ইয়েমেনের হোদেইদাহ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ মারাত্মক হামলা এটি। এরই মধ্যে ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী এবং আরো যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।
হুতির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখপাত্র আনিস আলাসবাহি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে মার্কিন হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার হোদেইদাহ প্রদেশের আল-মানসুরিয়াহ জেলার পানি ব্যবস্থাপনা ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে তিনজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ওই ভবনের কর্মী।
হুতি সমর্থিত আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজন হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের হাজ্জাহ অঞ্চল এবং উত্তরের সাদায় হামলা হয়েছে।
আল মাসিরাহ টিভি সাদা ও সানা অঞ্চলে একাধিক মার্কিন হামলার খবর প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্র এই হামলা চালিয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করেনি। গত সোমবার রাতের হামলায় যদিও কোনো হতাহতের খবর মেলেনি।
গত ১৫ মার্চ হুতি বাহিনীর বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে ইয়েমেনের ৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে চলমান ইসরায়েলসংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলার হুমকি দিয়েছিল।
গত মঙ্গলবার পেন্টাগন ঘোষণা দিয়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর সংখ্যা দুইয়ে উন্নীত করবে। এরই মধ্যে একটি রণতরী লোহিত সাগরে মোতায়েন রয়েছে। আরেকটি এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে পাঠানো হবে।
পেন্টাগন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা সেন্টকম আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই অঞ্চলে সংঘাত বাড়াতে চাওয়া যেকোনো দেশ বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত।
এদিকে গত মঙ্গলবার হুতি দাবি করেছে, বিমানবাহী রণতরী ট্রুম্যান সংশ্লিষ্ট জাহাজে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়া হয়েছে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন সামরিক জাহাজের ওপর এটি তৃতীয় হামলা বলে জানিয়েছে আল মাসিরাহ টিভি। সূত্র : আলজাজিরা