<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাসসংকটের কারণে অফিসে যাতায়াতে সরকারি কর্মচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার বিকল্প যানবাহনে যেতে গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া। নির্ধারিত সময়ে অফিসে যাতায়াতেও সমস্যা হচ্ছে। বেশির ভাগ কর্মচারী যাতায়াত করছেন গণপরিবহনে। যানজটসহ নানা কারণে কর্মচারীদের বড় একটি অংশ নির্ধারিত সময়ে অফিসে উপস্থিত হতে পারছেন না। সম্প্রতি বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের গাড়ি চলাচলেও জটিলতা তৈরি হওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যানজট কমাতে গণপরিবহনের বিকল্প নেই। সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য গণপরিবহন নিশ্চিত করা গেলে রাজধানীতে যানজট অনেকটা কমবে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি স্টাফ বাসে অফিসে যাতায়াত করেন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা পেয়েছেন সুদমুক্ত ঋণের গাড়ি। গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তারা মাসে ৩০ হাজার টাকাও পাচ্ছেন। অন্যান্য ক্যাডার ও প্রথম শ্রেণির বাকি কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাইক্রোবাসে যাতায়াত করেন। তবে সারা দেশে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১২ লাখ ১২ হাজার ২০১ জন। এর মধ্যে বেশির ভাগ কর্মী কর্মরত রাজধানীর বিভিন্ন দপ্তরে। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের (বিকেকেবি) বাস আছে মাত্র ৩৩টি, মিনিবাস ১৩টি। বাসগুলোর আসনসংখ্যা দুই হাজার ১০৬। এ ছাড়া বিআরটিসি থেকে ভাড়া করা ৪২টি বাসে দুই হাজার ৫১৫টি সিট আছে। মোট চার হাজার ৬২১টি সিটে যাতায়াতকারী কর্মচারীর সংখ্যা সাত হাজার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ অবস্থায় টিকিট করেও স্টাফ বাসের অনেক যাত্রী আসন না পেয়ে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করছেন। গাড়িতে আসন পেতে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনেক কর্মচারী অফিস শেষ হওয়ার আগেই গাড়িতে উঠে বসে থাকেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্টাফ বাস ছেড়ে যাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্ধারিত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> স্থান থেকে বাস ছেড়ে যাওয়া ও পৌঁছানো নিয়ে গত ১৬ জুলাই সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিকেকেবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে অফিসে পৌঁছতে অফিস শুরুর ১৫ মিনিট আগে গাড়িগুলো সচিবালয় গেট ও অন্যান্য নির্ধারিত স্টপেজে পৌঁছাতে হবে। অফিস সময় শেষের আগে কোনো যাত্রী গাড়িতে অবস্থান বা ব্যাগ রেখে জায়গা দখল করতে পারবেন না। গাড়িগুলোর দরজা অফিস সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, অফিসের সময় শেষ হওয়ার ২০ মিনিট পরে ছেড়ে যাবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে বাস ছাড়ার বিষয়ে গত ১৩ নভেম্বর আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, আগে স্টাফ বাস ছাড়ার সময় ছিল বিকেল ৫টা ১০ মিনিট। গত ১৬ জুলাই বিকেকেবি বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে গাড়ি ছাড়ার আদেশ জারি করে। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও যুগ্ম সচিবের (সচিবালয় ও কল্যাণ) সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ৫টা ১০ মিনিটে গাড়ি ছাড়ার আগের সময় বহাল রাখা হয়। বিকেকেবির নির্দেশনায় ১১ নভেম্বর থেকে আবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে গাড়ি ছাড়ছে। ফলে সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।</span></span></span></span></span></p>