ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

চীনা দম্পতিকে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনা দম্পতিকে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ
প্রতীকী ছবি : এএফপি

মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বিমান উড্ডয়নের ঠিক আগে এক চীনা দম্পতি হট্টগোল সৃষ্টি করলে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়। দেশটির পুলিশ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

অভিযোগ অনুসারে, এক নারী যাত্রীকে ‘বাতিকগ্রস্ত’ আচরণ করতে দেখা যায়, ফলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ও তার সঙ্গীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেন। ফ্লাইটটি চীনের জিয়াংয়ে যাচ্ছিল।

মালয় মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দম্পতি নিরাপত্তাকর্মীদের সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানালে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে।

কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান আজমান শারিয়াত জানিয়েছেন, যাত্রীটি বাতিকগ্রস্ত আচরণ করেন, যা অন্য যাত্রীদের বিরক্ত করছিল। তারপর নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ও তার সঙ্গীকে বিমান থেকে নামিয়ে আনেন।

ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ
দম্পতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাদের ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করেন।

এরপর তাদের সুলতান ইদ্রিস শাহ হাসপাতালে মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করতে ভর্তি করা হয়। শারিয়াত বলেন, ‘তাদের আচরণে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাহায্য নেয়। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে তাদের ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করা হয় এবং সেরডাংয়ের সুলতান ইদ্রিস শাহ হাসপাতালে আরো পরীক্ষার জন্য স্থানান্তর করা হয়।’ 

শেষ খবর অনুযায়ী, মাদক পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।

তারা দুজনই চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। এ ছাড়া যেই ফ্লাইটে এ দম্পতি চীনের জিয়াংগামী যাওয়ার কথা ছিল, তার বিস্তারিত এখনো পরিষ্কার নয়।

অন্যদিকে এক চীনা দম্পতি মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই দম্পতি ৯ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুর থেকে জিয়াংগামী ফ্লাইটে ওঠার কথা ছিল এবং পরে নানজিংয়ের দিকে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা পৌঁছননি। 

এ ছাড়া দম্পতির ফোন বন্ধ রয়েছে এবং ফ্লাইট ডেটা থেকে জানা গেছে, তারা বিমানেই ওঠেননি, যা তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

তবে দুই ঘটনায় জড়িত দম্পতি একই কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সূত্র : এনডিটিভি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তেল আবিবে একের পর এক রকেট নিক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তেল আবিবে একের পর এক রকেট নিক্ষেপ
সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলি বাণিজ্যিক কেন্দ্র খ্যাত তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের নতুন করে স্থল ও আকাশপথে হামলায় বেসামরিক প্রাণহানি বৃদ্ধির প্রতিশোধে বৃহস্পতিবার এই হামলা চালানোর দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।

ইসরায়েল বলেছে, গাজা উপত্যকায় পুনরায় শুরু করা স্থল অভিযান আরো সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে বুধবার ওই অঞ্চলের উত্তর-দক্ষিণের প্রধান পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে শুরু করা হামলায় গাজায় দুদিনে ১৯০ জনেরও বেশি শিশুসহ ৯৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালের দিকের হামলায় আরও প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে।

আরো পড়ুন
শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

 

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজেদাইন আল-কাশেম ব্রিগেডস বলেছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ইসরায়েলি ‘গণহত্যার’ প্রতিশোধে তারা তেল আবিবে রকেট নিক্ষেপ করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজা থেকে ছোড়া একটি প্রোজাক্টাইল আটকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য দুটি প্রোজেক্টাইল জনবসতিহীন উন্মুক্ত একটি এলাকায় আঘাত হেনেছে।

তবে এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

কয়েক সপ্তাহের অচলাবস্থার পর মঙ্গলবার ভোরের দিকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পবিত্র রমজানে ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলার নিন্দায় সরব হয়ে উঠেছে মুসলিম বিশ্ব। গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর কিছুটা শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল গাজায়।

নতুন চুক্তিতে পৌঁছানো নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে; এর মাঝেই গাজায় অতর্কিত হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার বাসিন্দা মোহাম্মদ হুসেইন এএফপিকে বলেছেন, আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি চাই। আমরা যুদ্ধবিরতি চাই। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনি।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার প্রধান ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণের মাঝে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এএফপি বলেছে, গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের কাছের সালাহেদ্দিন রোড ধরে দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে ফিলিস্তিনিদের।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হামাসের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় গবেষক আটক

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
হামাসের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় গবেষক আটক
ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল ফেলো বদর খান সুরি। ছবি : লিংকডইন থেকে সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের একটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় এক গবেষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। তার নির্বাসিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। নিয়োগকর্তা ও মার্কিন কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

 

ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল ফেলো বদর খান সুরির গ্রেপ্তারের ঘটনা এমন এক সময় ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস পর বৈজ্ঞানিক গবেষণার স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এর আগে বুধবার এক ফরাসি মহাকাশ বিজ্ঞানীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ফ্রান্সের সরকার নিন্দা জানিয়েছে। ওই বিজ্ঞানী হিউস্টনে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। কর্মকর্তারা তার স্মার্টফোন তল্লাশি করে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বার্তা পান।

এরপর তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ড. খান সুরি একজন ভারতীয় নাগরিক, যিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ে তার ডক্টরাল গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথাযথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছিলেন। আমরা তার কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অবগত নই এবং তার আটকের কোনো কারণও পাইনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সুরি জর্জটাউনের আলওয়ালিদ বিন তালাল মুসলিম-খ্রিস্টান বোঝাপড়া কেন্দ্রের একজন ফেলো।

এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করা পলিটিকোর তথ্য অনুযায়ী, ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে সোমবার তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আইনজীবী পলিটিকোকে জানিয়েছেন, তিনি সুরির মুক্তি দাবি করেছেন, তবে এ বিষয়ে জানতে এএফপির অনুরোধের তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেননি।  

মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলফলিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেছেন, ‘সুরি জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিদেশি শিক্ষার্থী, যিনি হামাসের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইহুদিবিদ্বেষী মতামত ছড়াচ্ছিলেন।’

তিনি আরো অভিযোগ করেন, সুরির ‘একজন পরিচিত বা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যিনি হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।’

তিনি জানান, পররাষ্ট্র দপ্তর মার্কিন অভিবাসন আইনের একটি ধারা অনুযায়ী সুরিকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, কোনো ভিসাধারীর উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির জন্য হুমকি হয়ে উঠলে তাকে নির্বাসিত করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, হামাস যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত।  

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, ‘আমাদের সম্প্রদায়ের সদস্যদের মুক্ত ও উন্মুক্ত অনুসন্ধান, আলোচনার অধিকার রয়েছে, এমনকি যদি সেই ভাবনাগুলো কঠিন, বিতর্কিত বা আপত্তিকর হয় তাও।’

সুরির আইনজীবীর দাখিল করা আবেদনের বরাত দিয়ে পলিটিকো জানিয়েছে, সুরির স্ত্রী একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এই দম্পতি বিশ্বাস করেন, তাদের লক্ষ্যবস্তু করার কারণ, সরকার সন্দেহ করে, তারা ইসরায়েল সম্পর্কে মার্কিন নীতির বিরোধিতা করেন।

মন্তব্য

সুদানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেনাবাহিনী

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
সুদানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সেনাবাহিনী
ফাইল ছবি : এএফপি

সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যে অগ্রসর হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে এই প্রাসাদটি আধাসামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এক সামরিক সূত্র এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে ওই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে অগ্রসর হওয়ার সময় সেনারা দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০টি যানবাহনের একটি বহর ধ্বংস করেছেন।

বহরটি ছিল আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসে (আরএসএফ)।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের চারপাশে এই সংঘর্ষ এমন সময় হচ্ছে, যখন সেনাবাহিনী বৃহত্তর খার্তুমের সেই অঞ্চলগুলো পুনর্দখলে বড় ধরনের অভিযান চালাচ্ছে, যা যুদ্ধের শুরুর দিকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে আরএসএফ দখল করে নিয়েছিল।

আরো পড়ুন
সুদানে আরএসএফ ও মিত্রদের ‘অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান’ স্বাক্ষর

সুদানে আরএসএফ ও মিত্রদের ‘অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান’ স্বাক্ষর

 

দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসর হওয়া সেনারা সোমবার শহরের কেন্দ্রস্থলে থাকা বাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়, যা আধাসামরিক বাহিনীর ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করে। এএফপির সাংবাদিকরা জানান, তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে পুরো শহরজুড়ে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে।

সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি ও আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুধু বৃহত্তর খার্তুম অঞ্চল থেকেই ৩৫ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে, যা যুদ্ধের আগের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।

এই সংঘাত সুদানকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর ও পূর্ব অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আর পশ্চিম ও দক্ষিণের বেশির ভাগ এলাকা আরএসএফের দখলে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেনাবাহিনী খার্তুমের উত্তরে ব্লু নীল নদীর ওপারে অবস্থিত খার্তুম নর্থ ও পূর্ব দিকে ইস্ট নীল জেলা পুনর্দখল করেছে। এ ছাড়া খার্তুম ও হোয়াইট নীল নদীর ওপারে অবস্থিত এর সংলগ্ন শহর ওমদুরমানের দক্ষিণ অংশে এখনো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আরএসএফের দখলে রয়েছে।

মন্তব্য

ইন্দোনেশিয়ায় সরকারে সামরিক বাহিনীর কাজের সুযোগ বাড়ল

    বিরোধী দল ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
ইন্দোনেশিয়ায় সরকারে সামরিক বাহিনীর কাজের সুযোগ বাড়ল
২০ মার্চ জাকার্তায় পার্লামেন্ট ভবনের সামনে সামরিক আইনের সংশোধনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে ছাত্ররা পাথর ছুড়লে দাঙ্গা পুলিশ ঢাল তুলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছবি : এএফপি

ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট সামরিক আইনে কিছু সংশোধনী এনেছে। ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বেসামরিক প্রশাসনে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবেন।

সংশোধনী আনার কারণে সামরিক কর্মকর্তারা এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়সহ মোট ১৪টি সরকারি সংস্থায় কাজ করতে পারবেন। আগে তারা ১০টি সংস্থায় কাজ করতে পারতেন।

এর বাইরে কোনো বেসামরিক পদে যোগ দিতে হলে তাদের সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নিতে হতো।

আইনটি প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর উদ্যোগে পাস হয়েছে। তিনি সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর অধীনে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সুহার্তোর নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যাফরি স্যামসোদিন বলেছেন, ‘প্রচলিত ও অপ্রচলিত সংঘাত মোকাবেলার জন্য সামরিক বাহিনীকে রূপান্তরিত হতে হবে, আমরা কখনোই ইন্দোনেশিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ব্যর্থ হবো না।’

তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, এই আইন ইন্দোনেশিয়াকে সুহার্তোর কঠোর শাসনের যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আইনটি অপব্যবহার, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দায়বদ্ধতার অভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।

সংসদের সামনে বিরোধী দল ও শিক্ষার্থীরা এই বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করেছে।

পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

নতুন আইন দেশটির রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামোয় সামরিক প্রভাব আরো সুদৃঢ় করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