ঢাকা, রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫
১৬ চৈত্র ১৪৩১, ২৯ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫
১৬ চৈত্র ১৪৩১, ২৯ রমজান ১৪৪৬

মান ও সাশ্রয়ী দামে জোর দিচ্ছে বাটারফ্লাই

  • ঈদকে কেন্দ্র করে ফ্রিজ বিক্রি বাড়াতে হাউস অব বাটারফ্লাই শুরু করেছে ‘ঈদের খুশিতে জমবে উৎসব’ ক্যাম্পেইন। সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রিজের বাজার ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন বাটারফ্লাই গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার, প্রোডাক্ট ডিপার্টমেন্ট, বিপুল কুমার দাস
শেয়ার
মান ও সাশ্রয়ী দামে জোর দিচ্ছে বাটারফ্লাই

ঈদ ঘিরে ফ্রিজে কী অফার দিচ্ছেন? নতুন কী মডেল এনেছেন?

এবারও ঈদকে ঘিরে আমরা বেশ উৎসাহী, তাই ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা শুরু করেছি ঈদের খুশিতে জমবে উৎসব ক্যাম্পেইন। গ্রাহকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই আমাদের বিদ্যমান ফ্রিজগুলো নিয়ে আকর্ষণীয় ঈদ অফার দিচ্ছি। এই অফারে গ্রাহক ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক ও নির্দিষ্ট মডেলের ফ্রিজে ৩৯ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত নগদ সাশ্রয়, শূন্য শতাংশ ইন্টারেস্টে নগদ কিস্তি সুবিধা, ১৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ১৮ মাসের কিস্তি সুবিধা, নির্দিষ্ট ব্যাংকে ৩৬ মাস পর্যন্ত ব্যাংক ইএমআই সুবিধা, এক্সচেঞ্জ অফার ও বাংলালিংক অরেঞ্জ ক্লাব অফারের সুবিধা নিতে পারবেন। এ ছাড়া, আমাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড ইকো প্লাস ফ্রিজে রয়েছে সবচেয়ে সাশ্রয়ী কিস্তি সুবিধা।

মাত্র ছয় হাজার ২১৯ টাকা ডাউন পেমেন্ট এবং এক হাজার ৯৬১ টাকা মাসিক কিস্তিতে একজন গ্রাহক সহজেই একটি ফ্রিজ নিতে পারবেন। এই অফারের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি যেন স্বল্প বাজেটেও গ্রাহকরা মানসম্পন্ন রেফ্রিজারেটরের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

ঈদে বিক্রি কেমন হবে বলে আশা করছেন?

এই ঈদে আমরা প্রত্যাশা করছি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিক্রি বাড়বে। যদিও বাজার পরিস্থিতি ও ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে, তবে আমাদের ঈদের খুশিতে জমবে উৎসব ঈদ ক্যাম্পেইনের অফার এবং সহজ পেমেন্ট অপশনগুলো গ্রাহকদের মাঝে এরই মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।

স্মার্ট ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ফ্রিজ বাজারজাতকরণে আপনারা কতটা এগিয়ে?

হাউস অব বাটারফ্লাই ফ্রিজের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো স্থানীয় আবহাওয়া, ব্যবহারকারীর অভ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে তৈরি প্রযুক্তি। আমরা এমন ফিচার নিয়ে কাজ করি, যা শুধু দেখতেই আধুনিক নয়, ব্যবহারেও সাশ্রয়ী ও কার্যকর। আমাদের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ আছে, যেখানে বিভিন্ন স্মার্ট টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, যা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি, ফাস্ট কুলিং সিস্টেম, ফুড ফ্রেশনেস ধরে রাখার স্মার্ট সেন্সর এসব ফিচারের মাধ্যমে আমরা ক্রমাগত চেষ্টা করছি স্মার্ট রেফ্রিজারেশন সলিউশন পৌঁছে দিতে।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমরা দেশীয় বাজারে শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর কাতারে রয়েছি এবং আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতে আরো স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ বাজারে আনা।

ফ্রিজের বাজারে মার্কেট শেয়ার বাড়াতে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

