<p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মা-বাবা, ছেলে-মেয়েসহ ৯ সদস্যের পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সবজি বিক্রেতা রায়হান মিয়া (৩০)। কোনো রকম পাঁচ লাখ টাকা ধারদেনা করে শরীরে পাঁচটি অস্ত্রোপচার করাতে পারলেও এখন টাকার অভাবে চুলায় নিয়মিত আগুন জ্বলছে না। রায়হান বানিয়াচং উপজেলার দোয়াখানী মহল্লার আব্দুল হামিদের ছেলে। আগে ভ্যানগাড়িতে করে পাড়ায় পাড়ায় সবজি বিক্রয় করতেন, তবে আহত হওয়ার পর আর কাজে যাওয়া হয়নি। ৫ আগস্ট বানিয়াচং থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রায়হান গুলিবিদ্ধ হন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৫ আগস্ট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সকাল ১১টায় থানার সামনে ছাত্র-জনতার মিছিলের মধ্য থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং হঠাৎ পুলিশের একটি গুলি রায়হানের  পেছনে কোমরের নিচ দিয়ে প্রবেশ করে পেট ছিদ্র হয়ে বের হয়। তৎক্ষণাৎ অজ্ঞান হলে আন্দোলনকারীরা তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। একই সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া আরো চারজনের মধ্যে দুজন মারা যান এবং রায়হানের সঙ্গে আহত রিয়াদ মিয়া</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামে আরেকজন সিএমএইচে এখনো চিকিৎসাধীন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গুলিবিদ্ধ রায়হানের টানা চার মাস চিকিৎসা হয়েছে। পেটের ভেতরে আলাদা পাঁচটি অস্ত্রোপচার হয়। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ টাকা চিকিৎসা ব্যয় হয়েছে। এসব টাকা আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় মহাজনদের থেকে ধারদেনা করা। পাওনাদাররা টাকার জন্য বাড়ি আসছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রায়হান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লোকজনের মধ্য থেকে মিছিলের পেছনে ফিরে তাকিয়েছিলাম। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একটি বুলেট এসে বিদ্ধ হয়। এরপর কিছু বুঝতে পারিনি, জ্ঞান ফিরেছে হাসপাতাল যাওয়ার পর।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রায়হানের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, মা-বাবা, স্ত্রী, চার সন্তানসহ পরিবারে আরো ছোট দুই ভাই রয়েছেন। তিনিই প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রায়হানের স্ত্রী আরফিনা বেগম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার স্বামী কাজে যেতে পারেন না, সেলাইয়ে ব্যথা হয়। ছোট দুই দেবর সামান্য রোজগার করে আনে, তা দিয়ে দিনের খাবারই চলে না। অন্যদিকে ঋণদাররা এসে বাড়ি ভাঙছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বানিয়াচংয়ের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রায়হানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। তার সঙ্গে কথা বলে সরকারের পক্ষ থেকে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"> </p>