জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে নতুন করে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলে তিন পুলিশ সদস্য নিহত হন। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় দুইজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে বলে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অভিযানের চতুর্থ দিন চলছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ করে ভারি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের মুখোমুখি হয়।
তিন থেকে চার সন্ত্রাসী এখনও ওই এলাকায় লুকিয়ে আছে। একজন ডেপুটি পুলিশ সুপারসহ পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সূত্রগুলো ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে আগে জানিয়েছিল, জুথানার একটি ঘন জঙ্গলে চার থেকে পাঁচজন সন্ত্রাসী লুকিয়ে ছিল এবং নিরাপত্তা কর্মীরা লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের অবস্থান সনাক্ত করেছে।
গত রবিবার (২৩ মার্চ) হিরানগর সেক্টর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে জাখোল গ্রামের কাছে এই গুলিবিনিময় শুরু হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে এবং শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় চলছিল।
সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে যোগ দেওয়া সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনী জুথানায় অভিযান চালাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি নলিন প্রভাত অভিযান তদারকি করার জন্য সংঘর্ষস্থলে ছুটে যান।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ধারণা, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে জড়িত সন্ত্রাসীরা সেই একই দল যারা রবিবারের হিরানগরে বন্দুকযুদ্ধের পর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। এর আগে পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে সান্যাল গ্রামের একটি নার্সারিতে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর ওই অভিযান শুরু হয়েছিল।
৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ চলার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গত ২২শে মার্চ থেকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, এনএসজি, বিএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর অংশগ্রহণে একটি বৃহৎ পরিসরে তল্লাশি অভিযান চলছে। ইউএভি, ড্রোন এবং বুলেটপ্রুফ যানবাহনসহ উন্নত নজরদারি প্রযুক্তিতে সজ্জিত বাহিনী অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করার জন্য অঞ্চলটি তল্লাশি করছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, সন্দেহজনক গতিবিধির খবর পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী রিয়াসি জেলার বনাঞ্চলে একটি বিশাল তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। সম্ভাব্য হুমকির সন্ধানে নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক ইউনিট তল্লাশি চালাচ্ছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে