ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

তুরস্কে ২০ টনের বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তুরস্কে ২০ টনের বিশাল সোনার খনি আবিষ্কার

তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আগ্রিতে বিশাল এক সোনার খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় এ প্রদেশটিতে অবস্থিত এই খনিতে ২০ টন সোনা মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সোনার দাম ১.২ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুরস্কের শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা বারন্ক এ তথ্য জানান।

এছাড়া ওই একই অঞ্চলে ৩.৫ টন রুপা (যার মূল্য ২.৮ মিলিয়ন ডলার) আবিষ্কৃত হয়েছে।

এই খনি আবিষ্কার প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের দেশের অর্থনীতি ব্যাপক অবদান রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে সরাসরি ৫০০ লোক নিয়োগ পাবে ও পরোক্ষভাবে দুই হাজার চাকরি সৃষ্টি করবে। ২০২২ সালের শেষ দিকে এই খনি থেকে সোনা তোলা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তুরস্কের খনি খাতে ১৩ হাজার লোক কাজ করছে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ছয় বিলিয়ন ডলার।

মন্ত্রী বলেন, ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে তুরস্ক এক গ্রাম সোনাও উৎপাদন করত না। কিন্তু গত বছর ১৮টি সক্রিয় খনি থেকে ৪২ টন সোনা উত্তোলিত হয়েছে।

২০০১ সালের আগে পর্যন্ত তুরস্ক তার চাহিদার পুরো স্বর্ণ আমদানি করত। এখন খনি আবিষ্কৃত হওয়ায় বার্ষিক ২.৪ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে আরেকটি বড় আবিষ্কার ঘটে তুরস্কে। দেশটির মারমারা অঞ্চলে ৩.৫ মিলিয়ন আউন্স স্বর্ণের সন্ধান পাওয়া যায়। এর মূল্য ছয় বিলিয়ন ডলার।

সূত্র : ইয়েনি সাফাক।

মন্তব্য

চীনে বোয়িংয়ের বিমান কেনা স্থগিত : ব্লুমবার্গ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনে বোয়িংয়ের বিমান কেনা স্থগিত : ব্লুমবার্গ
প্রতীকী ছবি : এএফপি

চীনা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার দেশটির বিমান সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন বোয়িং কম্পানির কাছে কোনো নতুন বিমান অর্ডার না দেয়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বেইজিং, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক চীনা আমদানির ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাব। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরো বাড়ল।

ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বেইজিং অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পানিগুলোর কাছ থেকে যেকোনো ধরণের বিমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম কেনা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, উচ্চ শুল্কের কারণে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বোয়িংয়ের বিমান ভাড়া নেওয়া চীনা এয়ারলাইন্সগুলোকে সরকার আর্থিকভাবে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

এ ছাড়া বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের যন্ত্রাংশ ও বিমানের দাম এখন চীনের জন্য প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা জায়ান্ট বোয়িং পড়েছে বিপদের মুখে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো শান্তির আভাস না থাকায় বোয়িংয়ের সবচেয়ে বড় বাজার চীন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ব্লুমবার্গের মতে, আগামী ২০ বছরে বৈশ্বিক বিমান চাহিদার ২০ শতাংশ আসবে চীন থেকে। এমনকি ২০১৮ সালে বোয়িংয়ের মোট বিক্রির প্রায় ২৫ শতাংশই ছিল চীনে।

এই পরিস্থিতি এমন সময় দেখা দিল, যখন চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাত্র দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিল, তারা যেন চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ শুল্ক ‘সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার’ করে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ করেই কিছু প্রযুক্তিপণ্যকে চলমান শুল্ক যুদ্ধ থেকে ছাড় দিয়েছেন—যা অ্যাপলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের জন্য বড় স্বস্তির ইঙ্গিত।

কারণ তাদের বেশির ভাগ পণ্যই চীনে তৈরি ও সংযোজন করা হয়। তবে শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের এমন অনিশ্চিত অবস্থান বিশ্বকে অস্থির করে রেখেছে।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

মন্তব্য

দুবাইয়ে তৈরি ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ ককটেল-মকটেলের আদ্যোপান্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুবাইয়ে তৈরি ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ ককটেল-মকটেলের আদ্যোপান্ত
ক্রেতা ডায়ানা ও বারটেন্ডার সালভাতোরে। ছবি : খালিজ টাইমস

একটি বিশেষ ধরনের স্ফটিকের (ক্রিস্টাল) গ্লাসে পরিবেশিত, বিশেষভাবে তৈরি উপাদানে প্রস্তুত এবং একজন ‘সেলিব্রিটি’ বারটেন্ডারের পরিবেশিত ককটেল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ককটেল হিসেবে রেকর্ড গড়েছে, যা তৈরি হয়েছে দুবাইয়ে। এই ককটেলটি ৩৭ হাজার ৫০০ ইউরো বা প্রায় এক লাখ ৫৬ হাজার দিরহামে বিক্রি হয়েছে দুবাইয়ের নাহাতে নামের একটি ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁয়। হাড্ডাহাড্ডি নিলাম পর্বের শেষে দুবাইয়ের মডেল ও উদ্যোক্তা ডায়ানা আহাদপুর এটি কেনেন।

নাহাতে রেস্তোরাঁর বেভারেজ ও মার্কেটিং ডিরেক্টর আন্দ্রেই বোলশাকভ জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল ককটেল তৈরির লক্ষ্যেই দুবাইতে অবস্থিত পারিবারিকভাবে পরিচালিত এই রেস্তোরাঁ সব ধরনের উদ্যোগ নেয়।

একমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই পানীয়টি সর্বোচ্চ দামের ক্রেতার কাছে নিলামে বিক্রি করা হয়। শুরুতে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬০ হাজার দিরহাম। তবে উচ্চ চাহিদার কারণে সেটি দ্রুত দ্বিগুণ হয়ে শেষ পর্যন্ত দেড় লাখ দিরহামেরও বেশি দামে বিক্রি হয়।

বোলশাকভ বলেন, ‘যে নারী এটি কিনেছেন, তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে এই বিশেষ পানীয়টি তার হাতেই উঠবে।

’ নিলামে জেতার পর তিনি পানীয়টি উপভোগ করেন এবং কিছু অংশ বন্ধুদের সঙ্গেও ভাগ করে নেন। ‘এটি সবার জন্যই ছিল একটি স্মরণীয় আয়োজন।’

এই ককটেলটি শুধু উপাদানেই নয়, পরিবেশনের দিক থেকেও ছিল অনন্য। এটি পরিবেশিত হয় ১৯৩৭ সালে তৈরি বিশেষ গ্লাসে, যা এত দিন একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত ছিল।

বোলশাকভ জানান, ‘এ রকম ক্রিস্টাল দিয়ে কেবল দুটি গ্লাস তৈরি হয়েছিল, যা একদম বিশেষ কৌশলে তৈরি। এগুলো কখনো ব্যবহার করা হয়নি। আমি নিজে প্যারিস থেকে সংগ্রহ করে দুবাইয়ে এনেছি।’

নিলাম শেষে ককটেলটির ক্রেতাকে ওই ক্রিস্টাল গ্লাস দুটি স্মারক হিসেবে উপহার দেওয়া হয়।

রেস্তোরাঁর অংশীদার প্যাট্রন টেকিলা শুধু এই আয়োজনের জন্য একটি বিশেষ সংস্করণের মিশ্রণ তৈরি করেন।

বোলশাকভ জানান, ‘মাস্টার ডিস্টিলার মাত্র ৫০০ মিলিলিটার তৈরি করেছিলেনন, যা আমাদের কর্মীরা মেক্সিকো থেকে ইভেন্টের এক সপ্তাহ আগে নিয়ে আসেন।’

এ ছাড়া এতে ব্যবহার করা হয় কিনা লিলেট নামের একটি বিশেষ ফলের ওয়াইন, যেটি জেমস বন্ড ০০৭-এর মূল ককটেল রেসিপিতে ব্যবহৃত হতো। এটি এখন আর তৈরি হয় না এবং সারা বিশ্বে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বোতল অবশিষ্ট আছে। তারা যে বোতলটি সংগ্রহ করেছেন, তা বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের।

একই সঙ্গে এই ‘সুপার এক্সক্লুসিভ’ পানীয়ের সমাপ্তি টানা হয় বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের তৈরি অ্যাঙ্গোস্তুরা বিটারস দিয়ে।