মার্কেট শেয়ার বাড়াতে আমরা তিনটি দিককে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছিবিশাল পণ্য সমাহার, গুণগত মান ও সহনশীল মূল্য। প্রথমত, আমরা আমাদের ফ্রিজের রেঞ্জে বিভিন্ন ধরন ও ক্যাটাগরির ফ্রিজ রেখেছি, যাতে গ্রাহক তাঁর প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দ করতে পারেন। আমরা দেশি-বিদেশি, গ্লোবাল ও নিজস্বসহ স্বনামধন্য বেশ কিছু ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করছি, যেমন-হায়ার, হিটাচি, এলজি, স্যামসাং, হোয়ার্লপুল ও নিজস্ব ব্র্যান্ড ইকো প্লাস। দ্বিতীয়ত, আমরা ক্রমাগত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করছি যাতে পণ্যের গুণগত মান থাকে সর্বোচ্চ।

বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, টেকসই এবং আধুনিক ফিচারযুক্ত ফ্রিজ গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি।

তৃতীয়ত, গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতা এবং বাজেট বিবেচনায় আমরা পণ্যের মূল্য সচেতনভাবে সহনশীল রাখছি, কারণ আমাদের বিশ্বাস প্রযুক্তির সুবিধা সবার নাগালে থাকা উচিত। আমরা সহজ কিস্তি সুবিধা, ক্যাশব্যাক এবং সিজনাল অফার, এমন কিছু মোডালিটি নিয়ে কাজ করছি যাতে বাজেটের মধ্যেই মানসম্মত ফ্রিজ কেনা সম্ভব হয়।

বাজেটে ফ্রিজের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে আপনার সুপারিশ কী?

আসন্ন বাজেটে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও কর সুবিধা প্রদান করলে স্থানীয় উৎপাদন খরচ কমবে এবং প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণ সহজ হবে।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এআই ফ্রিজ

    ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারজাত করার আগে ৭০টিরও বেশি কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্ট পাস করতে হয়। এভাবেই কম্পানির সাফল্যের কারণ জানালেন ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক। কালের কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়ালটন ফ্রিজের মান ও বাজার প্রবৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেন তিনি
শেয়ার
সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এআই ফ্রিজ

ঈদ উপলক্ষে বাজারে আসা ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের প্রযুক্তি ও ফিচার সম্পর্কে বলুন?

ঈদ সামনে রেখে অর্ধশতাধিক অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ বেশ কিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। নতুন মডেলের এসব ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ৬৫২ লিটার ধারণক্ষমতার মাল্টিকালার ডিজাইনের সাইড বাই সাইড রেফ্রিজারেটর, নাইন-ইন-ওয়ান কনভার্টিবল মোডসমৃদ্ধ ৬৬০ লিটার ফ্রেঞ্চ ডোর রেফ্রিজারেটর, ইউরোপিয়ান ডিজাইনের ৩৪৩ লিটার অত্যাধুনিক নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৩০৩ লিটার ভার্টিকাল নন-ফ্রস্ট ফ্রিজার, ২২৪ লিটার বেভারেজ কুলার, কনভার্টিবল মোডের ২৫৫ লিটার চেস্ট ফ্রিজার এবং কনফেকশনারি কুলার। ওয়ালটন নতুন মডেলে ব্যবহৃত এআই ডক্টর ফিচার গ্রাহকের বাসায় ব্যবহৃত ফ্রিজে কোনো সমস্যা থাকলে তা আগেই ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরা জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী দ্রুত ফ্রিজের সমস্যাটি সমাধান করবেন।

ফ্রিজে দেশের নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড ওয়ালটন।

এই অবস্থান ধরে রাখার পেছনের কারণগুলো কী?

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিমের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তি ও ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। ওয়ালটন ফ্রিজ যেমন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, তেমনি দামেও সাশ্রয়ী। ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ওয়ালটন ফ্রিজ। পাশাপাশি রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা।

শীর্ষস্থান ধরে রাখতে সামনের দিনগুলোতে কোন জায়গায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন? 

দেশীয় রেফ্রিজারেটর বাজারে শীর্ষস্থান বজায় রাখতে রেফ্রিজারেটর খাতের অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে অধিক জোর দিয়েছি আমরা। চতুর্থ শিল্প বিল্পবের নতুন নতুন যে অটোমেশন প্রযুক্তি আছে সেগুলোর ব্যবহার বাড়াতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনেও প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে ওয়ালটন কতটা এগিয়ে? 

বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

তাই ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংস বেজড এই প্রযুক্তি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথম বিএসটিআইয়ের ৫-স্টার এনার্জি রেটিং সনদপ্রাপ্ত ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনে অনেক দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বে ওয়ালটনই প্রথম পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ইউএনডিপির সমন্বয়ে ফ্রিজে ক্ষতিকারক সিএফসি ও এইচসিএফসি গ্যাস ফেজ আউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

দেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে কোন কোন দিক থেকে ওয়ালটন আলাদা?

