আমার এলাকা ফুলবাড়িয়ার প্রান্তিক নারীসমাজের জন্য সেলাই মেশিন বিতরণের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ। যেকোনো বিভাজনই সমাজকে পিছিয়ে দেয়। অগ্রসর সমাজ হতে হবে বিভাজনমুক্ত। অনেকভাবেই সমাজে বিভক্তি দেখা দেয়।
আমার এলাকা ফুলবাড়িয়ার প্রান্তিক নারীসমাজের জন্য সেলাই মেশিন বিতরণের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘকে ধন্যবাদ। যেকোনো বিভাজনই সমাজকে পিছিয়ে দেয়। অগ্রসর সমাজ হতে হবে বিভাজনমুক্ত। অনেকভাবেই সমাজে বিভক্তি দেখা দেয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি আমার প্রত্যাশা থাকবে, ভবিষ্যতে তারা আরো বেশি জনসেবামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়ে এগিয়ে যাবে।
সম্পর্কিত খবর
আমি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস অধ্যয়নরত। ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার স্বপ্ন নিয়েই মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা। সে লক্ষ্যেই ধাপে ধাপে এগিয়ে চলা। তবে চলার পথ সব সময় সহজ হয় না।
মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফল করে যখন ভর্তির সুযোগ এলো, তখন আশপাশের মানুষ খুব খুশি হলো। আমি ও আমার পরিবারও অনেক খুশি ছিলাম। কিন্তু একটি দুশ্চিন্তা আমাদের গ্রাস করে বসল, পড়তে পারব তো! এত টাকা কোথায় পাব? অনেকের সহযোগিতা নিয়ে ভর্তি হলাম। প্রতি মাসের খরচ কোথায় পাব—এই চিন্তায় আমার মা ঘুমাতে পারছিলেন না। মায়ের একার আয়ে আমাদের দুই ভাই-বোনের পড়ার খরচ চলে। বাবা কোনো কাজ করতে পারেন না। গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে দুধ কিনে নিয়ে বাজারে বিক্রি করেন মা। সেই আয়ে আমাদের খাওয়াদাওয়া আর পড়াশোনা চলে। বড় ভাই সরকারি একটি কলেজে ম্যাথমেটিকসে অনার্স শেষ করেছেন। তিনি টিউশনি করে নিজের পড়ার খরচ চালানোর চেষ্টা করছেন। আমার মেডিক্যালে ভর্তির পর থেকে মায়ের টেনশন বেড়েই চলছিল। কিভাবে ম্যানেজড হবে এত টাকা। মা আর ভাই মিলে নিজেদের যে সামান্য জমি আছে, তা বিক্রি করে দিতে চাইছিলেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় তা করতে হয়নি। আমার পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে তারা আমার মেডিক্যালে পড়ার খরচ বহন করছে। প্রতি মাসে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসে। সেই টাকায় আমার পড়াশোনা চলছে। জমি আর বিক্রি করতে হয়নি। আমার মায়ের দুশ্চিন্তা কমে গেছে। আমার ও আমার পরিবারের সবার ইচ্ছা পূরণে বসুন্ধরা গ্রুপ এগিয়ে না এলে স্বপ্নটি অধরাই থেকে যেত। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই বসুন্ধরা গ্রুপকে।
আমি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত আছি। প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি। তাদের উদার সহায়তার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ, যা আমার শিক্ষাজীবনের জন্য অমূল্য। আমার শিক্ষাজীবনের আর্থিক চাপকে অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে দেওয়া প্রতি মাসের বৃত্তি। আমি একটি ছোট্ট পরিবার থেকে এসেছি, যেখানে আমার বাবা মুদি দোকানদার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিনি অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমী এবং তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে আমাদের চারজনের সংসারের সব দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর এই পরিশ্রমের পরও অনেক সময় আর্থিক চাপে পড়তে হয়েছে আমাদের। বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া এই স্কলারশিপ আমার জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এই সহায়তার মাধ্যমে আমার পড়াশোনার যে আর্থিক চাপ ছিল, তা অনেকটা কমে গেছে। এই বৃত্তি পেয়ে মেডিক্যালে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় বইগুলো কিনতে সক্ষম হয়েছি। এই সহায়তা ছাড়া হয়তো আমার এই বইগুলো কেনা সম্ভব হতো না। আমার জীবনের মূল লক্ষ্য একজন দক্ষ চিকিৎসক হয়ে গরিব মানুষের সেবা করা। আমি এখন আরো আত্মবিশ্বাসী। কারণ বসুন্ধরা শুভসংঘের স্কলারশিপ আমাকে উদ্দেশ্য পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। এই স্কলারশিপ ছাড়া আমার চলার পথ অনেক কঠিন হতো।
আমি ঢাকা কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। প্রতি মাসে বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে আমাকে বৃত্তি প্রদানের জন্য মনোনীত করার জন্য শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি। বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া এই বৃত্তি আমার অনেক উপকার করেছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ শিক্ষার্থীদের দুঃসময়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিকূলতা যেন মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিকশিত হওয়ার পথে বাধা হতে না পারে তা নিশ্চিতে বৃত্তি প্রদান করছে এবং আমাদের মতো দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের সার্বিক সহোযোগিতা ছাড়া হয়তো অনেকের পড়াশোনা ব্যাহত হতো বা অনেকের আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভবই হতো না। তারা এখন বৃত্তির সহায়তায় খুব সুন্দরভাবে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সুযোগ নিশ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া বসুন্ধরা শুভসংঘ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক, সচেতনতামূলক ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে তারা। দিন দিন দেশব্যাপী বসুন্ধরা শুভসংঘের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজসেবা ও সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যকার মেধাবী শিক্ষার্থী নির্বাচন করে তাদের পড়াশোনাসহ সার্বিক বিষয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ সহযোগিতা করে আসছে।