এই পানীয় তৈরি করেন বিশ্বের অন্যতম খ্যাতিমান বারটেন্ডার সালভাতোরে ‘দ্য মায়েস্ত্রো’ কালাব্রেস। বোলশাকভ বলেন, ‘তিনি ইন্ডাস্ট্রির একজন কিংবদন্তি এবং বহু সেলিব্রিটির জন্য পানীয় তৈরি করেছেন। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটি পানীয় তৈরি করতে, যা কেবল দামের জন্য নয়, অভিজ্ঞতার দিক থেকেও বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল হয়।’

সবচেয়ে দামি মকটেলও এখন দুবাইয়ে
এর পাশাপাশি দুবাইয়ের বিলাসবহুল ডাইনিং দুনিয়ায় যোগ হয়েছে আরো একটি চমকপ্রদ উপাদান—বিশ্বের সবচেয়ে দামি মকটেল, যার দাম ১২ হাজার ৯৯ দিরহাম।

আল জাদ্দাফের বার্সেলো হোটেলের জিমিডিক্স রেস্তোরাঁ ও লাউঞ্জে উন্মোচিত হওয়া এই ঝলমলে পানীয়টি পরিবেশন করা হয় খাঁটি রূপার তৈরি গবলেট নামের পাত্রে, যা অতিথিদের জন্য একটি স্মারক হিসেবেও রয়ে যায়।

এই আড়ম্বরপূর্ণ পানীয়টিতে মেশানো হয়েছে টাটকা ক্র্যানবেরি, পুদিনা, ডালিমের রস, সামুদ্রিক লবণ ও ২৪ ক্যারেট ইইউ সনদপ্রাপ্ত ভোজ্য সোনার পানি ও ধুলা। এটি পরিবেশিত হয় দুটি স্টার্টারের সঙ্গে—সবজি বা আমিষ, অতিথির পছন্দ অনুযায়ী—যেগুলোও ভোজ্য সোনার পাত ও ধুলায় মোড়ানো থাকে।

এই ধারণার নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় প্রবাসী সুচেতা শর্মা, যিনি বোহো ক্যাফে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। জিমিডিক্সের বার ম্যানেজার ফ্রেডরিকের সহায়তায় এটি বাস্তবে রূপ নেয়। এই গ্রুপ সাধারণ পানীয়কে বিলাসবহুল অভিজ্ঞতায় রূপ দেওয়ার জন্য পরিচিত। শর্মা বলেন, ‘এটি কোনো মার্কেটিং গিমিক নয়। এটা একটিকে স্মৃতি করে রাখার ব্যাপার।’

উন্মোচন অনুষ্ঠানে লাকি ড্রতে জিতে প্রথম এই পানীয়ের স্বাদ নেন চীনা প্রবাসী ইয়াও লেই। তিনি বলেন, ‘অলৌকিক মনে হচ্ছে। হয়তো আবার কখনো অর্ডার করব না, তবে গ্লাসটি অবশ্যই রেখে দেব।’

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, তারা এই মকটেলটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির জন্য জমা দেবেন।

উল্লেখ্য, দুবাইয়ের এমিরেটস ফিন্যানশিয়াল টাওয়ারসে গত অক্টোবরেই চালু হওয়া বোহো ক্যাফে এর আগেও শিরোনাম হয়েছিল তাদের পাঁচ হাজার দিরহামের সোনার কারাক চায়ের জন্য, যা রূপার কাপ-সসারে পরিবেশিত হয়। গত নভেম্বরেও এক ইউরোপীয় পর্যটক ছয় হাজার ৬০০ দিরহামের বিল করেন একটি সোনার কফি, চারটি সোনার ক্রোয়েসেন্ট ও দুই স্কুপ সোনার আইসক্রিম খেয়ে।

সূত্র : খালিজ টাইমস

মন্তব্য

ইরাকে তীব্র ধূলিঝড়ে অসুস্থ হাজারও মানুষ, ২ বিমানবন্দর বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইরাকে তীব্র ধূলিঝড়ে অসুস্থ হাজারও মানুষ, ২ বিমানবন্দর বন্ধ
ছবিসূত্র : এএফপি

ইরাকে ব্যাপক ধূলিঝড় হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ধূলিঝড়ের পর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এক হাজারেরও বেশি লোক। মুথান্না প্রদেশের একজন কর্মকর্তা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৭০০ জনের শ্বাসকষ্টের ঘটনা ঘটেছে।

অনলাইনে শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে,  এলাকাগুলো ঘন কমলা রঙের কুয়াশায় ঢাকা।

