ঢাকা, শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক ও টেলিফিল্ম

  • ঈদে টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে শতাধিক নাটক ও টেলিফিল্ম। কেমন হয়েছে সেগুলো? ঈদ নাটকের অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকরা বলেছেন তাঁদের ভালো লাগা দুটি নাটক বা টেলিফিল্মের কথা। শর্ত একটাই, নিজের কাজ নিয়ে কিছু বলা যাবে না। শুনেছেন ইসমাত মুমু
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
তাঁদের ভালো লাগা ঈদ নাটক ও টেলিফিল্ম

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এই শহরে

শাফায়াত মনসুর রানা নির্মাতা

প্রথমটা ইফতেখার আহমেদ ফাহমির ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’। সামাজিক প্রেক্ষাপটেরই গল্প। তবে উপস্থাপনে ভিন্নতা আছে, আছে চমক। কয়েকটা লেয়ার আছে গল্পে, দর্শককে এসব ভাবাবেই।

সব মিলিয়ে ভালো একটা প্রডাকশন দেখার আনন্দ পেয়েছি। অভিনয়ে নুসরাত ইমরোজ তিশা ও চঞ্চল চৌধুরী। তাঁরা ভালো করেন, এখানেও করেছেন। তবে এখানে ফাহমি নিজের মতো করেই অভিনয়টা বের করে নিয়েছেন।
যাঁরা এই পরিচালকের আগের কাজ দেখেছেন তাঁরা চট করে বলে দিতে পারবেন, এটা ফাহমির নাটক। দর্শককে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পেরেছেন পরিচালক। শেষে মেসেজটাও ইনডাইরেক্টলি দেওয়াটাও আমার কাছে ইন্টভরেস্টিং লেগেছে। অনেক দিন পর ভালো প্রডাকশন নিয়ে ব্যাক করেছেন ফাহমি।
তিনি যদি রেগুলার কাজ করেন তাহলে টিভি নাটকের বর্তমান অবস্থা অনেকখানিই বদলে যাবে।

আশফাক নিপুণের ‘এই শহরে’ও ভালো লেগেছে। বেশি ভালো লেগেছে আফরান নিশোর অভিনয়। নিশোর অনেক নাটক চোখে পড়ে। অন্য সব নাটকে তাঁকে কেমন লাগে আর নিপুণের নাটকে কেমন লাগে, আশা করি নিশো নিজেও তা জানেন।

তাঁর অভিনয়ের দক্ষতা এই নাটকে দেখতে পেয়েছি। গল্পে কিছু প্লট হোল আছে। সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কাজ করার জন্য পরিচালককে সাধুবাদ। তাঁর প্রতিটা মোমেন্টের দিকে চেয়ে ছিলাম। ছোট ছোট এক্সপ্রেশন, ডায়ালগ ডেলিভারি সব কিছুই নাটকটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। আর মেহজাবীন ভালো করেছে। সে এখন অভিনয় নিয়ে খুবই সিরিয়াস। খুব যত্ন নিয়ে কাজ করতে চায় সে, তবে আরো ভালো করতে হবে। কারণ কিছু কিছু জাগায় সে মিক্স টোনে কথা বলছিল। আরেকটু সতর্ক হলে সময়ের থেকে আরেকটু এগিয়ে যাবে। মেহজাবীন বা নিশোর কাছ থেকে এমন অভিনয় বের করে আনার কৃতিত্ব অবশ্যই পরিচালককে দেব।

 

আমাদের সমাজ বিজ্ঞান লিডার

নাজিয়া হক অর্ষা অভিনয়শিল্পী

শাফায়াত মনসুর রানার ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’-এর কথাই বলব আগে। খুবই ভালো লেগেছে আমার। সমাজের এই সময়ের ক্রাইসিসগুলো একটা ইয়াং ছেলের মধ্য দিয়ে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’-এ। নাটক দেখে মনে হবে চরিত্রটা আমি ও আমার মতো আরো যারা এই সমাজকে নিয়ে ভাবে। শাফায়াত মনসুর রানার গল্প বলার ঢংটা আমার খুব পছন্দ। বরাবরের মতোই উনার কাজে একটা আলাদা ব্যাপার থাকে। কম কাজ করেন বলেই মনে হয় কাজে প্রপার মনোযোগ দিতে পারেন উনি।

