<p>বাংলাদেশের ক্রিকেটে ফিনিশার হিসেবেই পরিচিত মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচ শেষ করার সেই ক্ষমতা এবার বিপিএলে দেখালেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। ফরচুন বরিশালকে ৪ উইকেটের জয় এনে দেওয়া ম্যাচে খেলেছেন অপরাজিত ৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।</p> <p>২১৫.৩৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটির স্বীকৃতিও পেয়েছেন মাহমুদ উল্লাহ। দলের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য হয়েছেন পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সেই পুরস্কার ছেলেকে উৎসর্গ করেছেন ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটার। ম্যাচসেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় এমনটি জানিয়েছেন তিনি।</p> <p>মাহমুদ উল্লাহর ছেলে রাইদ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ম্যাচের কারণে ছেলের পাশে থাকতে না পারায় আবেগী হয়েছেন তিনি। অভিজ্ঞ ব্যাটার বলেছেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। রাইদ, এটা তোমার জন্য। ইনশাআল্লাহ আমাদের দেখা হবে শিগগিরই। এই পুরস্কার তোমার। বাবা তোমাকে ভালোবাসে।’</p> <p>দুর্বার রাজশাহীর দেওয়া ১৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটা সময় ম্যাচ হারের শঙ্কায় ছিল বরিশাল। দলীয় ৬১ রানের মধ্যেই যে ৫ উইকেট হারায় তারা। পরে দুই পাকস্তানি অলরাউন্ডার শাহীন শাহ আফ্রিদি (২৭) ও ফাহিম আশরাফের সঙ্গে দলকে ম্যাচ জেতান মাহমুদ উল্লাহ। তবে বাংলাদেশি ব্যাটারের চেয়েও ম্যাচে বিধ্বংসী ছিলেন ফাহিম। ১ চার ও ৭ ছক্কায় ২৫৭.১৪ স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস। </p> <p>ম্যাচ জয়ে ফাহিম বড় অবদান রাখলেও কৃতিত্ব দিয়েছেন মাহমুদ উল্লাহকেই। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটার বলেছেন, “মাহমুদ ভাই দুর্দান্ত। প্রথম ৬-৭ বলে আমি মাত্র ১ রান করলাম। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছে?’ তিনি আমাকে বললেন, ‘তুমি কেবল টিকে থাকো।’ এ রকম অভিজ্ঞ প্লেয়ার থাকলে ব্যাপারটা ভালো। মোটিভেশন পাওয়া যায়। চাপ সামাল দেওয়া যায়। সব কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।”</p>