দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করলেন আদালত

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করলেন আদালত
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত নেতা ইউন সুক ইওলের বিরোধীরা সিউলে গণতান্ত্রিক সরকার গড়ার ডাক দিয়ে সমাবেশ করে। ছবি : এএফপি

সর্বসম্মতিক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের অভিশংসন বহাল রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালতের বিচারকদের প্যানেল। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে আদালত এই রায় জানিয়েছেন।

https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/04.April/05-04-2025/2/kalerkantho-dd-3a.jpgএর অর্থ হলো এখন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইউন সুক ইওলকে অপসারণ করা হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় অযাচিতভাবে সামরিক আইন জারির দায়ে ইউন সুক ইওলকে অভিশংসন ও বরখাস্ত করা হয়।

পাশাপাশি তখন পার্লামেন্টের ভোটে তাঁকে সাময়িকভাবে অপসারণ করা হয়। অবশেষে গতকাল দেশটির সাংবিধানিক আদালতের রায়ে এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হলো। আগামী দুই মাস, অর্থাৎ পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এই রায়ের মধ্য দিয়ে ইউনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হলেও দেশটির পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

রাজধানী সিউলের রাস্তায় ইওলপন্থী ও বিরোধী হাজারো বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে দেশটির অ্যাক্টিং বা কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হ্যান ডাক-স্যু জননিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য একটি জরুরি আদেশ জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা বজায় রাখবে এবং দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ও কূটনীতিতে কোনো প্রকার শূন্যতা সৃষ্টি হতে দেবে না।

নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গত বছর তড়িঘড়ি সামরিক আইন জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছিলেন ইউন সুক ইওল। গতকাল আদালত রায় দিয়েছেন যে ইওলের সামরিক শাসন জারি ন্যায়সংগত ছিল না। এ ব্যাপারে সাংবিধানিক আদালতের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট বিচারপতি মুন হিয়ং-বে বলেছেন, জরুরি পরিস্থিতির কোনো অস্তিত্ব ছিল না। তাঁর মতে, ওই পরিস্থিতি সেনা মোতায়েন ছাড়া ভিন্ন উপায়ে সমাধান করা সম্ভব ছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করতে ইউন সুক ইওলের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত জাতীয় পরিষদের বৈধতার ওপর হস্তক্ষেপ করেছে বলেও মতামত দিয়েছেন বিচারপতি। সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মার্কিন সেনার সাজা কমাল রাশিয়া

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
মার্কিন সেনার সাজা কমাল রাশিয়া

একজন মার্কিন সেনার সাজা সাত মাস কমিয়েছেন রাশিয়ার একটি আদালত। গতকাল সোমবার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, প্রেমিকার টাকা চুরি এবং তাঁকে হত্যার হুমকির দায়ে মার্কিন সেনা সদস্য গর্ডন ব্লাককে রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তক আদালত তিন বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন গত বছরের জুনে। গতকাল ওই শহরের একটি আপিল কোর্ট রায় দিয়েছেন, গর্ডনের কারাদণ্ড সাত মাস কমিয়ে তিন বছর দুই মাস করা হয়েছে। তাঁর আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে শুনানির পর কারাদণ্ড কমানো হলো।

গর্ডনের আইনজীবী আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন, হত্যার হুমকির জন্য তাঁর মক্কেলের দোষী সাব্যস্ত হওয়া বাতিল এবং চুরির বিষয়টি যেন কম গুরুতর হিসেবে পুনর্বিবেচনা করা হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে আটক হয়েছিলেন গর্ডন। দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মরত অবস্থায় একজন রুশ নারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তিনি। ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতেই গর্ডনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, গর্ডন তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার রুবল চুরি করেছেন এবং শারীরিকভাবে আঘাতের পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিয়েছেন। চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন গর্ডন। সূত্র : মস্কো টাইমস

 

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

জাপানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৩

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
জাপানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৩