ফ্রিজের বাজারে সর্বোচ্চসংখ্যক ডিজাইন ও মডেল, গুণগতমান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের দিক থেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন। আমাদের স্বতন্ত্র বৈশ্বিষ্ট্য হচ্ছেদক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিম রয়েছে আমাদের। তাঁরা ১২০টি দেশের আবহাওয়ার প্যাটার্ন অনুযায়ী ফ্রিজের ডিজাইন তৈরি করছে। অঞ্চলভেদে আমাদের দেশের আবহাওয়ার তারতম্য রয়েছে। সব ধরনের আবহাওয়া উপযোগী করে ওয়ালটন ফ্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। যে কারণে ওয়ালটন ফ্রিজ অনেক বেশি টেকসই হয়। ওয়ালটন ফ্রিজ বাজারজাত করার আগে ৭০টিরও বেশি কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্ট পাস করতে হয়। এ জায়গায়ই আমাদের সফলতা। এ ছাড়া দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের নিশ্চয়তায় আমাদের আছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ আফটার সেলস সার্ভিস নেটওয়াক। মূলত এসব কারণে অন্যান্য ব্র্যান্ডের থেকে আলাদা ওয়ালটন ফ্রিজ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন ফ্রিজ টানা ১১ বারের মতো বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।

স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার উদ্ভাবনে ওয়ালটনের সাফল্য কতটুকু? এ খাতে বিনিয়োগ কেমন?

ওয়ালটনে বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় হচ্ছে পণ্য গবেষণা, উদ্ভাবন ও অটোমেশনে। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে গড়ে তোলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন বাংলাদেশ, কোরিয়া, ইটালি, চীন, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশের অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের এক চৌকস টিম। তাঁরা প্রতিনিয়ত বাজার গবেষণার মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংসের মতো স্মার্ট প্রযুক্তি ওয়ালটন ফ্রিজে সংযোজন করেছেন।

ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রয়ে কোনো বিশেষ সুবিধা রয়েছে কী?

দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য আবারও মিলিয়নেয়ার হওয়ার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ওয়ালটন ফ্রিজের প্রত্যেক ক্রেতার জন্য রয়েছে নিশ্চিত উপহার।

ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে কোন কোন দেশে? রপ্তানি নিয়ে আগামী দিনের পরিকল্পনা কী?

ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ইরাক, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, অস্ট্রিয়াসহ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ ৪০টিরও বেশি দেশে রেফ্রিজারেটরসহ ফ্রিজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রপ্তানি করছে ওয়ালটন। গত অর্থবছরে প্রায় এক লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানি করেছি আমরা। ২০২৬ সালের মধ্যে তিন লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানির টার্গেট রয়েছে আমাদের। সে জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছি আমরা।   

 

মন্তব্য

ঈদে মিলছে নানা অফার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদে মিলছে নানা অফার

কম্পানিগুলো ক্রেতা আকর্ষণে ফ্রিজ বিক্রিতে বিশেষ অফার দিয়েছে। ফ্রিজ কিনে লাখপতি ও কোটিপতি হওয়ারও অফার চলছে দেশি কয়েকটি কম্পানিতে। নগদ টাকায় ফ্রিজ কিনলে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট সুবিধাও রেখেছে অনেক কম্পানি। প্রায় সব ব্র্যান্ডের ফ্রিজে রয়েছে কিস্তির সুবিধা।

রাজধানীর বাড্ডার মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক ব্রাঞ্চের ম্যানেজার হাসান মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ঈদ উপলক্ষে গত কয়েক মাসের তুলনায় ফ্রিজের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। অনেকে শোরুমে এসে ফ্রিজ দেখে দামদর জেনে যাচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে আমাদের সব ফ্রিজে কোটিপতি হোন অফার চলছে। সর্বোচ্চ ৫৩ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট রয়েছে।

সঙ্গে মিনিস্টারের ফ্রিজ কিনলেই স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে নিশ্চিত উপহার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

