<p>বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বা লম্বা প্রাণী হলো জিরাফ। এদের দৈর্ঘ্য গড়ে ১৯ ফুট। মাটিতে দাঁড়িয়ে সহজেই এরা বড় বড় গাছের পাতা খেতে পারে। এদের শুধু গলার দৈর্ঘ্য প্রায় ছয় ফুট।</p> <p>শুধুই কি গাছের পাতা খাওয়ার জন্য এদের গল এত লম্বা? নাকি আরও কারণ আছে?</p> <p>আসলে এই লম্বা গলার পেছনে আছে হাজার হাজার বছরের বিবর্তন এবং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ইতিহাস।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাঁতার একবার শিখলে আজীবন মনে থাকে কিভাবে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/29/1730182699-b7394f720c254e35eb3fe7bb77724fd4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাঁতার একবার শিখলে আজীবন মনে থাকে কিভাবে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/29/1440379" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জিরাফের গলা এতো লম্বা হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে প্রাকৃতিক নির্বাচন। লাখ লাখ বছর আগে, আফ্রিকার বন-জঙ্গলে প্রচুর জিরাফ জাতীয় প্রাণী বাস করত। জিরাফের মূল খাবার হলো গাছের পাতা। তখন এদের গলা এত লম্বা ছিল না। তাই গাছর যেসব পাতা ঝড় পড়ত সেগুলো কুড়িয়ে খেত। এছাড়া চারাগাছ বা ঝোপ জাতীয় গাছের পাতাও তারা সহজেই খেতে পারত। </p> <p>তবে শুধু জিরাফেরাই একমাত্র পাতাভোজী প্রাণী ছিল না। আরও অনেক প্রাণিই গাছের পাতার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকত। কিন্তু ক্রমাগত পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে এদের খাবারের উৎস কমতে থাকে। প্রতিদ্বন্দীদের সঙ্গে টিকে থাকার জন্য দরকার তাই ওইসব প্রাণীদের দরকার পড়ল শারীরিক পরিবর্তন। ঝরে পড়া পাতার পরিমাণ পর্যাপ্ত নয়, ছোট ছোট গাছের সংখ্যাও কমে এসেছে, আবার আছে অসংখ্য প্রতিদ্বন্দী—তাই টিকে থাকার জন্য উঁচু গাছ থেকে পাতা ছিঁড়ে খাওয়ার প্রয়োজন হলো।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ : এক কামড়ে ১০০ মানুষ ধরাশায়ী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730114214-c6bd8388fd80d95347dd07b6a2d62116.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ : এক কামড়ে ১০০ মানুষ ধরাশায়ী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/28/1440088" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জিরাফের গলা অন্যদের চেয়ে একটু লম্বা ছিল। তাই জিরাফ এই প্রতিযোগিতায টিকে গেল, অন্যরা বিলুপ্ত হলো। কিন্তু জিরাফের খাবারে তারপরেও টান পড়তে থাকে। কারণ মাঝারি গাছগুলোও কমে গেল। তখন আরও বড় গাছের পাতা খাওয়ার প্রয়োজন পড়ল। এই প্রয়োজনের কারণেই জিরাফের গলা লম্বা হতে হতে আজকের পর্যায়ে এসেছে।</p> <p>লম্বা গল জিরাফকে আরও একটা সুবিধা দিল। জিরাফের শত্রুর অভাব নেই। লম্বা গলার কারণে অন্যপ্রাণীদের তুলনায় এরা অনেক দূর পর্যন্ত নজর রাখার সুযোগ পেল। তাই শত্রুর গতিবিধি অন্যদের চেয়ে জিরাফ একটু আগেই দেখে ফেলে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিড়ালের পানিভীতির কারণ কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/14/1723624509-b2e1cc6922823b86bd09ea60b9c7cd0e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিড়ালের পানিভীতির কারণ কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/08/14/1414865" target="_blank"> </a></div> </div> <p> </p> <p>এবার আসা যাক, দৈহিক কাঠামোর দিকে। জিরাফের গলার অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য আছে। মেরুদণ্ডের মতো সাতটি হাড় আছে এদের গলায়। যেমনটা মানুষের শরীরেও আছে। তবে প্রতিটি হাড়ের দৈর্ঘ্য মানুষের চেয়ে অনেক অনেক বড়। </p> <p>জিরাফের গলার প্রতিটি হাড় অত্যন্ত শক্তিশালী এবং গঠনে আলাদা। এই বিশেষ গঠনই লম্বা গলার ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। এমনকি তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্যও বিশেষ ধরনের শ্বাসনালি রয়েছে। ফলে দীর্ঘ গলা বেয়েও পর্যাপ্ত অক্সিজেন ফুসফুসে পৌঁছুতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিড়াল কি নিজেদের তরল পদার্থ ভাবে, কী বলছেন গবেষকেরা?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/28/1730092317-0d4f8a6c507471f036aa036f0ffd41c2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিড়াল কি নিজেদের তরল পদার্থ ভাবে, কী বলছেন গবেষকেরা?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/28/1440003" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জিরাফের লম্বা গলা এদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতাও বাড়ায়। পুরুষ জিরাফদের মধ্যে ‘নেকিং’ নামে একটি লড়াই হয়। এ লড়াইয়ে তারা একে-অপরের গলায় আঘাত করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে। আধিপত্য এবং সঙ্গীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই লড়াই গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী গলার জিরাফকেই স্ত্রী জিরাফ সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়। অর্থাৎ প্রজননেও ভূমিকা রাখে জিরাফের গলা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যে ভালুকের পাসপোর্ট আছে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/27/1730013759-4f956841101a95de63054e2d3e60a95d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যে ভালুকের পাসপোর্ট আছে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/27/1439680" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গবেষকরা দেখেছেন, জিরাফের গলার লম্বা হওয়ার পেছনে কিছু জটিল জিনগত কারণও রয়েছে। বিবর্তনের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় কিছু নির্দিষ্ট জিনের পরিবর্তন এদের গলাকে আরও লম্বা হতে সাহায্য করেছে। এর মাধ্যমে তারা খাবার সংগ্রহ, শিকারিদের থেকে বাঁচা এবং প্রতিযোগিতায় নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে সক্ষম হয়।</p> <p>সূত্র: হাউ ইটস ওয়ার্কস</p>