<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রক্তসমুদ্রে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে গত ৫ আগস্ট। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে পাঁচ মাস। মুছে গেছে রক্তের দাগ। ঘটনাবহুল এই সময় বদলে গেছে অনেক কিছু। তবে এখনো জুলাই-আগস্ট রক্তঝরা উত্তাল দিনগুলোর কথা মনে করে অনেকে নীরবে কাঁদেন। ছাত্র-জনতার ন্যায্য দাবির কথা খবরের কাগজে তুলে ধরতে গিয়ে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছে অনেক কলমসৈনিকের বুক। সেই শহীদদের কাগজের ঘর আজও ভেজে চোখের জলে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="কাগজের ঘর ভেজে চোখের জলে" height="270" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11. january/09-01-2025/78990.jpg" style="float:left" width="319" />মেহেদীর অবুঝ মেয়েদের রাতজাগা প্রতীক্ষা, প্রিয় বাবাকে একটিবার ছুঁয়ে দেখতে ছোট্ট পারমিতার ব্যাকুলতা, শাকিলের শার্ট জড়িয়ে বৃদ্ধা মায়ের গগনবিদারী আহাজারি, হাতের মেহেদি শুকানোর আগেই বিধবা হওয়া তুরাবের স্ত্রীর সারা জীবনের আক্ষেপ এবং প্রদীপের ঘরে অমানিশার অন্ধকার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের বেদনার ইতিহাস এখানেই শেষ নয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছরের জুলাই ও আগস্টে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা যে ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করে, তাতে বড় ভূমিকা ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের। নজিরবিহীন ওই আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন। শোকাতুর এসব পরিবার ধুঁকছে নানা সংকটে। প্রিয়জন হারানো এসব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে কালের কণ্ঠ। ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভক্ষণে এই পরিবারগুলোকে বিনম্র্র শ্রদ্ধা জানিয়েছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন পত্রিকাটি। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এই পাঁচজন শহীদ সাংবাদিকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করবেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেহেদীর অবুঝ মেয়েদের রাতজাগা প্রতীক্ষা </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৩০ ডিসেম্বর মাইমুনা বিনতে নিশার জন্মদিন ছিল। এবার আর তার জন্মদিন পালন করেনি কেউ। প্রতিদিন সন্ধ্যায় চিপসও নিয়ে আসে না কেউ বাবার মতো। বাবাহীন পৃথিবীতে হয়তো কোনো রকমে বেড়ে উঠবে নিশা। হয়তো একদিন সে মায়ের কাছ থেকে জানবে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ও কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার পালানোর গল্প। যে সময় কলমসৈনিকের ভূমিকায় জীবন নিভে গেছে পুলিশের ছোড়া গুলিতে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রিয়তমা স্বামীকে হারিয়ে দিশাহারা শহীদ সাংবাদিক হাসান মেহেদীর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম পপি। দুই সন্তান নিয়ে কিভাবে চলবে সংসার? বাবার প্রতীক্ষায় বড় মেয়েটি অনেক রাত অবধি ঘুমায় না। ক্ষণে ক্ষণে জানতে চায়, বাবা কখন ফিরবে ঘরে? বাবা যে আর ফিরবেন না, এ কথা কে তাকে বলে বোঝাবে?</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার এলাকায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মেহেদী (৩২)। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউয়িনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হোসনাবাদ গ্রামে। বাবা মোশারেফ হোসেন (৫৫) স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি। স্ত্রী ফারহানা ইসলাম পপি (২৫), দুই মেয়ে নিশা আক্তার (৩) ও আনিশাকে (সাত মাস) নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন মেহেদী। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাবার জন্য ছোট্ট পারমিতার ব্যাকুলতা </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবু হেনা মোস্তফা জামান ও সামছি আরা জামানের সংসারে নব্বই দশকে জন্ম তাহির জামান প্রিয়র। রংপুর শহরেই তাদের বাড়ি। জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গুছিয়ে এনেছিলেন সব কিছু। মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। কথা ছিল কদিন পরই ঢাকায় নতুন চাকরিতে যোগ দেবেন। তা আর হলো না। ১৯ জুলাই ধানমণ্ডির সেন্ট্রাল রোডে সংঘর্ষ চলাকালে শহীদ হন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সাবেক ভিডিও জার্নালিস্ট প্রিয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রচুর বই পড়তেন প্রিয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। স্বপ্ন ছিল চলচ্চিত্র নির্মাণের। জড়িয়ে ছিলেন চিত্রকর্ম, ফটোগ্রাফিসহ সৃজনশীল কাজের সঙ্গে। বিভিন্ন সিনেমা ও সিরিজ নিয়ে পর্যালোচনা (রিভিউ) করার বিষয়ে তাঁর ছিল বিশেষ দক্ষতা ও আগ্রহ। পাঠশালা-সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট থেকে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি (পেশাদার আলোকচিত্র) কোর্সের ওপর ডিপ্লোমা করেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রিয়র কথা ভেবে আজও চোখের জলে ভাসেন মা শামসী। আর ছোট্ট মেয়ে পারমিতা বাবাকে একটিবার ছুঁয়ে দেখতে চায়। সারাক্ষণ বলে বেড়ায়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি আমার প্রিয় বাবার কাছে যাব। প্রিয় বাবাকে নিয়ে আসব। প্রিয় বাবা আমাকে আর ঘাড়ে নেয় না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শাকিলকে হারিয়ে অসহায় পরিবার </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তখন তুঙ্গে। উত্তরার আজমপুরে চলছিল ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। তখন খুব কাছ থেকে ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলছিলেন দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি শাকিল হোসেন। সেখানে তিনি নির্মমভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন বোনের একটিমাত্র ভাই ছিলেন শাকিল। ৯ বছর আগে স্ট্রোক করে শারীরিকভাবে অচল হয়ে মা এখন বাকরুদ্ধ। বাবা মাটির হাঁড়িপাতিলের