রাজধানীর রামপুরা ভিশন শোরুমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, ভিশন ব্র্যান্ডের সব ধরনের ফ্রিজে ফুলঝুরি অফার চলছে। ফ্রিজ কিনলেই গৃহস্থালি প্লাস্টিক পণ্য ফ্রি পেয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় ওয়ালটন শোরুমের ম্যানেজার মোস্তফা কামাল (সোহাগ) বলেন, ওয়ালটনের প্রত্যেকটি ফ্রিজে লাখপতি অফার চলছে।

ফ্রিজ কিনে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি ফ্রিজে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট সুবিধাও রয়েছে। আমাদের ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার দুই ধরনের ফ্রিজ রয়েছে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ইনভার্টার ফ্রিজ। আমাদের ইনভার্টার ফ্রিজ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

উৎসবে চাঙ্গা ফ্রিজের বাজার

সজীব আহমেদ
সজীব আহমেদ
শেয়ার
উৎসবে চাঙ্গা ফ্রিজের বাজার

দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সহজ কিস্তিতে ক্রয়ের সুবিধা থাকায় দ্রুতগতিতে বড় হচ্ছে ফ্রিজের বাজার। দেশীয় কম্পানি ফ্রিজ উৎপাদন শুরু করায় পণ্যটির দামও ক্রেতার নাগালে রয়েছে অনেকটাই। ফলে শখের পরিবর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে ফ্রিজ। সমাজের উচ্চ ও মধ্যবিত্তের পাশাপাশি বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরেও জায়গা করে নিয়েছে রেফ্রিজারেটর।

বাংলাদেশে প্রায় দুই দশক ধরে ফ্রিজের বাজার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বর্তমানে এই বাজারে আধিপত্য দেশীয় কম্পানিগুলোর। দেশীয় কম্পানিগুলোর উৎপাদিত ফ্রিজ দিয়েই অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেশির ভাগ অংশ মিটছে। একই সঙ্গে দেশে উৎপাদিত ফ্রিজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও হচ্ছে।

ফ্রিজ উৎপাদনকারী কম্পানি ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন বাসাবাড়িতে ফ্রিজ একটা আবশ্যিক পণ্যের নাম। দেশে গত এক যুগ আগে ফ্রিজের বার্ষিক চাহিদা ছিল ১০ লাখের মতো। বেড়ে এখন এর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩৩ থেকে ৩৫ লাখ। বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রায় ৯৫ শতাংশই দেশে উৎপাদিত হচ্ছে, বাকি ৫ শতাংশ ফ্রিজ আমদানি হচ্ছে।

একসময় দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি ব্র্যান্ডের দাপট ছিল। গত দেড় দশকে সরকারের নীতি সহায়তা, দেশীয় বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর বিনিয়োগের কারণে বর্তমানে ৮৫ শতাংশের বেশি মার্কেট শেয়ার দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর। বর্তমানে দেশি-বিদেশি ১৩টি কম্পানি দেশে ফ্রিজ উৎপাদন করে বাজারজাত করছে। দেশে ফ্রিজের বাজার ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বছরে ১৫ শতাংশ হারে ফ্রিজের বাজারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

মাত্র কয়েক দিন পরই ঈদুল ফিতর। ঈদ ঘিরে বাজারে ফ্রিজের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তবে ফ্রিজের বড় চাহিদা থাকে ঈদুর আজহা কেন্দ্র করে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবছর প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি ফ্রিজ দুই ঈদে বিক্রি হয়ে থাকে। তবে রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদে ফ্রিজের চাহিদাটা একটু বেশিই থাকে। কারণ মানুষ কোরবানির পশুর মাংস ভালোভাবে সংরক্ষণে ফ্রিজ কিনে থাকে।

উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারে একাধিক ফ্রিজের ব্যবহার রয়েছে। এর বাইরে হোটেল-রেস্টুরেন্ট, সুপার শপ, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, অফিসসহ প্রায় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে একাধিক ফ্রিজ ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের প্রথম উদ্যোগ নেয় দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। তারপর একে একে যমুনা, মিনিস্টার, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ভিশন, ট্রান্সকম ও ওরিয়ন কারখানা স্থাপন করে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দেশে ফ্রিজ উৎপাদনের কারখানা গড়ে তুলেছে বিদেশি ব্র্যান্ড স্যামসাং, সিঙ্গার, ওয়ার্লপুল, কনকাসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড।

