<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী ও নোয়াখালী জেলার মানুষ। এই জেলাগুলোর ৯০ শতাংশ মানুষ বন্যায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ধ্বংস হয়েছে ৪৮ শতাংশ বাড়িঘর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার অক্সফাম বাংলাদেশের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও এই দুই জেলায় পয়োনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় খোলা জায়গায় মলত্যাগ বেড়েছে। এতে ডায়রিয় ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বর্তমানে অনেকে এসব রোগে আক্রান্ত। অক্সফাম জানায়, মানুষের জীবিকা নির্বাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় খাদ্য সংগ্রহ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুই জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ৭২ শতাংশ প্রতিদিন দুই বেলা খেতে পারছে, যা পর্যাপ্ত নয়। এ বিষয়ে অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিস দামলে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের মতো বন্যা বাংলাদেশে এর আগে দেখা যায়নি। এবারের বন্যায় লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়িসহ কৃষিজমি ডুবে গেছে। গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা বন্যাকবলিত জনগোষ্ঠীকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, চলমান বন্যায় এই দুই জেলার পাশাপাশি কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ মোট ১১টি জেলার বিশাল অংশ পানির নিচে চলে যায়। বাস্তুচ্যুত হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৮ লাখ মানুষ। বিভিন্ন অবকাঠামোসহ বাড়িঘর, কৃষি ও মৎস্য খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দুর্গতদের জরুরি ও ধারাবাহিক ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। </span></span></span></span></p> <p> </p>