ওটস, ব্রাউন রাইস,
ফল-শাকসবজি-মাছ,
ফ্যাটহীন প্রোটিন যেমন মুরগির বুকের মাংস, ডাল,
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ খাবার যেমন— চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, আখরোট।
সূত্র : এই সময়
দাঁত পরিষ্কার ও মুখের স্বাস্থ্যবিধি স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আপনাকে সুস্থ রাখে। কিন্তু যদি আপনি মনে করেন যে দাঁত পরিষ্কার করা কেবল আপনার মুখের স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে সম্পর্কিত, তাহলে আপনি ভুল। আসলে, আপনার মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সরাসরি আপনার হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।
রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করা কেবল দাঁত পরিষ্কারের জন্যই নয়, বরং আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া মাড়ির রোগ হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। দাঁতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন না নিলে মাড়ির রোগ হতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
রাতে দাঁত ব্রাশ করা কেন গুরুত্বপূর্ণ
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দাঁত পরিষ্কার করা প্রায়শই মানুষের দৈনন্দিন রুটিনের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু রাতে ব্রাশ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ব্রাশ করলে আপনার দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকে এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
দিনের বেলায় মুখে থাকা লালাগ্রন্থি থেকে যে লালা নিঃসৃত হয় সেটি ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ফলে মুখের এসিড হ্রাস পায়। এর ফলে দাঁত ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু রাতে লালা কম ক্ষরণ হয়।
রাতে ব্রাশ করলে মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো মারা যায়। তাই মুখ থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া কমাতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা জরুরি।
রাতে ব্রাশ না করলে মুখে দুর্গন্ধ হয়, মাড়িতে সংক্রমণ, রক্ত পড়া ও ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। আর দাঁত না ব্রাশ করে ঘুমাতে গেলে প্লাক জমাট বেঁধে শক্ত হওয়া শুরু করে। এতে দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
তাই রাতের খাবারের পর শুধু গার্গল করাই যথেষ্ট নয়। মুখ ধুয়ে ফেলা এবং রাতের খাবারের সময় থেকে অবশিষ্ট কণা দূর করার জন্য প্রয়োজন দাঁত ব্রাশ করা। সুতরাং, রাতে আগেভাগে খাবার খাওয়াই যথেষ্ট নয়। বরং এরপর দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।