বাংলাদেশের যত অর্জন তা আ. লীগের হাতেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলাদেশের যত অর্জন  তা আ. লীগের হাতেই
আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত আলোচনাসভা মঞ্চে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : পিএমও

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। ফলে বারবার আঘাত এসেও দলের ক্ষতি করতে পারেনি। বাংলাদেশের যত অর্জন, তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে।

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে গতকাল রবিবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের যত অর্জন  তা আ. লীগের হাতেইদলের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে। বাঙালির যতটুকু অর্জন তা আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বারবার এই দলের ওপর আঘাত এসেছে। বারবার এই দলকে খণ্ডবিখণ্ড করা হয়েছে।

বারবার এই দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের মার্শাল ল থেকে শুরু। তখন থেকেই এ ধরনের আঘাত এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন, আওয়ামী লীগ আর্থ-সামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। কাজেই বারবার আঘাত এসেও এই সংগঠনকে কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। ফিনিক্স পাখির মতো পুড়িয়ে ফেলার পরও ভস্ম থেকে জেগে ওঠে, ঠিক সেভাবে আওয়ামী লীগও জেগে উঠেছে। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিলআওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে নতুন কিংস পার্টি গড়ে তুলবে। সেটাও করতে পারেনি, কারণ আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক।

এই সৈনিকরা কখনো পরাভব মানেন না, মাথানত করেন না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, হয়তো কখনো কখনো কোনো নেতা ভুল করেছেন। কেউ আওয়ামী লীগে থাকতে মনে করেছেন তাঁরাই বোধ হয় বড় নেতা। দলের চেয়ে নিজেকে বড় মনে করে কেউ দল ছেড়ে গিয়ে অন্য দল করেছেন, কেউ দল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু তাঁরা ভুল করেছেন। আকাশে মিটিমিটি তারা জ্বলে। তারা আলোকিত হয় কার দ্বারা? সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়। যেসব নেতা ভুল করেছিলেন তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন যে তাঁরা আলোকিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন বলেই। এখান থেকে চলে যাওয়ার পর ওই তারা আর জ্বলে নাই, তারা আস্তে আস্তে নিভু নিভু, কেউ মিটেই গেছে। কেউ ভুল বুঝতে পেরে হয়তো ফেরত এসেছেন, আমরা নিয়েছিও। আবার কেউ এখনো আওয়ামী লীগ সরকার পতন, ধ্বংসনানা জল্পনাকল্পনা করে যাচ্ছেন।

দেশ গঠনে দলের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছেই তো বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, যা আমরা প্রমাণ করেছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বারবার ক্ষমতা বদল হয়েছে। প্রত্যেক ক্ষমতা বদল হয়েছে হয় অস্ত্রের মাধ্যমে না হয় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। জনগণের খাদ্য, বাসস্থান, আহার, শিক্ষা, চিকিৎসাকোনো ভাগ্যই তারা পরিবর্তন করতে পারেনি। নিজেদের বিলাসিতা, অর্থ-সম্পদ বানানো, অর্থপাচার, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুনখারাবি, অস্ত্রের ঝনঝনানি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে সেখানে ক্ষমতার ভিত্তি তৈরি করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। তারা ভুলে গেছে, জনগণের শক্তি অপরিসীম। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে এ দেশের স্বাধীনতার সূর্য অস্ত যায়। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠিত হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেই মেহেরপুরের আম্রকাননে। যেখানে চক্রান্ত হয় সেই কুঠিবাড়ি কিন্তু এখান থেকে বেশি দূরে নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের ফলে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।...মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা দেশে ফিরে এসে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি এখানে ঘোষণা দিয়ে মাত্র তিন বছর সাত মাসের মধ্যে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। এত অল্প সময়ে পৃথিবীর ইতিহাসে আর কেউ এটা পেরেছে কি না আমার জানা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু করতে পেরেছিলেন, কারণ সংগঠন ছিল সব সময় বঙ্গবন্ধুর পাশে। যুদ্ধের পর হেঁটে, নৌকায় করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছানো, ত্রাণ পৌঁছানোএসব কাজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই করেছেন। তাঁরাই গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এরপর ২১ বছরের ইতিহাস পেছনে চলে যাওয়ার ইতিহাস, বঞ্চনার ইতিহাস, ক্ষুধার্ত নরনারীর হাহাকারের ইতিহাস, দুর্ভিক্ষের ইতিহাস, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের ইতিহাস।

আবেগতাড়িত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, প্রচণ্ড শীত, প্রচণ্ড গরমে বঙ্গবন্ধু জেলখানায় কাটিয়েছেন। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কখনো নিজের কষ্টের কথা বলেননি। আমরা যখন বারবার জানতে চাইতাম তখন তিনি একটি কথাই বলেছেনতোরা শুনিস না, শুনলে সহ্য করতে পারবি না। তিনি আমাদের তাঁর কষ্টের কথা বলেননি। যে জাতিকে ভালোবেসে এত অত্যাচার সয়েছেন, তাঁকেই নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আমরা দুই বোন এতিম হয়ে গেলাম। বিদেশে রিফিউজি হিসেবে আমাদের থাকতে হলো, আমাদের নামটা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারিনি।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমার একটাই আবেদন থাকবে সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীর কাছেসংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। যেকোনো রাজনীতিবিদের জীবনে সংগঠন হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী। যদি সংগঠন শক্তিশালী হয় আর দেশের মানুষের সমর্থন পাওয়া যায়, তাহলে যতই ষড়যন্ত্র হোক...। সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে আর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আর সেই আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই জনগণ বারবার আমাদের ভোট দিয়েছে।

বিকেল পৌনে ৪টার আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আলোচনাসভার আগে দেশবরেণ্য শিল্পীরা গান ও নাচ পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে আলোচনাসভা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতির আগে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শিরীন আখতার, নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন ও দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের ভিড়