ব্যবসা করে যা আয় করতেন, তা দিয়ে চলত না সংসার। মায়ের ওষুধ আর বাবাকে সংসারে সহযোগিতা করার জন্য সাংবাদিকতার পাশাপাশি টিউশনি করতেন শাকিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোনো দিন যদি টিউশনি শেষে শাকিল বাসায় আসতে দেরি করতেন, মা ততক্ষণ না খেয়েই থাকতেন। এখন শাকিল নেই। তাই মা জীবিত থেকেও যেন মৃত। ছেলের শোকে কাঁদতে কাঁদতে প্রায়ই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। শাকিলের পরনের শার্টটি সব সময় তিনি বুকের কাছে আগলে রাখেন। জড়িয়ে ধরে চোখের জলে ভাসেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘটনার দিন বড় বোন বিউটি বেগমের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন শাকিল। জানিয়েছিলেন উত্তরার উত্তাল পরিস্থিতির খবর। বোনকে বলেছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেকোনো সময় মারা যেতে পারি। চিন্তা করো না। আমরা যারা অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছি, সবার জন্য মাকে দোয়া করতে বলো।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শাকিল টঙ্গী সরকারি কলেজের বিএসএস (পাস) ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র ছিলেন। একমাত্র ছেলের শোকে এখনো স্তব্ধ বৃদ্ধ বাবা বেলায়েত হোসেন। থাকেন টঙ্গীর দত্তপাড়ার একটি ভাড়া বাসায়। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কাফিলাতলিতে। বেলায়েত কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার ছেলেকে পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলেছে। গুলি তার বুকের ভেতর দিয়ে ঢুকে পেছন দিয়ে বড় সুড়ঙ্গ হয়ে বেরিয়ে গেছে। এত নির্মমতা আমার ছেলের সঙ্গে ঘটেছে, তা ভাবলে আর স্থির থাকতে পারি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর কথা ছিল সদ্য বিবাহিত তুরাবের </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাতের মেহেদি শুকায়নি তখনো। সদ্য বিবাহিত আবু তাহের তুরাবের মাস দুয়েকের মধ্যেই নববধূকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর কথা। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হলে ঘরে বসে থাকতে পারেননি দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সিলেট ব্যুরো প্রধান তুরাব। আন্দোলনের সময় মাঠে দায়িত্ব পালনকালে ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র কোর্ট পয়েন্টে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর মাসখানেক আগে লন্ডনি কন্যাকে বিয়ে করেন সিলেটের এই সাংবাদিক। দুই-আড়াই মাসের মধ্যে তাঁর লন্ডনে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর আগেই গুলিতে ঝাঁঝরা হতে হয় তুরাবকে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে। বাবা মাস্টার আব্দুর রহিম পেশায় শিক্ষকতা করলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। মূলত বাবার অনুপ্রেরণাতেই সাংবাদিকতায় আসা তুরাবের। নয়া দিগন্ত পত্রিকার বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করলেও নিজের জীবনের স্বপ্নগুলোকে পরিপূর্ণ করতে অল্প সময়ের মধ্যে পাড়ি জমান সিলেট শহরে। সেখানে গিয়ে সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। একাগ্রতা আর শ্রমের গুণে পত্রিকার সিলেট ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পেয়ে যান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অল্প বয়সে ছেলেকে এভাবে হারিয়ে এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি মমতাজ বেগম। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এখনো ছেলের কথা ভেবে বারবার মূর্ছা যান। বলতে থাকেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি ওদের বিচার চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বাসায় কেউ গেলেই তিনি প্রশ্ন করেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ কেন আমার ছেলেকে মারল?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রদীপের ঘরে অমানিশার অন্ধকার </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে নিহত সাংবাদিক প্রদীপ কুমার ভৌমিকের ঘরে নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। তিন বছর আগে মারা যান স্ত্রী গীতা রানী ভৌমিক। বড় ছেলে সুব্রত কুমার ভৌমিক চাকরি সূত্রে নীলফামারীতে থাকেন। বাড়িতে এখন একেবারেই একা হয়ে গেছেন ছোট ছেলে সুজন কুমার ভৌমিক। বাবার নির্মম মৃত্যুর পর খবরপত্রে বাবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুজনকে। এর আগে তিনি অন্য একটি পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুজন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাবা পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রেস ক্লাবে ছিলেন। কারা খুন করেছে, নিশ্চিত নই। বাবার মৃত্যুর পর পুরো বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। কেউ নেই। আমি একা ভীষণ অসহায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক খবরপত্রের সাংবাদিক প্রদীপ ভৌমিক (৫৫) প্রাণ হারান ৪ আগস্ট। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। সিরাজগঞ্জের সিপিবি নেতা মোস্তফা নুরুল আমীন জানান, তাঁর দলের অবস্থান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছিল। এ কারণেই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা প্রদীপ কুমারকে হত্যা করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ সূচনা করা হবে। এরপর সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় রয়েছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই শহীদ সম্মাননা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে কালের কণ্ঠ কর্মীদের জন্য সম্মাননা অনুষ্ঠান। রাত ৮টায় একসঙ্গে দেড় দশক উদযাপন করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাল শুক্রবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে প্রতিনিধি সভা ও সেরা মফস্বল কর্মী পুরস্কার বিতরণ। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল ৪টায় ফের কেক কাটা হবে। বিকেল ৫টা থেকে কালের কণ্ঠ কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>