<p>অস্ট্রেলিয়ানদের হাসিটা মিইয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। বোলিংয়ের সময় তাদের মুখে যে হাসিটা ছিল তা ব্যাটিংয়ে নেমে নাই হয়ে যায়। যেন ছেঁড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা দাঁড়ায় তাদের। শেষে তেমনই হয়েছে। </p> <p>পার্থ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ হলেই যেন অস্ট্রেলিয়া হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। আম্পায়ার বেল তুলে নেওয়ার পর হয়তো মনে মনে বলেছে যাক বাবা আজকে তো আর অলআউট হইনি, দ্বিতীয় দিন ব্যাটিং করার সুযোগ পাচ্ছি। এতে কিছুটা স্বস্তি পেলেও অবশ্য মোটাদাগে কোনো লাভ হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। প্রতিপক্ষ ভারতকে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট করে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার যে বড় সুযোগ পেয়েছিল তারা। এখন উল্টো তারাই মহাবিপদে।</p> <p>ভারত কোনো রকমে দেড় শ রান করলেও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ১০০ করতে পারবে কিনা তা নিয়েই এখন সন্দেহ। কেননা দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানেই ৭ ‍উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা। প্রতিপক্ষের চেয়ে এখনও ৮৭ রানে পিছিয়ে তারা। এখান থেকে আবারও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে আগামীকাল দারুণ কিছু করতে হবে অ্যালেক্স ক্যারি (১৯*) ও মিচেল স্টার্ক (৬*)। বিশেষ করে দলের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার ক্যারিকেই।</p> <p>পেসবান্ধব উইকেট হিসেবে পরিচিত পার্থে দিনের শুরুতে ছড়ি ঘুড়িয়েছেন জস হ্যাজলউড। ৪ উইকেট নেওয়া পেসারকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন অন্য তিন পেসারও। ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও মিচেল মার্শ। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কম রানে অলআউট হয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম টেস্টেই ব্যাকফুটে পড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল ভারত।</p> <p>তবে তা হতে দেননি জাসপ্রিত বুমরাহ। সামনে থেকেই দলের নেতৃত্ব দিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। বল হাতে নিয়ে একের পর এক ব্যাটারকে আউট করে ভারতকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন এই পেসার। তার তোপে শুরুতেই ১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। সেই চাপ পরে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি স্বাগতিকেরা। অধিনায়ককে পরে দারুণ সঙ্গ দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাকফুটে ফেলে দেন মোহাম্মদ সিরাজ (২ উইকেট) ও অভিষিক্ত হার্ষিত রানা (১)। ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার বুমরাহ।</p> <p>পেস বোলারদের দাপটে একটা পুরোনো রেকর্ডও হয়েছে পার্থে। পার্থে প্রথম দিনে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট পড়েছে। যা ১৯৫২ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে প্রথম দিনে সর্বোচ্চ। </p>