<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ফসলি মাঠ থেকে কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। দাবদাহে মানুষের নাভিশ্বাস উঠলেও রোদে পুড়ে ধান থেকে চাল উৎপাদনে ব্যস্ততা বেড়েছে চাতালের শ্রমিকদের। ধান ঝাড়াই-মাড়াই শেষে ধান সিদ্ধ, শুকানোসহ চাল প্রক্রিয়ার কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করেছেন শ্রমিকরা। চাতালে পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে নারী শ্রমিকদের উপস্থিতি অনেক বেশি। তবে বেতনবৈষম্যের কথা জানান এসব নারী শ্রমিক। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে চাতালগুলো সরব হয়ে ওঠার দৃশ্য চোখে পড়ে। সব মিলের চাতালেই কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। যেখানে কিছুদিন আগেও চাতালগুলোতে শূন্যতা বিরাজ করছিল, এখন সেখানে ধান সিদ্ধ, শুকানোসহ চাল তৈরির নানা কাজে নারী শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">ঘরের কাজ সেরে একটু ভালোভাবে জীবন যাপনের জন্য নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করেন চাতাল কলগুলোতে। কিন্তু মজুরির বেলায় প্রায় সময় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। ধান সিদ্ধ করে চাতালে আসার পর শুরু হয় নারী শ্রমিকদের কাজ। আবহাওয়া ভালো থাকলে ধান শুকানো থেকে শুরু করে তা মাথায় করে মিলে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত একজন শ্রমিক পান ৩৫০ টাকা। এ প্রক্রিয়া করতে সময় লাগে দুই দিন। অন্যদিকে যদি আবহাওয়া খারাপ থাকে তাহলে একজন শ্রমিকের এ প্রক্রিয়া করতে পাঁচ থেকে ১০ দিন লেগে যায়। কিন্তু বেতন ৩৫০ টাকায় পান তাঁরা। যেখানে একজন পুরুষের দৈনিক বেতন ৫০০ টাকা, সেখানে এমন বেতনবৈষম্যের শিকার নারীরা।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার উপজেলায় ২২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা গতবারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। হালুয়াঘাটের দড়িনগুয়া এলাকার নারী শ্রমিক জাহানারা বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে চাতাল কলে কাজ করি। তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল আমাকেই ধরতে হয়। মিলে কাজ করে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। শুরু থেকেই পুরুষের চেয়ে আমাদের বেতন কম।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">হালুয়াঘাট মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম জানান, আগে হালুয়াঘাটে ৪২টি চাতাল ছিল। বর্তমানে ১০টির মতো আছে। যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁরা অটোমিল করেছেন। ফলে যে কয়েকটি মিল রয়েছে, তা শুধু বোরো ও আমন মৌসুমে সরব হয়। আসলে মালিকের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ও উৎপাদন অনুসারে নারী শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। নারী শ্রমিক বা চাতাল মিল মালিক কেউ-ই বর্তমানে লাভবান না।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>