ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬
জাতীয় সংসদের অধিবেশন

বনভূমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বনভূমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে

জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরো জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযানে পাঁচ বছরে চার হাজার ২০৭টি মামলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মোট আয়তনের ১৫.৫৮ শতাংশ এলাকায় বনভূমি রয়েছে। বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০.৭৪ শতাংশ।

দেশের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বনভূমি জবরদখলের বিপরীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনে পাঠানো উচ্ছেদ প্রস্তাব সাত হাজার ৩৭৬টি, জেলা প্রশাসনের রুজু করা উচ্ছেদ মামলা ১৩টি, নিম্ন আদালতে দেওয়ানি মামলা ৮৫২টি, উচ্চ আদালতে রিট মামলা ১২২টি, উচ্চ আদালতে আপিল/মিস মামলা ৮৭টি, পিওআর মামলা সাত হাজার ৫৩২টি ও অন্যান্য ব্যবস্থায় ছয় হাজার ১৩০টি মামলা করা হয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বন অধিদপ্তরের নিজস্ব উদ্যোগে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহায়তায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪৭৪.০৭ একর জবরদখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়ন করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট আট হাজার ২০০ একর জবরদখল করা বনভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকারের এসডিজি এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২১-২৫) বাস্তবায়নে বন অধিদপ্তর থেকে দেশব্যাপী বনাচ্ছাদন ও বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ ২০২৫ সালের মধ্যে যথাক্রমে ১৫.২ এবং ২৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এই পরিকল্পনার আওতায় শালবনের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে সাত হাজার ২২০ হেক্টর সমতলভূমি এবং এক লাখ ৩০ হাজার ৫৮০ হেক্টর পাহাড়ি অবক্ষয়িত বনভূমিতে বনায়ন; ৫০০ হেক্টর আগরবাগান; ১৫ হাজার কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন এবং স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে অংশীদারিমূলক বন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তা ছাড়া বনায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৪,৪৯৮.৫ হেক্টর ব্লক ও এক হাজার ৭০১ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান এবং ৯ হাজার ৪০৫ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজন করা হয়েছে।

একই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সাবের হোসেন জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট দুই হাজার ৫১৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এসব অভিযানে চার হাজার ২০৭টি মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা। এ ছাড়া ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০৭১.৩৭ মেট্রিক টন পলিথিন, দানা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা হয়েছে ১৬টি।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক পণ্যের বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণে প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পচনশীল প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রচলনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সারা দেশের কঠিন বর্জ্যের সুষ্ঠু ও পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এরই মধ্যে সরকার কর্তৃক কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেসসচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর পরিবারের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এসব হিসাবে ছয় কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৪ টাকা রয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

  আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক আফরোজ হক খান এসব হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো উৎস অর্থাৎ ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জনপূর্বক এ অর্থের উৎস আড়াল করার জন্য তাঁর নামে, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তাঁদের তিন সন্তান লাবিবা নাঈম খান, আদিবা নাঈম খান ও মূলিকা নাঈম খানের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা করেন। এর মধ্যে ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ কোটি টাকা স্থিতি রয়েছে।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

সাবেক এমপি বাবুর দুই বাড়িসহ স্থাবর সম্পদ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাবেক এমপি বাবুর দুই বাড়িসহ স্থাবর সম্পদ জব্দ

খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর দুই বাড়ি, প্লট, দোকানসহ ১৩ বিঘা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১৪টি ব্যাংক অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে ৩১ লাখ আট হাজার ৮৭৩ টাকা রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে মোহাম্মদপুরে দুই একর জমি, খুলনায় দুটি বাড়ি ও কেসিসি মার্কেটে তিনটি দোকান রয়েছে। এসব সম্পদের বাজারমূল্য সাত কোটি ৩২ লাখ ছয় হাজার ৮৭০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নামে ঠিকাদারি ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত্পূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

মন্তব্য
অভ্যুত্থানে হামলা

‘ঢাবির ১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
‘ঢাবির ১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় সত্যানুসন্ধান কমিটি দায়ী হিসেবে যে ১২৮ জনের তালিকা করেছে, সেটি পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত করা হবে বলে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সত্যানুসন্ধান কমিটি চিহ্নিত ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে গঠিত কমিটি ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্ত করবে। এই কমিটি সত্যানুসন্ধান কমিটি চিহ্নিত ১২৮ জনের বিষয়টি আমলে নিয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুব শিগগির তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

জুলাই যোদ্ধাদের ইফতারি পাঠালেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই যোদ্ধাদের ইফতারি পাঠালেন তারেক রহমান

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের জন্য ইফতারসামগ্রী এবং শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ১০৯ জন এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ১২০ জন যোদ্ধাকে নিয়ে পৃথক ইফতার মাহফিল করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

এ সময় ইফতারসামগ্রীসংবলিত দৃষ্টিনন্দন বক্স এবং জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের পক্ষে প্রত্যেকের নামে একটি শুভেচ্ছা চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়।

পঙ্গু হাসপাতালে ১০৯ জন আহত যোদ্ধার মাঝে ইফতারি বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কেনান, জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা প্রমুখ।

অন্যদিকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ১২০ জন যোদ্ধার হাতে ইফতারি তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, জেডআরএফের ডা. এ এইচ এস হায়দার পারভেজ, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