আরেকটা রাফসান আহসানের ‘লিডার’। একটু সিনেমাটিক অ্যাকশন বেইজড গল্প। টেলিভিশনে তো আসলে এ ধরনের কাজ কম হয়। দুঃখ, প্রেম, ভালোবাসা, অ্যাকশন সবই ছিল গল্পটায়। মনে হয়েছে ছোট পর্দায় সিনেমা দেখছিলাম। শতাব্দী ওয়াদুদ, অর্চিতা স্পর্শিয়া, অন্তুরা গল্পটা বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

 

কেস ৩০৪০ আমাদের সমাজ বিজ্ঞান

আশফাক নিপুণ নির্মাতা

মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘কেস ৩০৪০’ ভালোলাগার প্রথম কারণ অপি করিম। অপি আপাকে নিয়ে আমি যে ধরনের কাজ করি, যেভাবে চিন্তা করি, এখানকার অপি পুরোপুরি তার বাইরের। ওনার যে বয়স, চাইলেই তো কলেজ স্টুডেন্ট হতে পারবেন না। এখানে তাঁর বয়সটাকে প্রপারলি ব্যবহার করা হয়েছে। এমনিতেই আমি অপি আপার ফ্যান। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে। ভারতে রানী মুখার্জি, শেফালী শাহদের এমন চরিত্র করতে দেখেছি। ভালোলাগার দ্বিতীয় কারণ, মিজানুর রহমান আরিয়ান। এই ঈদে সম্ভবত তার সবচেয়ে আলোচিত নাটক ‘লাইফ ইন্সুরেন্স’। অপূর্ব ও মিথিলাকে নিয়ে যে গল্পটা করেছে ‘লাইফ ইন্সুরেন্স’-এ, এটা আরিয়ান ভালোই পারে। চেনা ছক থেকে বের হয়ে ডিটেকটিভ থ্রিলার করেছে, এটাই আমার আগ্রহের মূল জায়গা। কিছু কিছু জায়গায় প্লট হোল আছে, তবু এটা একটা বড় প্রডাকশন। অভিনয় পছন্দ থেকে ক্যামেরার কাজ সব কিছুই প্রপার হয়েছে।  

আরেকটা শাফায়াত মনসুর রানার ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’। রানার কাজ এমনিতেই আমার ভালো লাগে। ওকে আমরা প্রায় সময়ই দেখি জন কবির ও অপর্ণা ঘোষকে নিয়ে কাজ করতে। এখানে সে নিল ইয়াশ রোহানকে। ইয়াশের সঙ্গে আমি বেশ কিছু কাজ করেছি, এবার ঈদেও করেছি ‘আগন্তুক’। ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’-এ অনেক প্লট হোল আছে। যেমন—শেষে রানার ভয়েস দেওয়াটা আমার মনে হয়েছে দরকার ছিল না। সেটা রানাকে পার্সোনালি বলেছিও। নাটকটা ভালোলাগার কারণ, গল্পে কামিং অব এজ বলে একটা ব্যাপার আছে। ওভার ড্রামাটিক না। পুরোটাই এখনকার ছেলে-মেয়েদের মানসিকতার সঙ্গে মিলিয়ে করা। জিনিসটা এমনভাবেও তুলে ধরেনি যে নেগেটিভিটির চরমে নিয়ে গেছে। থার্ড অ্যাঙ্গেলের বিবেচনাবোধ থেকে ও চরিত্রটা দেখিয়েছে। ‘এই শহরে’-তে আমি নিশো-মেহজাবীনের চরিত্র ক্রিয়েট করেছি। রানা এখানে ইয়াশের চরিত্রটা ক্রিয়েট করেনি, মনে হয়েছে ইয়াশ ওর পাশের বাসায় ছিল। ও জাস্ট ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে ওকে তুলে এনেছে। খুবই ক্যাজুয়াল স্টাইলে কাজটা করেছে। এই সময়ে দেশের নাগরিকরা কী ফিল করছে, সেটা ও খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। সাউন্ড খুবই ভালো ছিল। দেখতে বসলে এখন ব্যাকগ্রাউন্ডটাও খুব বিবেচনায় রাখি। সে বিবেচনায়ও খুব ভালো কাজ। পুরো নাটক এক বসায় দেখেছি, বিরতির সময়ও উঠিনি।

 

সাবলেট বুকভরা ভালোবাসা

মৌসুমী হামিদ অভিনয়শিল্পী

মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘সাবলেট’ খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে অপূর্ব ভাইয়া আর পূর্ণিমা আপুর অভিনয়। কিছু কিছু নাটক আছে না যে দেখা শেষেও রেশ থেকে যায়, গল্পটা সে ধরনের। নাটকটি দেখতে বসে মনের মধ্যে বারবার মোচড় দিয়েছে, শূন্যতা তৈরি হয়েছে। পূর্ণিমা আপুর ছোট ছোট অভিব্যক্তিগুলো আমাকে ভীষণ স্পর্শ করেছে।

