দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া আরো অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু এই পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব সংকট’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল, যা নতুন রেকর্ড তৈরি করছে।
’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ হাজারের বেশি সেনাসহ হাজার হাজার ফায়ার সার্ভিসকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হেলিকপ্টারও নিয়োগ করা হয়েছে। তবে প্রবল বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রুের চেষ্টা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
গতকাল বুধবার পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আগুনে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক হাজার ৩০০ বছরের পুরনো গৌনসা মন্দির। বন বিভাগ জানিয়েছে, জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত জোসন রাজবংশের (১৩৯২-১৯১০) সময়কার একটি স্থাপত্য নিদর্শনও দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উইসিয়ং কাউন্টির পাহাড়ে অগ্নিনির্বাপণের সময় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।
জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা গত মঙ্গলবার দাবানল মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। চলতি বছর প্রথমবারের মতো এই ধরনের সতর্কতা জারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে, যা আকারের দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম দাবানল। সূত্র : এএফপি