অযত্ন-অবহেলায় রংপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে গুরুত্বপূর্ণ জমির মূল দলিলপত্র জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে যত্রতত্র। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রায় দেড় লাখ জমির দলিল রুমের মেঝেতে এলোমেলো পড়ে থাকায় নষ্ট ও হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জমির মালিকরা।
রংপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃপক্ষের অবহেলায় যেখানে-সেখানে পড়ে আছে গুরুত্বপূর্ণ জমির কাগজপত্র। এসব দলিলপত্র নষ্ট হয়ে গেলে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কাগজ সংগ্রহে ভোগান্তি আর দুর্ভোগে পড়বেন জমির মালিকরা।
রংপুর জেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসটি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে কয়েক বছর ধরে। গুরুত্বপূর্ণ জমির দলিল ও কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জমির মালিক ও ক্রেতা-বিক্রেতারা। সাবরেজিস্ট্রি অফিসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এসব জমির কাগজ দায়িত্বহীনতার কারণে নষ্ট হওয়ার পথে।
এ কারণে বছরের পর বছর ধরে ঘুরেও দলিল খুঁজে পাচ্ছেন না অনেক জমির মালিক। ফলে ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়ছে এ অঞ্চলের মানুষ। দলিল লেখকরা বলছেন, অনেক বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় দেড় লক্ষাধিক গুরুত্বপূর্ণ জমির দলিল পড়ে আছে। এ কারণেই অনেকে দীর্ঘদিন ঘুরে ঘুরেও মূল দলিলপত্র ও নকল আবেদন করে পাচ্ছেন না। ভোগান্তি আর দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রংপুর সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে জমির মালিকদের। দলিল নষ্ট হলে ভোগান্তি আর দুর্ভোগে পড়বে সাধারণ মানুষ।
ভুক্তভোগী নিলুফা ইসলাম, বকুল মিয়াসহ অনেকে বলছেন, কয়েক মাস ধরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুরেও জমির দলিল খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। জমির দলিল ও নকলের জন্য আবেদন করেও হদিস মিলছে না। এর ফলে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন জমির মালিকরা।
দলিল লেখক ও সমিতির ট্রেজারার মো. মনিরুল ইসলাম দিপু জানান, সাবরেজিস্ট্রি অফিসের জায়গা ও রের্কডরুম না থাকায় জরাজীর্ণ অবস্থায় দলিল পড়ে থাকায় খুঁজে পা্ওয়া যায় না জমির নথিপত্র। এ কারণে দলিল বের করতে সময় লাগছে অফিস সহকারীদের।
রংপুরের জেলা রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা। জায়গা সংকটের কারণে কাগজপত্র রাখতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ বরাবর বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।