ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, তেহরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে আলোচনায় বসবে না।
পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়ে তেহরানের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানানোর এক দিন পর গত শনিবার খামেনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার প্রচারিত ফক্স বিজনেস অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্রধর হওয়া ঠেকাতে দুটি পথ আছে। একটি হচ্ছে সামরিক পথ, অন্যটি তাদের সঙ্গে চুক্তি করা।
এর প্রতিক্রিয়ায় খামেনি বলেছেন, ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘তাদের চাহিদা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া’। ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে খামেনি বলেছেন, ‘আলোচনায় বসতে কিছু গুণ্ডা সরকারের চাপ প্রয়োগ সংকটের সমাধান করবে না। তাদের জন্য আলোচনার মানে হচ্ছে নিত্যনতুন দাবি তোলার পথ, এটা কেবল ইরানের পারমাণবিক ইস্যুই নয়।
ইরান নিশ্চয়ই তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে না।’
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার এ মন্তব্যের জবাবে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজেস তাঁর কর্তা ট্রাম্পের কথা প্রায় হুবহু পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরানের হাতে দুটি পথ খোলা, হয় আলোচনায় বসা, নয়তো সামরিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হওয়া।
তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখালেও ইরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ও দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদের মতোই ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মেয়াদেই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান পারমাণবিক চুক্তি নামে খ্যাত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) থেকে বের করে আনেন। ওই চুক্তিতে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। সূত্র : আলজাজিরা