২০২১ সালে প্রকাশিত মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশের (এমডব্লিউবি) এক গবেষণা বলছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত দেশের ফ্রিজের বাজার বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো নিয়ন্ত্রণ করত। বর্তমানে দেশে ফ্রিজের বাজারের বেশির ভাগই দেশীয় ব্র্যান্ডের দখলে। এর মধ্যে এককভাবে দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটনের দখলে অনেকখানি অংশ। বাকিগুলো মিনিস্টার, ভিশন, যমুনা, মার্সেলসহ অন্যদের দখলে। আর বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে সিঙ্গার, স্যামসাং, কনকা, শার্প, এলজি উল্লেখযোগ্য। মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশের এক জরিপে বলা হয়, দেশি-বিদেশি মিলে মোট ফ্রিজের চাহিদার ৯৫ শতাংশই দেশে উৎপাদিত হয়। এর বাইরে বিদেশ থেকে সরাসরি আমদানি হয় ৫ শতাংশ।

ফ্রিজের বাজারে শীর্ষে থাকা ওয়ালটন ২০০৮ সালে ফ্রিজের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি ফ্রিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কম্প্রেসর উৎপাদন শুরু করে। দেশের পাশাপাশি রপ্তানি বাজারে ভালো অবস্থান তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর ওয়ালটন এক লাখের বেশি ফ্রিজ রপ্তানি করেছে।

এ বিষয়ে ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে অর্ধশতাধিক অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ বেশ কিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি। গত অর্থবছরে প্রায় এক লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানি করেছি আমরা। ২০২৬ সালের মধ্যে তিন লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানির টার্গেট রয়েছে আমাদের।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, বর্তমানে ভিশন রেফ্রিজারেটরের তিন শতাধিক মডেল রয়েছে।

 

মন্তব্য

বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামায় মানিয়ে নিতে পারে স্মার্ট ফ্রিজ

বাণিজ্য ডেস্ক
বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ার
বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামায় মানিয়ে নিতে পারে স্মার্ট ফ্রিজ

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি খাতে গুরুত্ব পাচ্ছে পরিবেশ। তাই পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি খাবারের সতেজতা অক্ষুণ্ন রাখতে কম্পানিগুলো এখন নিয়ে আসছে স্মার্ট ফ্রিজ। দিন দিন এসব ফ্রিজের চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি নতুন নতুন ফিচার ও প্রযুক্তিও যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে ওয়ালটন, স্যামসাং, হিটাচি, ওয়ার্লপুল, ট্রান্সটেক, শার্প, এলজি, সিঙ্গার, ওরিয়ন, ভিশন, কনকা, যমুনা, ট্রান্সকমসহ বিভিন্ন কম্পানির স্মার্ট ফ্রিজ রয়েছে।

এসব ফ্রিজে ইকো ফ্রেন্ডলি ফিচার সংযোজনের কারণে পরিবেশের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ে না। সাধারণ ফ্রিজের দরজায় দুর্বল গ্লাস ব্যবহার করা হয়, যা রেফ্রিজারেটরকে সেভাবে সুরক্ষা দেয় না। কিন্তু স্মার্টের টেম্পারড গ্লাস অন্যান্য গ্লাসের চাইতে দৃঢ় ও টেকসই। স্মার্ট রেফ্রিজারেটর সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।
অনেক সময় বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামা করলে রেফ্রিজারেটরে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে আছে কম ভোল্টেজ অপারেশন সুবিধা, যা কম ভোল্টেজের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে মানিয়ে নেয়। স্মার্টের রেফ্রিজারেটর খুব দ্রুত ঠাণ্ডা হয়। কারণ এতে আছে ফাস্ট কুলিং সিস্টেম, যা খুব কম সময়ে খাবার ঠাণ্ডা করে ফেলে।
একই সঙ্গে এই ফ্রিজে রয়েছে ১০০ শতাংশ কপার কনডেন্সার সিস্টেম, যা খাবার সতেজ রাখবে। স্মার্ট ফ্রিজে থাকে ইনভার্টার প্রযুক্তি। এতে পাঁচটি মোড কাজ করে। নতুন এই প্রযুক্তির যন্ত্রে প্রয়োজনের সময় ডিপফ্রিজকে পুরোটাই সাধারণ ফ্রিজে রূপান্তর করে ব্যবহার করা যায়। কেউ বাসার বাইরে গেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য এনার্জি সেভিং মোড চালু করে রাখতে পারেন।
স্মার্ট ফ্রিজে যুক্ত হয়েছে টাচ প্রযুক্তি। কাচের দরজাযুক্ত এই ফ্রিজে দুইবার নক করলেই আলো জ্বলে উঠবে।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