ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ইরানে অর্থমন্ত্রী বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ইরানে অর্থমন্ত্রী বরখাস্ত
২ মার্চ তেহরানে ইরানের অর্থমন্ত্রী আবদুল নাসের হিম্মতি সংসদ সদস্যদের সামনে তার বিরুদ্ধে চলমান অভিশংসন প্রক্রিয়ার সময় বক্তৃতা দেন। ছবি : এএফপি

ইরানের পার্লামেন্টে অর্থমন্ত্রী আবদুল নাসের হিম্মতিকে ভোটের মাধ্যমে বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্ধিত মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রার দরপতনের অভিযোগে অভিশংসনের পর তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রবিবার জানিয়েছে।

এদিন পার্লামেন্টে উপস্থিত ২৭৩ জন সদস্যের মধ্যে ১৮২ জনই অর্থমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন। গত বছরের মাঝামাঝির তুলনায় বর্তমানে সে দেশের মুদ্রার দরপতন হয়েছে অন্তত দেড় গুণ।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান অর্থমন্ত্রী নাসেরের পক্ষ নিয়ে সংসদ সদস্যদের বলেছিলেন, ‘আমরা শত্রুর সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় (অর্থনৈতিক) যুদ্ধের মধ্যে আছি। আমাদের যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনা করা দরকার। এখনকার সমাজের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নয় এবং আমরা একজন ব্যক্তির ওপর সব দোষ চাপিয়ে দিতে পারি না।’

তবে ইরানের সংসদ সদস্যরা হিম্মতির নিন্দা করেছেন এবং ইরানের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য তাকেই দায়ী বলে মনে করেন।

সংসদ সদস্য রুহুল্লাহ মুতাফাক্কার বলেন, মানুষ মুদ্রাস্ফীতির নতুন ঢেউ সহ্য করতে পারছে না। বৈদেশিক মুদা ও অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আরেক সংসদ সদস্য ফাতেমা মুহাম্মদ বেগী বলেন, মানুষজন ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনতে পারছে না।

অন্যদিকে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করে হিম্মতি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাস্তব হার নয়; এটি মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশার কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সমস্যা মুদ্রাস্ফীতি এবং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি সংকট, যা বছরের পর বছর ধরে আমাদের অর্থনীতিকে জর্জরিত করেছে।’

পেজেশকিয়ান গত বছরের জুলাইয়ে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা অবসানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। তবে ইরানের মুদ্রার মান ক্রমবর্ধমান হারে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে গত ডিসেম্বরে ইরানের মিত্র বাশার আল-আসাদের পতনের পর মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

২০১৮ সালে ওয়াশিংটন ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়, যার পর থেকে দুই অঙ্কের মুদ্রাস্ফীতি ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধি বাড়িয়ে তুলেছে।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফিলিস্তিনপন্থী কর্মচারীদের তোপের মুখে মাইক্রোসফটের এআই সিইও

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফিলিস্তিনপন্থী কর্মচারীদের তোপের মুখে মাইক্রোসফটের এআই সিইও

প্রযুক্তি কম্পানির ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মাইক্রোসফটের এআই (কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা) সিইও মুস্তাফা সুলেমান ফিলিস্তিনি-পন্থী তাদেরই দুই কর্মচারীর প্রতিবাদের মুখে পড়েন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সরবরাহের জন্য প্রযুক্তি শিল্পের কাজের বিরুদ্ধে মাইক্রোসফটের ওই দুই কর্মচারী প্রতিবাদ জানান। অনুষ্ঠানে মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং সাবেক সিইও স্টিভ বলমারও উপস্থিত ছিলেন।

মাইক্রোসফটের এআই সিইও মুস্তাফা সুলেমান পণ্যের আপডেট এবং কম্পানির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহকারী পণ্য সম্পর্কে কথা বলছিলেন। এ সময় ওয়াশিংটনের রেডমন্ডে ওই অনুষ্ঠানে মুস্তাফা সুলেমানের বক্তব্যে বাধা দিয়ে মাইক্রোসফটের কর্মচারী ইবতিহাল আবুসাদ বলেন, ‘আপনি যুদ্ধের মুনাফাখোর। গণহত্যার জন্য এআই ব্যবহার বন্ধ করুন।’ 

d

এআই (কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা) সিইও মুস্তাফা সুলেমান

মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় মাইক্রোসফটের কর্মচারী ইবতিহাল আবৌসাদ চিৎকার করে বলেন, ‘মুস্তফা, তোমার লজ্জা হোক।

’  আবৌসাদ আরো বলেন, ‘তুমি দাবি করো যে, তুমি ভালোর জন্য এআই ব্যবহার করতে আগ্রহী কিন্তু মাইক্রোসফট ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে এআই অস্ত্র বিক্রি করে। সেখানে পঞ্চাশ হাজার মানুষ মারা গেছে এবং মাইক্রোসফট আমাদের অঞ্চলে এই গণহত্যার ক্ষমতা দিয়েছে।’ 

মাইক্রোসফটের এআই সিইও মুস্তাফা সুলেমান বক্তৃতা থামিয়ে জবাবে বলেন, ‘আমি আপনার প্রতিবাদ শুনছি, ধন্যবাদ।’ 

তবুও আবৌসসাদ চিৎকার করে বলতে থাকেন, তার এবং সকল মাইক্রোসফটের সদস্যদের হাতে রক্ত লেগে আছে।

এরপর তিনি মঞ্চে একটি কেফিয়া স্কার্ফ ছুঁড়ে মারেন, যা ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এ ঘটনার পর আবৌসসাদকে অনুষ্ঠার থেকে বের করে দেওয়া হয়। 

দ্বিতীয় আরো একজন প্রতিবাদকারী এবং মাইক্রোসফটের কর্মচারী ভানিয়া আগরওয়াল অনুষ্ঠানের আরেকটি অংশে প্রতিবাদ জানান। যেখানে বিল গেটস, বলমার এবং বর্তমান সিইও সত্য নাদেলা মঞ্চে ছিলেন।

এর আগে এই বছরের শুরুতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি তদন্তে  প্রকাশিত হয়েছিল যে, ইসরায়েলি সামরিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের মাইক্রোসফট এবং ওপেনএআই-এর এআই মডেলগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল।

যা ব্যবহার করে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা এবং লেবাননে সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন করেছে। 

ওই তদন্তে ২০২৩ সালে একটি ভুল ইসরায়েলি বিমান হামলার বিবরণও ছিল। যে হামলায় লেবানিজ পরিবারের সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়িতে আঘাত করা হয়েছিল। ওই হামলায় তিন তরুণী এবং তাদের দাদী নিহত হয়েছিল।

a

গত ফেব্রুয়ারিতেও চুক্তির প্রতিবাদ করার জন্য সিইও সত্য নাদেলার সঙ্গে এক বৈঠক থেকে পাঁচজন মাইক্রোসফট কর্মচারীকে বের করে দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানটি একটি অভ্যন্তরীণ সভা হলেও, গতকাল শুক্রবারের অনুষ্ঠানটি জনসমক্ষে হয়েছিল।  

মাইক্রোসফট বলেছে, তারা সকলের অভিযোগ শোনার জন্য অনেক পন্থার কথা জানিয়েছে, যাতে ব্যবসায়িক ব্যাঘাত না ঘটে। 

গতকাল শুক্রবার কম্পানির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা অনুরোধ করছি এমন কর্মকাণ্ড না ঘটানোর জন্য, যাতে ব্যবসায়িক ব্যাঘাত ঘটে। যদি তা ঘটে, তাহলে আমরা তাদের (প্রতিবাদকারী) অন্য জায়গায় সরে যেতে বলি। আমাদের ব্যবসায়িক অনুশীলনগুলো সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

মাইক্রোসফ্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আরো কোনো পদক্ষেপ নিবে কি না, তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মাইক্রোসফট। তবে এপি আবৌসাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, প্রতিবাদের পর তিনি এবং অন্য একজন প্রতিবাদী কর্মচারী তাদের কর্মক্ষেত্রের অ্যাকাউন্টে প্রবেশের অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। 