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সমুদ্রে একটি মেডিক্যাল হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে রোগীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গত রবিবার বিকেলে নাগাসাকি অঞ্চলের সুশিমা দ্বীপ থেকে ফুকুওকা শহরের একটি হাসপাতালে যাওয়ার পথে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারটিতে মোট ছয়জন আরোহী ছিলেন। গতকাল সোমবার দেশটির কোস্ট গার্ড এই কথা জানিয়েছে।

হাসপাতালটির প্রধান রিউজি টোমিনাগা সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারসহ ছয় আরোহীকে খুঁজে পায় একটি টহল জাহাজ। জাপানের কোস্ট গার্ড জানায়, এই দুর্ঘটনায় ৮৬ বছর বয়সী একজন রোগী, তাঁর পরিবারের ৬৮ বছর বয়সী এক সদস্য এবং ৩৪ বছর বয়সী একজন ডাক্তার নিহত হয়েছেন। তবে হেলিকপ্টারটির পাশে থাকা অন্য তিনজন ব্যক্তি জীবিত ছিলেন।
গতকাল হেলিকপ্টার অপারেটরের এক কর্মকর্তা জানান, হেলিকপ্টারটিতে থাকা পাইলট ও মেকানিক উভয়ই অভিজ্ঞ ছিলেন এবং আবহাওয়াও ফ্লাইটের জন্য অনুকূলে ছিল। সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে হামের প্রাদুর্ভাব আরেক শিশুর মৃত্যু

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে হামের প্রাদুর্ভাব আরেক শিশুর মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। হামে পশ্চিম টেক্সাসে গত ফেব্রুয়ারিতে এক শিশুর মৃত্যুর পর এবার দ্বিতীয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই রোগ ছড়িয়ে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এ বছর এখন পর্যন্ত ৬০০ পেরিয়ে গেছে। 

টেক্সাসে গত বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া দ্বিতীয় শিশুটির বয়স ছিল আট বছর।

টেক্সাসের ইউএমসি হেলথ সিস্টেমের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যারন ডেভিস বলেন, স্কুলগামী এই শিশু হামের জটিলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাকে হামের টিকা দেওয়া হয়নি। তার অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যাও ছিল না।

এদিকে হামের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র গত রবিবার টেক্সাস সফর করেন।

  প্রাদুর্ভাব প্রতিবেশী রাজ্যগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

বন্যায় কঙ্গোর রাজধানীতে ৩০ জনের প্রাণহানি

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
বন্যায় কঙ্গোর রাজধানীতে ৩০ জনের প্রাণহানি

কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত রবিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যায় বহু বাড়ি ও সড়ক ধ্বংস হয়ে গেছে।

কিনশাসার প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাট্রিসিয়েন গঙ্গো আবাকাজি বলেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

কিনশাসা শহরের জনসংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ। শহরটির একাংশের মধ্য দিয়ে  প্রবাহিত এনজিলি নদীর পানি প্রবল বৃষ্টিতে উপচে পড়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে পানি আশপাশের সড়কে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এতে সেখানকার প্রধান জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।

গত শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ওই পথে আটকা পড়ে আছে বহু গাড়ি।

বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে আটকা পড়ে গাড়িতেই রাত কাটাতে হয়েছে কিনশাসার বাসিন্দা প্যাট্রিসিয়া মিকোঙ্গাকে। তিনি বলেন, এক বন্ধুর সঙ্গে বিমানবন্দরে দেখা করতে গিয়ে রাতটা গাড়িতেই কাটাতে হয়েছে। আশপাশে গাড়ি রাখার নিরাপদ জায়গা ছিল না।

আকস্মিক বন্যার কারণে শহরের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মাকালা এলাকার বাসিন্দা কেরেন ইয়ালা বলেন, বাসায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এটাই এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা আমাদের।

কিনশাসার গভর্নর ড্যানিয়েল বুম্বা লুবাকি বলেন, পানি সরবরাহের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে সরবরাহ আবার চালু হবে।

পানি নিষ্কাশন না হওয়ার অন্যতম কারণ অবৈধ বসতি বলেছেন তিনি। এসব অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান তিনি। পানি বিশেষজ্ঞ ড. রাফায়েল তসিমাঙ্গা মুয়াম্বা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এসব কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। সূত্র : এএফপি

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