আরেকটা মুহম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘বুকভরা ভালোবাসা ২’। শবনম ফারিয়ার অভিনয় আমার এমনিতেই ভালো লাগে। ওর ‘বুকভরা ভালোবাসা’ দেখেছিলাম। এর সিক্যুয়েলটাও ভালো লেগেছে। ফারিয়া ও তৌসিফ খুবই ভালো অভিনয় করেছে। এ গল্পটাও আমার খুব আপন মনে হয়েছে। সহজ-সরল গল্প, সাধারণ দর্শক হিসেবে আমার ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের পরিবারগুলো সুখী হোক, পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর যে বোঝাপড়া সেটা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

 

কীটনাশক রাজন দ্য কিং

মাবরুর রশীদ বান্নাহ নির্মাতা

ঈদে বেশির ভাগ সময়ই রোমান্টিক বা কমেডি নাটক হয়। অফট্র্যাকের গল্প কম হয়। এই জায়গা থেকে তৌহিদ আশরাফের ‘কীটনাশক’ আমার বেশ লেগেছে। নতুন পরিচালক কিন্তু তার গল্প বলার ধরন ও উদ্দেশ্যটা সৎ। মুশফিক ফারহানও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। একই সঙ্গে নাটকে তাঁর দুই রূপ দেখা গেছে। দুটিই ভালোভাবে করতে পেরেছেন।

মুরসালিন শুভর ‘রাজন দ্য কিং’ও ভালো লেগেছে। একজন খেটে খাওয়া মানুষ কিভাবে পরিস্থিতির শিকার হয়ে খারাপ হয়ে যায়, সেটা নিয়ে গল্প। অনেক সময় বাংলা ছবিতে আমরা এমন গল্প দেখেছি। কিন্তু এখানে খুব রিয়েলিস্টিক গল্পটা তুলে এনেছেন পরিচালক। এমন গল্প খুব কমই আমার চোখে পড়েছে। হাবাগোবা এক ছেলে, বস্তিতে বেড়ে ওঠা। সেই হাবাগোবা ছেলেটি হয়ে ওঠে অপরাধজগতের ডন। মূল চরিত্রে মোশাররফ করিম ভাই তো দুর্দান্ত অভিনয় করেছেনই, সঙ্গে শামিম হাসান সরকার, অর্ষাসহ অন্যরাও বেশ ভালো করেছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্টার অব দ্য উইক : জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

শেয়ার
স্টার অব দ্য উইক : জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

তুমুল জনপ্রিয় এক চলচ্চিত্র তারকার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ওয়েব সিরিজ। ভক্ত অপূর্ব নামছেন হত্যা রহস্য উদঘাটনে। সেই তারকা যে প্রয়াত সালমান শাহ, সেটা অবশ্য কোথাও উল্লেখ নেই। তবু ভক্তরা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিয়েছেন।

‘বুকের মধ্যে আগুন’ সিরিজে অপূর্বর লুক নিয়ে প্রশংসা ঝরেছে সর্বমহলে। এ সিরিজ দিয়েই হইচইয়ের শিল্পী তালিকায় ঢুকল এই অভিনেতার নাম। 

মন্তব্য

শুভ জন্মদিন

শেয়ার
শুভ জন্মদিন
সোমনুর মনির কোনাল

এ সপ্তাহে যাঁদের জন্মদিন

(২৬ জানুয়ারি—১ ফেব্রুয়ারি)

সারিকা সাবরিন, দেবাশীষ বিশ্বাস, সাবিনা বারী লাকী (২৭ জানুয়ারি) 

 কোনাল, কল্যাণ কোরাইয়া, নিঝুম রুবিনা, শাওন জামান (২৮ জানুয়ারি) 

খন্দকার বাপ্পী (৩০ জানুয়ারি)

 কৃষ্ণকলি ইসলাম, কামরুজ্জামান কামু

(৩১ জানুয়ারি)

অনন্ত হীরা, সায়রা রেজা (১ ফেব্রুয়ারি)

মন্তব্য

ভারত ভুগছে ‘পাঠান’ জ্বরে

    শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ মুক্তি পেয়েছে গতকাল। ছবিটি ঘিরে ভারতজুড়ে চলছে উত্তেজনা। সেই উত্তেজনার কিছুটা জানাচ্ছেন শারমিন নুশি
শেয়ার
ভারত ভুগছে ‘পাঠান’ জ্বরে
‘পাঠান’-এ শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন

৯ হাজার পর্দায় ‘পাঠান’

সারা দুনিয়ার ৯ হাজার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এর মধ্যে ভারতে চলছে সাড়ে পাঁচ হাজার হলে। হিন্দি ভাষায় পাঁচ হাজার এবং তামিল ও তেলুগুতে চলছে ৪৫০ প্রেক্ষাগৃহে।

 

প্রথম সপ্তাহেই ৩০০ কোটি?

