<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে জেলার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, বারুইপাড়া ও বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামসহ কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়ক। অভিযোগ উঠেছে, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয়রা আন্দোলন করেও ফল পাচ্ছে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিরপুর উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী রানাখড়িয়া, নওদাপাড়া, মির্জানগর, সাহেবনগর, তালবাড়িয়া ও শামুথিয়া গ্রামে দুই বছর ধরে নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, পাঁচটি হাই ভোল্টেজ টাওয়ার, বহু সড়ক এবং দুটি মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে নদীভাঙন কুষ্টিয়া-রাজশাহী ও কুষ্টিয়া-ঢাকা মহাসড়কের কাছে এসে পৌঁছেছে। যেকোনো সময় সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এতে কুষ্টিয়ার সঙ্গে রাজশাহী, ঢাকাসহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ভাঙনকবলিত এলাকায় দেখা যায়, কুষ্টিয়া-রাজশাহী সড়কটি নদী থেকে মাত্র দেড় শ ফুট দূরে আছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই নদীভাঙন চলছে। পাউবো ভাঙন রোধে বার্জে করে বালুভর্তি জিও ব্যাগ এনে নদীতে ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে। ভাঙনের কবলে পড়া এলাকাবাসীর অভিযোগ, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের ঘরবাড়ি সহায় সম্পদসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হলেও নদীভাঙন রোধে পাউবো এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তালবাড়িয়া এলাকায় নদীভাঙন রোধে আমরা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ৭৭২ কোটি টাকার একটি দরপত্র আহবান করেছি। অনেক ঠিকাদারও সেখানে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না পাওয়ায় কার্যাদেশ দিতে পারছি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান জানান, তালবাড়িয়ায় নদীভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। কাজটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>