<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিযোগীদের তুলনায় আশানুরূপ সাফল্য আসেনি, সেই সঙ্গে পণ্য রপ্তানি বাড়লেও কমেছে আয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাট তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দশ মাসে ইইউর বাজারে এক হাজার ৬৫২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। ২০২৩ সালে এই আয় ছিল এক হাজার ৬২৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময় থেকে দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.৪৩ শতাংশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। দশ মাসে বাংলাদেশ থেকে ইইউর পোশাক আমদানিতে ১.৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে। যদিও পণ্যের পরিমাণ হিসেবে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৬৮ শতাংশ। যা নির্দেশ করে ওই অঞ্চলে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি মূল্য কমেছে ৪.৯২ শতাংশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোপের বাজারে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি সামান্য বাড়লেও বেশি বেড়েছে কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, চলতি বছরজুড়ে ইউরোপে মন্দা এবং দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এই খাতে শ্রমিক অসন্তোষ কিছু প্রভাব ফেলেছে। ফলে প্রতিযোগী দেশগুলোর রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। আর শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন এ সময় রপ্তানি করেছে দুই হাজার ১৮২ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের পণ্য। এ সময় চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.১৪ শতাংশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্ব থেকে সাত হাজর ৭৭৭ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। এর আগের বছর ২০২৩ সালে আমদানি করে সাত হাজার ৭৩৩ কোটি ডলারের। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ০.৫৮ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও কম্বোডিয়ার রপ্তানি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিয়ে তারা ইউরোপের বাজার মাত করছে। ইউরোস্ট্যাটের প্রতিবেদন অনুসারে দেখা যায়, কম্বোডিয়ার এ সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০.৬৬ শতাংশ। দেশটির রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৪৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এই বাজার থেকে পাকিস্তানের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩১৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১. ৬১ শতাংশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই সময়ে তুরস্ক থেকে আমদানি-পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৫৬ শতাংশ কমেছে। তুরস্ক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি ৮৫৯ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকেও আমদানি ৩৯৯ কোটি ১৪ লাখ ডলারে পৌঁছেছে, আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.০১ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যান্য শীর্ষ সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনাম ও মরক্কো থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি যথাক্রমে ৩.৬১ শতাংশ ও ৭.৯৫ শতাংশ বেড়েছে এবং শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া থেকে শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ ও ৭.২২ শতাংশ কমেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও দেশের সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে তারা বাংলাদেশের বিকল্প তৈরি করতে চায়। এ ছাড়া চীন থেকে স্থানান্তরিত কার্যাদেশের সুযোগ প্রতিযোগী দেশগুলো কাজে লাগাচ্ছে।</span></span></span></span></p>