<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের সাতটি উপজেলায়ই নারকেলের ব্যাপক ফলন হয়। তবে এই সাত উপজেলার মধ্যে স্বরূপকাঠি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ফলন হয়ে থাকে। ব্যবসা সমৃদ্ধ এই উপজেলা থেকে শতাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাব ও নারকেল সরবরাহ করেন। ডাব ও নারকেলের বেচাকেনা ঘিরে এই উপজেলার গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে আকারভেদে গাছে প্রতিটি ডাব ৫০-৬০ টাকায় এবং নারকেল (শুকনা) ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাগান মালিকরা বাড়িতে যাওয়া স্থানীয় পাইকারদের কাছে এই দামে বিক্রি করেন। গ্রামের এসব পাইকাররা এলাকা থেকে ডাব ও নারকেল সংগ্রহ করে মোকামে নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে ক্রয়মূল্য থেকে ১০ টাকা লাভে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি করেন। মোকাম থেকে ঢাকা আড়তে পৌঁছাতে ডাবপ্রতি ১০ টাকার মতো খরচ হয় এবং অন্য খরচ বাবদ আরো পাঁচ টাকা তাদের খরচ হয়। সেই হিসাবে ঢাকা আড়তে প্রতিটি ডাবের মূল্য দাঁড়ায় ৭৫-৮৫ টাকা। এসব ব্যবসায়ী আড়তের ব্যবসায়ীদের কাছে ১০০-১২০ টাকা দরে প্রতিটি ডাব বিক্রি করেন। আড়ত থেকে কিনে খুচরা ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের হাতে পৌঁছানোর আগে পাঁচ হাতবদল হয়ে ঢাকায় গিয়ে দাঁড়ায় ১৭০-১৮০ টাকায়। কখনো ২০০ টাকা দিয়েও একটি ডাব কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গ্রাম থেকে শহরের ক্রেতার হাত পর্যন্ত একটি ডাব পৌঁছাতে পাঁচ-ছয়টি ধাপ রয়েছে। প্রতিটি হাতবদলে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বরূপকাঠির শান্তিরহাট এলাকার বাগান মালিক মো. রহমত উল্লাহ জানান, প্রতিবছর তিনি প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার ডাব বিক্রি করে থাকেন। এ বছর তিনি প্রতিটি ডাব ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ী সুমন মোল্লা জানান, ৬০-৭০ টাকা দরে কিনে ঢাকার যাত্রাবাড়ী আড়তে পৌঁছানো, লেবার খরচ ও আড়তের অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতিটি ডাবে আরো ১৫-২০ টাকা খরচ হয়। আড়তদারদের কাছে ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি করেন তারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চপল কৃষ্ণ নাথ বলেন, নারকেল-ডাব আমাদের অর্থকরী ফসল। এই ব্যবসা করে এই এলাকার ব্যবসায়ীরা বেশ লাভবান হচ্ছেন, পাশাপাশি এখানকার বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে নারকেলগাছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোকোনাট মাইট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাদামাছি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামক দুটি রোগে আক্রান্ত হয়ে ফলন কম হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে পটাশ ও কম্পোস্ট সার ব্যবহার এবং পর্যাপ্ত পানি সেচ দিয়ে পরিচর্যা করলে নারকেলের ফলন আরো বাড়বে।</span></span></span></span></span></p>