সূত্র : রয়টার্স, এপি

মন্তব্য

ভুলবশত সালভাদরে পাঠানো ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরাতে আদালতের নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভুলবশত সালভাদরে পাঠানো ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরাতে আদালতের নির্দেশ
কিলমার আব্রেগো গার্সিয়া। ছবি : সংগৃহীত

একজন মার্কিন ফেডারেল বিচারক শুক্রবার একজন সালভাদরান অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ওই ব্যক্তিকে গত মাসে ভুল করে এল সালভাদরে একটি কুখ্যাত কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ওয়াশিংটন থেকে বাংলাদেশ সময় শনিবার এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

১৫ মার্চ ট্রাম্প প্রশাসন একদল অবৈধ অভিবাসীকে এল সালভাদরে পাঠায়, যাদের মধ্যে ছিলেন পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী ২৯ বছর বয়সী কিলমার আব্রেগো গার্সিয়া।

বিচার বিভাগের আইনজীবীরা আদালতে দায়েরকৃত নথিতে স্বীকার করেছেন, আব্রেগো গার্সিয়া এক মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেছেন। তাকে ‘প্রশাসনিক ত্রুটির’ কারণে নির্বাসিত করা হয়েছিল।

জরুরি আদালতের শুনানিতে শুক্রবার ফেডারেল বিচারক পলা জিনিস বলেন, আব্রেগো গার্সিয়াকে গত ১২ মার্চ ‘আইনি ভিত্তি ছাড়াই’ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল এবং তিন দিন পর ‘কোনো প্রক্রিয়া বা আইনি যুক্তি ছাড়াই’ তাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। এ সময় তিনি আগামী ৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিচারক হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থাগুলোকে দেওয়া তার আদেশে বলেছেন, এল সালভাদরে তার অব্যাহত উপস্থিতি, স্পষ্টতই তার অপূরণীয় ক্ষতি।

এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এক্সে এক পোস্টে বিচারকের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি এল সালভাদরার প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা বিচারককে প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ আমরা জানি না, এল সালভাদর দেশের ওপর বিচারকের এখতিয়ার বা কর্তৃত্ব রয়েছে।

অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গত ১৫ মার্চ তিনটি বিমানে করে অবৈধ অভিবাসীদের এল সালভাদরে পাঠানো হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, বেশির ভাগ নির্বাসিত ব্যক্তি ভেনিজুয়েলার গ্যাং ট্রেন ডি আরাগুয়ার সদস্য এবং তাদের সংক্ষিপ্ত বহিষ্কারকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য তারা অল্প পরিচিত ১৭৯৮ এলিয়েন শত্রু আইন প্রয়োগ করেছে।

অন্যদিকে বহিষ্কৃত অভিবাসীদের বেশ কয়েকজনের আইনজীবী বলেছেন, তাদের মক্কেলরা ট্রেন ডি আরাগুয়ার সদস্য ছিলেন না। তারা কোনো অপরাধও করেননি এবং মূলত তাদের ট্যাটুর কারণেই তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। 

আব্রেগো গার্সিয়া ২০১৯ সাল থেকে সুরক্ষিত আইনি মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন।

তখন একজন বিচারক রায় দিয়েছিলেন, তাকে বহিষ্কার করা উচিত নয়। কারণ তাকে এল সালভাদরে ক্ষতিগ্রস্থ করা হতে পারে।

অপ্রকাশিত প্রমাণের বরাত দিয়ে হোয়াইট হাউস এই সপ্তাহের শুরুতে জোর দিয়ে বলেছিল, আব্রেগো গার্সিয়া সালভাদরান গ্যাং এমএস-১৩-এর সদস্য ছিলেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, ‘প্রশাসনের অবস্থান হলো, যে ব্যক্তিকে এল সালভাদরে নির্বাসিত করা হয়েছিল, সে নৃশংস ও নিষ্ঠুর এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য ছিল।’

আরেক ফেডারেল বিচারক জেমস বোসবার্গ ট্রাম্প প্রশাসনকে এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্টের অধীনে আরো নির্বাসন কার্যকর করতে নিষেধ করেছেন, যা পূর্বে শুধু ১৮১২ সালের যুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল।

