<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাদক কারবারিদের তালিকার ২ নম্বরে অবস্থান ছিল কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদের। গডফাদারের তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও থেকেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই জাফরকে এবার গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টেকনাফ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাঁকে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাফর যোগ দেন সরকারি দলে। জাফরের পরিবারই বাংলাদেশে ইয়াবা কারবারের গোড়াপত্তন করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন প্রচারণা চালিয়ে সব জায়গা থেকে সুবিধা নিতেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারের ইয়াবা ডন সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করেন জাফর। বদির জোরে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানও হন। ইয়াবা কারবার করে তাঁর পরিবার এখন শত কোটি টাকার মালিক। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কক্সবাজারের ইয়াবা কারবারিদের একটি তালিকা তৈরি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ওই তালিকায় ২ নম্বরে নাম ছিল জাফরের। তাঁর ছেলে মোস্তাকের নামও রয়েছে সেই তালিকায়। তবে মোস্তাক কয়েক বছর ধরে নিখোঁজ।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় সূত্র জানায়, ইয়াবা কারবারের আগে জাফর বন বিভাগের গাছ লুটপাট করতেন। ওই সময় তিনি পৌর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। কিন্তু ২০০৮ সালে সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে পুরো পরিবার নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তাঁর ছেলে শাজাহান মিয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান এবং থানা শ্রমিক লীগের নেতা। অন্য দুই ছেলে দিদার ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধেও রয়েছে ইয়াবা কারবারের অভিযোগ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাফরের ছেলে ইলিয়াসের সহযোগিতায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে শাফি মোদাচ্ছির খান টেকনাফে মেরিন ড্রাইভের পাশে কয়েক একর জমি কেনেন। ফলে জাফর আহমেদকে নিয়ে কথা বলার সাহস করতেন না কেউ। ইলিয়াস বর্তমানে একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় ২০১৯ সালের দিকে সাবেক এমপি বদি ও জাফর আহমেদকে ঢাকায় র‌্যাব সদর দপ্তরে ডেকে এনে ইয়াবা কারবারের বিষয়ে সতর্ক করা হয়। এর পর এলাকায় গিয়ে বদি ও জাফর ইয়াবাবিরোধী বক্তব্যও দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাফর গ্রেপ্তার : কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, জাফরকে ঢাকার ভাটারা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। টেকনাফে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে কক্সবাজারে আনা হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টেকনাফ থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে জানান,  জাফর আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকেই জাফর চেয়ারম্যান পলাতক ছিলেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টেকনাফে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলার অভিযোগে আবদুর রহমান বদিকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের নামে থানায় একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদকেও আসামি করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলাটি করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় ৭০ জনকে আসামি করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>