<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা মুমিনের ঈমানের দাবি। নবীজি (সা.)-এর প্রতি আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের ভালোবাসা নানাভাবে প্রকাশ পেয়েছে। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত মুসলিম মনীষী শাহ আবদুর রহিম দেহলভি (রহ.) প্রতিবছর রবিউল আউয়াল মাসে কিছু খাবার প্রস্তুত করে মানুষের মধ্যে বিতরণ করতেন। একবার তিনি কোনো খাবার সংগ্রহ করতে পারলেন না। তাই সামান্য কিছু ছোলা ভেজে মানুষের মধ্যে বিতরণ করলেন। পরবর্তী রাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন, রাসুলে আকরাম (সা.) সেই ছোলা ভাজা খাচ্ছেন। এটা ছিল নবীজি (সা.)-এর প্রতি আল্লাহওয়ালাদের ভালোবাসার দৃষ্টান্ত, যা আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নবীজি (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এবং তার জন্য ইসালে সাওয়াবের সহজ পদ্ধতি হলো গোপনে সাধ্যানুযায়ী কিছু দান করা। রবিউল আউয়াল মাসে ৫০ টাকা (অথবা সামর্থ্য অনুসারে অন্য কোনো পরিমাণ) দান করুন এবং তা গোপনে করুন। প্রয়োজনে এক টাকা করে একেকজন মিসকিনকে দান করুন। এটা রাসুলে আকরাম (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের একটি সত্যিকার মাধ্যম। তবে আমার আশঙ্কা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা অনেকেই পছন্দ করবে না, অন্তরেও তা মানবে না। অন্তর কুমন্ত্রণা দিয়ে বলবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাই, ৫০ টাকা খরচ করলে, অথচ কেউ তা জানতে পারল না!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহানবী (সা.)-এর আনুগত্য ছাড়া শুধু তার প্রতি ভালোবাসা পরকালে কোনো কাজে আসবে না। বিশেষত ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ যখন মানুষের প্রথা-প্রচলনে পরিণত। আমি কানপুরে থাকতে এক ব্যক্তি এসে মিলাদ পাঠের জন্য আমাকে দাওয়াত করল। আমি যথাসময়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্ম ও সিরাত বিষয়ে আলোচনা করে এলাম। পরের দিন জানতে পারলাম, একই মঞ্চে নাচ-গানের অনুষ্ঠান হয়েছে। শুনে আমি অত্যন্ত ব্যথিত হলাম। অনুসন্ধান করে জানা গেল, সেই বাড়িতে মূলত বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। বাড়িওয়ালার উদ্দেশ্য ছিল নাচ-গানের আয়োজন করা। কিন্তু কিছু দ্বিনদার বন্ধু ও আত্মীয়র অনুরোধে মিলাদের আয়োজন করা হয়। এই মিলাদের পেছনে কোনো ভালোবাসা ছিল না, এটা ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতা। এর কোনো উপকার বা ভালো ফল আশা করা যায় না। আল্লাহর শাস্তির ভয় অন্তরে না থাকলে এমন আনুষ্ঠানিকতাই বা মানুষের কী কাজে আসবে? আল্লাহ সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুন। আমিন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাওয়ায়েজে আশরাফিয়া থেকে মুফতি আবদুল্লাহ নুরের ভাষান্তর</span></span></span></span></p>