ট্রাম্প প্রশাসন এল সালভাদরের কারাগারে অভিযুক্ত গ্যাং সদস্যদের শিকলবদ্ধ ও মাথা ন্যাড়া করার ছবি ব্যবহার করেছে, যা অবৈধ অভিবাসন দমনে তাদের কঠোর পদক্ষেপের প্রমাণ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

মন্তব্য

আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন শুরু করেছে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন শুরু করেছে পাকিস্তান

পাকিস্তানে বসবাসকারী আফগান শরণার্থীদের জন্য সময়সীমা ৩১ মার্চ শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে পাকিস্তান সরকার ১ এপ্রিল থেকে আফগান নাগরিক কার্ডধারী (এসিসি) এবং অন্যান্য অবৈধ শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার করাচিতে সিটি প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ১৬ হাজার ১৩৮  এসিসি ধারীর প্রত্যাবাসন শুরু করেছে। সরকারের অবৈধ বিদেশিদের বিতাড়নের নীতির অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ১৫০ জনের বেশি আফগানকে আটক করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এর আগে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় ৬ মার্চ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘সব অবৈধ বিদেশি এবং এসিসিদের ৩১ মার্চ ২০২৫-এর আগে স্বেচ্ছায় দেশ ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে; এরপর ১ এপ্রিল থেকে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন শুরু হবে।’

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি সিন্ধু সরকারকে অবৈধ বিদেশি প্রত্যাবাসন পরিকল্পনার (আইএফআরপি) অধীনে সব এসিসি ধারীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই পরিকল্পনায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের সময়সীমা ছিল, যা শেষ হওয়ার পর ১ এপ্রিল থেকে ‘জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন’ শুরু হয়েছে।

সিন্ধু স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তৈরি করা আইআরএফপি অনুসারে, করাচি এবং জ্যাকোবাবাদে একটি ‘হোল্ডিং পয়েন্ট’ স্থাপন করা হয়েছে।

এ ছাড়া শহীদ বেনজীরাবাদের সাকরুন্দে একটি ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ রয়েছে, যার মোট ধারণক্ষমতা এক হাজার ৫০০ জন।

সাউথ ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) সৈয়দ আসাদ রেজা জানান, এখন পর্যন্ত ১৬২ এসিসিধারীকে হোল্ডিং ক্যাম্পে আনা হয়েছে, যাদের মধ্যে কিছু প্রমাণপত্রধারী (পিওআর) হওয়ায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৩ এপ্রিল বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ১৯৬ আফগানকে ক্যাম্পে আনা হয়, যাদের মধ্যে ২০ জন পিওআর থাকায় মুক্তি পেয়েছে। ৪ এপ্রিল (শুক্রবার) আরো ৯০ জন এলে ১০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

অর্থাৎ মোট ২৪২ জন আফগানকে প্রত্যাবাসনের জন্য আনা হয়েছে।

আরো পড়ুন
সেই ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা উন্মোচন ট্রাম্পের, কবে থেকে পাওয়া যাবে?

সেই ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা উন্মোচন ট্রাম্পের, কবে থেকে পাওয়া যাবে?

 

রেজা জানান, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং অন্যান্য সংস্থার যৌথ ম্যাপিংয়ে করাচিতে মোট ১৬ হাজার ১৩৮ জন এসিসিধারীর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ পূর্ব ও পশ্চিম জেলায় বসবাস করছে।

মন্তব্য

বেলুচিস্তানে রাজনৈতিক কর্মী জাহির বালোচ গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বেলুচিস্তানে রাজনৈতিক কর্মী জাহির বালোচ গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

ঈদুল ফিতরের দিনে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বেলুচিস্তানের কোয়েটার সিনিয়র রাজনৈতিক কর্মী জাহির বালোচকে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।

দ্য বেলুচিস্তান পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে জাহির বালোচকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে হুদা জেলে স্থানান্তর করা হয়।

তার পরিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

ন্যাশনাল পার্টি এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, সিনিয়র রাজনৈতিক কর্মী জাহির বালোচকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

এদিকে, গোটা বেলুচিস্তানজুড়ে বেলুচ কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এবং গুম ও বেআইনি গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা এই অব্যাহত গ্রেপ্তারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