আমি মো. আব্দুর রহমান, পড়াশোনা করছি এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় বাড়ি হলেও একেবারেই ছোটবেলা থেকে আমি বড় হয়েছি মামার বাড়িতে। আমি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার আরো একটি ছোট বোন রয়েছে। সে এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছি বড় হয়ে ডাক্তার হব। এর পেছনে অবশ্য একটি কারণও রয়েছে। একমাত্র আমি ছাড়া আমার পরিবারের সবাই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তো সে কারণেই ছোটবেলা থেকে একটি ইচ্ছা ছিল। ২০২১-২২ সেশনে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় ১৮৩তম স্থান অর্জন করি। ঢাকায় এর আগে আমার থাকা হয়নি। আর এখানকার ব্যয়ভার বহন করাও আমার পরিবারের জন্য কষ্টকর ছিল। ঠিক সেই সময় আমার পাশে পাই বসুন্ধরা শুভসংঘকে। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি। কারণ আমার এই পথচলায় আমি তাদের পাশে পেয়েছি। বসুন্ধরা শুভসংঘ সব সময়ই আশ্বাস দেয়, তারা আমার পাশে আছে। সেই যে পথচলা শুরু, আজও বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার সঙ্গে আছে। আশা করছি, পড়ালেখার শেষ সময় পর্যন্ত তাদের পাশে পাব। একজন ভালো ডাক্তার হয়ে আমিও বসুন্ধরা গ্রুপের মতো দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
পবিত্র মাহে রমজান এলেই আমাদের চারপাশে অন্য রকম আবহ তৈরি হয়। প্রতিদিনই সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ থেকে আজানের সুর ভেসে এলেও রমজানের আজানে এক আলাদা আনন্দ পরিলক্ষিত হয়। আজানের সুরের আহ্বানে রোজাদাররা মিলিত হন ইফতারির টেবিলে। খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন অনেকে।
এই বাস্তবতাকে বদলানোর স্বপ্ন নিয়েই বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজধানীর মিরপুরের ইব্রাহিমপুরে আয়োজন করেছে এক অনন্য মানবিক কার্যক্রম—রমজান মাসব্যাপী ইফতার মাহফিল। রাজধানীর মিরপুরের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রতিদিন বিকেল হলেই পরিণত হয় এক অনন্য মিলনমেলায়।
এর মধ্যেই একদিন উন্মুক্ত ইফতার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মাসুদুর রহমান মান্না।
এক বৃদ্ধ রিকশাচালক বললেন, ‘এই রকম ইফতারে বসার সুযোগ আমার জীবনে খুব কম এসেছে। এখানে সবাই আমাদের আপন করে নিয়েছে। মনে হচ্ছে, আমি কারো দয়া নয়, ভালোবাসার দাওয়াতে এসেছি।’ আয়োজকরা জানান, বসুন্ধরা শুভসংঘের এই আয়োজন কেবল ইফতারি দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি সমাজে এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগ যেন এক দীপশিখা, যা আলো ছড়িয়ে দিয়েছে বহু ক্ষুধার্ত মানুষের হৃদয়ে।
বসুন্ধরা শুভসংঘের মাসব্যাপী ইফতার কার্যক্রমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কাজ করছে ইব্রাহিমপুরের স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ সৌল জাংশন। সৌল জাংশনের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহিনের নেতৃত্বে প্রায় প্রতিদিনই ইফতারে শামিল হচ্ছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রাফিউল আহমেদ বাপ্পি, তাহমিদ আরেফিন সাজিদ প্রমুখ।
আব্দুল্লাহ আল মাহিন বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা এই আয়োজন করে থাকি। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি কিছু মহানুভব মানুষ আমাদের ইফতার আয়োজনে নিয়মিত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। এবারই প্রথম পুরো আয়োজনের অর্থায়ন করছে দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে মিলে প্রতিদিনের ইফতার আয়োজন সম্পন্ন করছেন। এভাবেই প্রতিবছর আমরা এই রোজাদারদের পাশে থাকতে চাই।’ রাফিউল আহমেদ বাপ্পি বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রতিনিয়তই ভালো কাজে অংশ নেয়। আমাদের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি যাদের সামর্থ্য আছে, তারা যদি এগিয়ে আসে, তাহলে অতিদরিদ্র আর অসহায়দের স্বাবলম্বী করা সহজতর হবে। অসহায় দুস্থদের জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে সহায়তা করলে সামাজিকভাবে তাদের প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যাপক সহায়ক হবে ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ২০ জন দরিদ্র মহিলাকে বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ ও মেশিন বিতরণ তাঁদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বসুন্ধরা গ্রুপের এই উদ্যোগ অনেক মহতী এবং অনুপ্রেরণাদায়ক।
তিন মাস আগে নান্দাইলে যোগ দিয়েছি। আগের কর্মস্থল ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায়ই বসুন্ধরা শুভসংঘের অনেক কাজে জড়িত ছিলাম। সেখানকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মা-বাবাকে ডেকে এনে সবার সামনে পা ধুয়ে সম্মান দেখানোর ঘটনাটি ছিল অনুকরণীয়। এটি নৈতিক ও পারিবারিক শিক্ষা প্রদানের উত্কৃষ্ট উদাহরণ ছিল।
শিক্ষা খাতে বসুন্ধরা গ্রুপ ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।