আজ ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস।

আগের দিন কর্মব্যস্ত দিনে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। তাতেও বিপুল সাড়া অনুরাগীদের মধ্যে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত বক্স অফিসের তথ্য পর্যালোচনা করে বলিউড বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রথম দিনেই ৫৬ কোটি রুপির ব্যবসা করে ফেলতে পারে এই ছবি। এমনকি প্রথম সপ্তাহেই আয় করে নেবে ৩০০ কোটির মাইলফলক! অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে ‘পাঠান’ পেছনে ফেলেছে ‘কেজিএফ ২’কে।
সামনে আরো অনেক রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে ছবিটি।

 

প্রতিক্রিয়া ও ফাঁস

ভারতের বিভিন্ন শহরে শাহরুখ ভক্তরা মিছিল নিয়ে রীতিমতো ভিড় করেছে প্রেক্ষাগৃহে। বাংলাদেশ থেকেও কয়েকজন ভক্ত কলকাতায় গিয়ে প্রথম দিনের প্রথম শো দেখেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই খবর ও ছবি শেয়ার করেছেন তাঁরা।

সমালোচকরাও ছবিটিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। শাহরুখ খান তো ভালো করেছেনই, জন আব্রাহাম ও দীপিকা পাড়ুকোনের প্রশংসাও ঝরেছে তাঁদের কণ্ঠে। বলিউড হাঙ্গামার তরণ আদর্শ ছবিটি সম্পর্কে বলেছেন, ‘অ্যাকশন, আবেগ, দেশপ্রেম, হাস্যরস, উত্তেজনা মিলিয়ে পরিপূর্ণ বিনোদন।’ রেটিং দিয়েছেন ৫-এ ৪.৫। ফিল্মফেয়ার ও রেডিফ ৫-এ দিয়েছে ৪।
এ ছাড়া টাইমস অব ইন্ডিয়া, পিঙ্কভিলা, ডিএনএ, ইন্ডিয়া টুডে দিয়েছে ৫-এ ৩.৫। তবে ছবি মুক্তির ৪ ঘণ্টার মধ্যেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে পড়েছে ‘পাঠান’-এর হল প্রিন্ট। তাতেও ভয়ের কিছু দেখছেন না সমালোচকরা।

 

‘বয়কট’ তুলে নিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

‘আমাদের আপত্তিতে সিনেমাটিতে যে যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তা একদম সঠিক। যদি আবার কিছু সমস্যা পাই, তাহলে আপত্তি করব।’ এই মন্তব্য করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে তুলে নেওয়া হলো ‘বয়কট’।

 

আলিয়ার শুভেচ্ছা

কোনো ছবি নিয়ে নাকি এর আগে এত উত্তেজিত হননি আলিয়া ভাট, দাবি করেছেন খোদ ‘হাইওয়ে’ অভিনেত্রী। ‘পাঠান’-এর জন্য শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়েছেন অভিনেত্রী।

মন্তব্য

সাবরিনা এখন জাহান

    গত বছর হইচইতে হয়েছিলেন ‘সাবরিনা’, আজ চরকিতে মুক্তি পাবে আতিক জামানের ওয়েব ছবি ‘জাহান’। এই ছবির নাম ভূমিকায়ও আছেন নাজিয়া হক অর্ষা। অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন মীর রাকিব হাসান
শেয়ার
সাবরিনা এখন জাহান

জাহান শান্ত স্বভাবের মেয়ে। স্বামী শিহাবকে নিয়ে তার সংসার। পোস্ট ট্রমাটিক ডিস-অর্ডারের কারণে প্রায়ই কল্পনা আর বাস্তব গুলিয়ে ফেলে। একদিন একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে জাহান।