শেয়ার
ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের ভিড়
ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের ভিড়। গতকাল রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে। ছবি : লুৎফর রহমান
মন্তব্য

গরমের তীব্রতা

শেয়ার
গরমের তীব্রতা
গরমের তীব্রতা বাড়ছে। একটু স্বস্তি পেতে পানিতে নেমে সাঁতার কাটছে দুই শিশু। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে তোলা। ছবি : ফোকাস বাংলা
মন্তব্য
জামায়াতের আমির

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য থাকা উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য থাকা উচিত
শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতে পারে। তবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকা উচিত। গতকাল রবিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দ্য ফোরাম অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ভিন্নমত গণতন্ত্রের সৌন্দর্যের অংশ, যাকে সম্মান জানিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশে প্রতিহিংসার অবসান ঘটবে এবং মানবিক মূল্যবোধের বিজয় হবে।

তিনি বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের রায় হাইকোর্টে প্রত্যাশিতভাবে এসেছে। তিনি এ রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে আবরারের পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।

শফিকুর রহমান বলেন, আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন।

মানুষকে তিনি ভালো-মন্দের জ্ঞান বা বিবেক দিয়েছেন। প্রকৌশলীরা হচ্ছেন মানুষের মধ্যে অন্যতম সেরা মেধাবী। কিন্তু একজন মানুষের মাঝে শুধু জ্ঞান ও দক্ষতা থাকলেই হবে না, তাকে একই সঙ্গে সত্ হতে হবে। তাহলেই তার দ্বারা দেশ এবং জাতি উপকৃত হবে।

ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও দ্য ফোরাম অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল আলম খান মিলন ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।

 

 

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক মানের ভোট চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আন্তর্জাতিক মানের ভোট চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখতে চায়। ইসিও এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি আমরা।

গতকাল রবিবার বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠকে সিইসির সঙ্গে ইসি সচিবও উপস্থিত ছিলেন।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সিইসি বলেন, মূলত আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি কী আছে, তা উনারা জানতে চেয়েছিলেন। আমরা যা যা করছি তাঁদের জানিয়েছি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতির সব কিছু জানিয়েছি।

উনারা জানতে চেয়েছিলেন, ভোটের বাজেট কত, টাকা-পয়সা ঠিকমতো আছে কি না, কোনো রকম অসুবিধা আছে কি না। আমরা বলেছি, আমাদের টাকা-পয়সার কোনো অসুবিধা নেই। সরকারের কাছে বাজেট চেয়েছি। তবে উনারা (ইইউ) আমাদের সাহায্য করতে চান।

সিইসি বলেন, আমাদের কী প্রয়োজন, সেটি জানতে চান তাঁরা। আমরা বলেছি, ইউএনডিপি এরই মধ্যে একটা নিড অ্যাসেসমেন্ট করেছে। একটা টিম পাঠিয়েছিল, কী কী সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে, এরই মধ্যে প্রজেক্টও বানিয়েছে। নির্বাচনের জন্য যে ধরনের সহায়তা প্রয়োজন হবে তা দিতে তাঁরা প্রস্তুত আছেন। নির্বাচন কমিশনকেই শুধু নয়, বাংলাদেশের উন্নয়নেও সহায়তা করতে চান তাঁরা।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, তাঁরা আগামী মাসে একটি কর্মশালা করবেন। এতে ইসি সচিবসহ ইসির প্রতিনিধিরা যাবেন। সেখানে সিভিল সোসাইটি থাকবে। আমরা জোর দিয়েছি দলের পোলিং এজেন্ট, ভোটার এডুকেশন ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে।

সিইসি জানান, ইসি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের কিভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। ভোটার এডুকেশন ও পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছেন তাঁরা। আরো সহায়তা লাগলে জানানো হবে, সর্বতোভাবে সহায়তায় প্রস্তুত রয়েছেন তাঁরা।

সিইসি বলেন, উনারা চান যে আন্তর্জাতিক মানের একটি নির্বাচন হোক। আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন উনারা দেখতে চান। আমরাও তো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানে আমাদের দ্বিমত নেই। তাঁরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান, যেটা আমাদেরও ওয়াদা। এটা আমরাও চাই। নিরপেক্ষভাবে আমরা কাজ করব, এটা তো আমরা ঘোষণা দিয়েছি। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছি।

যা বললেন মিলার : ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান মাইকেল মিলার সাংবাদিকদের জানান, এটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাঁদের দ্বিতীয় সভা।

তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বর্তমানে যে কাজ করছে সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে জানতে পেরেছি।

মিলার বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ তার রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেহেতু (সিইসির কাছে) তিনটি বার্তা পেশ করেছি। প্রথমত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই দেশের জন্য একটি দৃঢ় অংশীদার এবং আমরা এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সময়ে আপনার পাশে আছি। দ্বিতীয়ত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সঙ্গে তার অংশীদারিকে সব দিকে শক্তিশালী করতে চায় এবং আমরা এখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করতে এসেছি, যাতে তারা গত বছর আপনার নিজস্ব নাগরিকদের প্রকাশিত প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে এবং তৃতীয় বার্তাটি হলো, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই দেশে নির্বাচন পরিচালনাকে সমর্থন করবে।

মিলার জানান, নির্বাচন কমিশনকে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক বিষয়েও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ইইউ। বিদেশি পর্যবেক্ষক মোতায়েনের বিষয়েও নির্বাচন কমিশনকে অবগত করা হয়েছে।

আজ ওআইসি মিশনপ্রধানদের বৈঠক : আজ সোমবার ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) দেশগুলোর বাংলাদেশ মিশনপ্রধানদের কাছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে বৈঠক হতে যাচ্ছে।

এই বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিশনপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