স্থানীয় মিডিয়া বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিমান চলাচল বন্ধের খবর দিচ্ছে। ইরাকে ধূলিঝড় সাধারণ হলেও কিছু বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যা আরো তীব্র হয়ে উঠছে।

আরো পড়ুন
সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

 

এএফপি অনুসারে, পথচারীরা ধুলা থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য মুখোশ পরছে। শ্বাসকষ্টজনিত লোকদের সহায়তা করার জন্য প্যারামেডিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।

দক্ষিণ ইরাকের মুথান্না প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে কমপক্ষে ৭০০ জন শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে স্থানীয় একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নাজাফ প্রদেশে ২৫০ জনেরও বেশি লোককে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং শিশুসহ কমপক্ষে ৩২২ জন রোগীকে দিওয়ানিয়াহ প্রদেশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধী কার এবং বসরা প্রদেশে ৫৩০ জন শ্বাসকষ্টের সমস্যা রিপোর্ট করেছেন। ধূলিঝড় ইরাকের দক্ষিণ প্রদেশগুলোকে কমলা মেঘে ঢেকে ফেলেছিল।

ফলে দৃশ্যমানতা এক কিলোমিটারেরও কম (০.৬২ মাইল) হয়ে যায়।

কর্তৃপক্ষকে নাজাফ এবং বসরা প্রদেশের বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া পরিষেবা অনুসারে, মঙ্গলবার সকালের মধ্যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২২ সালেও একটি তীব্র ধূলিঝড়ে একজনের মৃত্যু হয় এবং ৫ হাজারের বেশি লোকের শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছিল। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মতে, ইরাক ভবিষ্যতে বেশি বশি ধূলিঝড়ের মুখোমুখি হবে।

 

সূত্র : বিবিসি

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) সোমবার সুদানে দুই বছরের গৃহযুদ্ধের ফলে শিশুদের বিরুদ্ধে হত্যা থেকে অপহরণ পর্যন্ত বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা ১ হাজার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল বলেছে, এই ধরনের ঘটনার মধ্যে পঙ্গুত্ব এবং স্কুল ও হাসপাতালে আক্রমণও অন্তর্ভুক্ত। যা আগে কয়েকটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এবং সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের ফলে আরো কিছু অঞ্চলে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দুই বছরের সহিংসতা এবং বাস্তুচ্যুতি সুদানজুড়ে লাখ লাখ শিশুর জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে।’

ইউনিসেফ কর্তৃক এএফপিকে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে  যাচাইকৃত ঘটনায় নিহত, পঙ্গু হওয়া শিশুর সংখ্যা ১৫০টি থেকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে আনুমানিক ২ হাজার ৭৭৬টিতে পৌঁছেছে।

আরো পড়ুন
সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে

সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে

 

স্কুল এবং হাসপাতালে আক্রমণের যাচাইকৃত ঘটনাও ২০২২ সালের ৩৩টি থেকে বেড়ে প্রায় ১৮১টিতে পৌঁছেছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা সম্পন্ন শিশুর সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ হয়েছে।

২০২৩ সালের শুরুতে ৭৮ লাখ থেকে আজ ১ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি হয়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল, ‘সুদান আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।’ কিন্তু এটি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে না।

রাসেল বলেন, আমরা সুদানের শিশুদের পরিত্যাগ করতে পারি না।

আমাদের দক্ষতা এবং সহায়তা বৃদ্ধির সংকল্প আছে। তবে আমাদের প্রবেশাধিকার এবং টেকসই তহবিল প্রয়োজন।

সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি, আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে যুদ্ধ প্রথম শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে। জাতিসংঘের মতে, তখন থেকে এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দারফুরের জমজম বাস্তুচ্যুত শিবিরসহ কমপক্ষে পাঁচটি স্থানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমানে সেখানে আরএসএফ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

সুদানে বিদ্রোহীদের হামলায় ৪ শতাধিক নিহত

এদিকে সুদানের দারফুরে বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের সাম্প্রতিক হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। নিহতদের মধ্যে ৯ জন মানবাধিকার কর্মী রয়েছেন বলেও জানায় সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, প্রাণহানি নিয়ে সংস্থার যাচাই প্রক্রিয়া এখনও চলমান। রোববারের সহিংসতার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি উল্লেখ করে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলেও মত দেন তিনি।

সূত্র : এএফপি, বিবিসি

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