সেটার সুরাহা কিভাবে হয়, তা নিয়েই ওয়েব ছবি ‘জাহান’।

গত বছর মার্চে আশফাক নিপুণের ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’র নাম ভূমিকায় মেহজাবীন ও অর্ষা বেশ আলোচিত হয়েছিলেন। মুক্তির পর হঠাৎ ডুব দিয়েছিলেন অর্ষা। ডুবেছিলেন আতিক জামানের ‘জাহান’-এ।

এই ছবির শুটিংয়ের আগে প্রায় ছয় মাসের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

অর্ষা বলেন, ‘চরিত্রটার জন্য ওজন বাড়িয়েছি। যতগুলো সাইকোলজিক্যাল ডিস-অর্ডার আছে, এগুলোর অসুস্থতায় বিভিন্ন ধরনের লেয়ার থাকে। জাহান আসলে কোন জনরার পেশেন্ট।

এর কাছাকাছি যত সিনেমা বা টেক্সট আছে সেগুলো স্টাডি করার চেষ্টা করেছি। স্ক্রিপ্টের অনেক ড্রাফট হয়েছে। ফাইনালি আমরা সবাই মিলে একটা স্ক্রিপ্ট পছন্দ করেছি। মোটা দাগে যেন মনে না হয় জাহান রোগী। খুবই কন্ট্রোলড ওয়েতে চরিত্রটি করার চেষ্টা করেছি।
একজন সাইকোলজিক্যাল ডিস-অর্ডার ব্যক্তি পাগলামি করবে, উল্টাপাল্টা কথা বলবে—এটা চাইনি। তার যে অস্বাভাবিকতা, সেটা কী। সেটা জানতে হলে ছবিটা দেখতেই হবে।’

 

তবে এই ‘চ্যালেঞ্জিং’ ছবিটি ঘিরে অর্ষার কোনো প্রত্যাশা নেই, আছে শুধু আবদার। অর্ষা যা বললেন, ‘কাজটি করতে আমার বেশ কষ্ট হয়েছে। জাহান চরিত্রটির ইনার সাইট ডার্ক, আবার কিছুটা ইনোসেন্ট। জাহান অনেক কিছু ইনোসেন্সের জায়গা থেকে করে বসে, তবে সচেতন অবস্থায় তা ব্যালান্স করতে পারে না। ছবিটি নিয়ে দর্শকের কাছে তেমন প্রত্যাশা নেই আমার, গল্প সহজে সবাই বুঝবে কি না সেটাও একটা ব্যাপার। যে ওয়েতে গল্পটা উপস্থাপন করা হয়েছে সেটা ডিফারেন্ট। আমি চাই সবাই যেন কনটেন্টটা দেখে তারপর প্রতিক্রিয়া জানায়।’

‘জাহান’-এ অর্ষার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজ নূর ইমরান। এর আগে ‘সাহস’ ছবিতেও স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুজন। এবার কাজ করে কেমন লাগল?

অর্ষা বলেন, ‘পেশাদারির জায়গায় সহকর্মীদের আমরা সব সময় কমফোর্ট জোনে রাখার চেষ্টা করি। চ্যালেঞ্জিং ক্যারেক্টার এলে সেটাকে কিভাবে পোট্রে করব সেটা নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। উনি সেই সময়টা দেওয়ার চেষ্টা করেন। উনি তো মেথড অ্যাক্টিংয়ের প্র্যাকটিস করেন। সব সময় চরিত্রের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেন। আমিও চেষ্টা করি শুটিংয়ের সময় চরিত্রের মধ্যে থাকতে। এমন ভালো বন্ডিং আছে বলেই আমরা উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু দুই ধরনের দুই কাজ করতে পারলাম।’

জাহান-এর শুটিংয়ের পর অভিনয় থেকে কিছুটা ‘বিরতি’ নিয়েছিলেন অর্ষা। কারণ বললেন, ‘আমার বিশ্রাম নিতে হয়েছে। শুটিং করার পর ভয়ংকর মানসিক প্রেসার তৈরি হয়েছিল। এত ডার্ক শেড চরিত্রটাতে, সেটার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অবস্থাও কখনো ম্যাচ হয়, কখনো হয় না। বিরতি নিয়ে চরিত্রটা থেকে বের হতে হয়েছে আমাকে।’

‘জাহান’-এর পর করেছেন দুটি কাজ। একটি পঙ্কজ চৌধুরীর ‘বনফুল’। আগামীকাল মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটকটি। এখন অর্ষা ব্যস্ত রয়েছেন আবু হায়াত মাহমুদের পরিচালনায় ওটিটি প্ল্যাটফরম দীপ্ত প্লের সিরিজ ‘হৃদমাঝারে’ নিয়ে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