<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দরিদ্র দেশগুলোর মৌলিক খাতে ধনী দেশগুলোর অর্থ সহায়তা কমছে। ২০১০-২০১২ সালের ৬৯ শতাংশ থেকে ২০২০-২০২২ সালে এ ধরনের সহায়তা ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। উপরন্তু অর্থ সহায়তার মধ্যে ঋণের অনুপাত বেড়েছে;  কমেছে  অনুদান এবং রেয়াতি অর্থায়ন। এসব কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে না। বৈষম্যও বাড়ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উন্নত ৩৮টি দেশের</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওইসিডির বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অর্থায়ন-২০২৪ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দক্ষিণ এশিয়ায় বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অর্থায়ন: সমস্যা ও সম্ভাবনা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শিরোনামের এক ওয়েবিনারে গতকাল রবিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং ওইসিডি যৌথভাবে এই আয়োজন করেছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ধনী দেশগুলোর সহযোগিতা সন্তোষজনক নয়। ধনী দেশগুলো তাদের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির ০.২ শতাংশ হারে  দরিদ্র দেশগুলোর উন্নয়নে ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি আছে। দরিদ্র দেশগুলোতে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য বৃদ্ধির পেছনে প্রতিশ্রুত এই ব্যয়  না করাও অন্যতম কারণ। করোনা এবং জলবায়ুর অভিঘাত এ দুরবস্থাকে আরো নাজুক করে তুলেছে। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে বহুপক্ষীয় উন্নয়ন অর্থব্যবস্থার মধ্যে এখনো বড় ধরনের ফারাক রয়েছে। প্রতিশ্রুতি পালন এবং গোটা ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজনের কথা বলেন তিনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ওইসিডির অর্থনীতিবিদ, স্থাপত্য এবং বিশ্লেষক ইউনিটের বিশ্লেষক আবদুলায়ে ফ্যাব্রেগাস। প্রতিবেদেনর তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগীদের পাশাপাশি উদীয়মান এবং অপ্রচলিত উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে সংলাপ জোরদার করার সময় এসেছে। বিদ্যমান ওইসিডি নীতি কাঠামো এবং প্ল্যাটফরম, যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আঞ্চলিক নীতি সংলাপ, এই আলোচনার সুবিধার্থে সহায়ক হতে পারে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়া ওয়াচ অন ট্রেড, ইকোনমিকস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের প্রগ্রাম কো-অর্ডিনেটর দিক্ষ্যা সিং বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‌‌</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগে দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় উভয় উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে নেপালের প্রাপ্ত ঋণ ও অনুদানের পরিমাণ প্রায় সমান ছিল। তবে গত এক দশকে ঋণ উল্লেখযোগ্যভাবে অনুদান ছাড়িয়ে গেছে। এদের বিদেশি ঋণ এবং সুদসহ পরিশোধ করতে হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শ্রীলঙ্কার পলিসি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক ড. নিশা অরুণাতিলাকে বলেন, কভিড এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে ওইসিডির সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন। দরিদ্র দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে তথ্য সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর জোর দেন তিনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরআইএসের সহযোগী অধ্যাপক সব্যসাচী সাহা বলেন, ওইসিডির প্রতিবেদনে গত বছরের প্রধান বাধাগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যা, রিপোর্টিং প্রক্রিয়া এবং ক্রেডিট রেটিং মানদণ্ড, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এখন সমাধানে মনোযোগ দিতে হবে। গ্লোবাল ইকোনমিক গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভের সহকারী পরিচালক ডা. ঋষিকেশ রাম ভাণ্ডারি বলেন, বহুপক্ষীয় অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়, যেখানে মূলধনের খরচ বেশি এবং বাজারে প্রবেশাধিকার সীমিত। এই অঞ্চলের দেশগুলোর বিশেষত পরিচ্ছন্ন জ্বালানি বিনিয়োগের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে বহুপক্ষীয় অর্থায়ন প্রয়োজন। এ ধরনের বিনিয়োগের বেশির ভাগই উন্নত অর্থনীতি এবং বাছাই করা উদীয়মান বাজারে আটকে আছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামাজিক নীতি ও উন্নয়ন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আসিফ ইকবাল বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিদেশি ঋণ পেতে একাধিক সংস্থার সম্পৃক্ততা প্রতিবেদন এবং মূল্যায়ন পরিচালনার জটিল প্রক্রিয়ার কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। </span></span></span></span></p>