<p>ক্রীড়া প্রতিবেদক : কুমিল্লার ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে গত বছর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে চার গোল করে সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন সোলেমান দিয়াবাতে। গত সপ্তাহে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষেও মোহামেডানের এক গোলের জয়ে খেলার ভাগ্য গড়ে দেন মালির এই ফরোয়ার্ড। কুমিল্লার এই মাঠ যেন দিয়াবাতের জন্য পয়মন্ত! গতকাল আবারও সেই আবাহনীর বিপক্ষে দেখিয়েছেন ঝলক। তার গোলেই মৌসুমের প্রথম ডার্বি ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে মোহামেডান। তাতে লিগ টেবিলে এগিয়েও গেল সাদা-কালোরা। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্টে শীর্ষে আলফাজ আহমেদের দল। মুখোমুখি সাক্ষাতে টানা ছয় ম্যাচ আবাহনীর বিপক্ষে অপরাজিত থাকল মোহামেডান।</p> <p>পূর্ণ শক্তি মোহামেডানের বিপক্ষে বিদেশিহীন আবাহনী কতটুকু লড়াই করতে পারে, সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু শুধু স্থানীয়দের গড়া আকাশি-নীলরা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। সুমন রেজা-শাহরিয়ার ইমনরা প্রথমার্ধে আক্রমণে নিষ্প্রভ থাকলেও গোল হজমের পর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেন। শেষ দিকে তো সাদা-কালো রক্ষণে কাঁপন ধরিয়ে দেন। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন না হওয়ায় ম্যাচে আর ফেরা হয়নি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দিয়াবাতের সেই গোলই মোহামেডানকে এনে দেয় তিন পয়েন্ট।</p> <p>বিদেশি না থাকার ঘাটতি শুরু থেকেই টের পেতে থাকে আবাহনী। তাতে রক্ষণ সামলে প্রতি-আক্রমণ কৌশল বেছে নেন মারুফুল হক। ওদিকে দিয়াবাতে-এমানুয়েল সানডের সঙ্গে মোহামেডানের আক্রমণে রহিম উদ্দিন শুরু থেকেই ছিলেন তৎপর। তাতে দ্বাদশ মিনিটে দারুণ সুযোগ আসে, কিন্তু এমানুয়েল ছয় গজ বক্সে বল পেয়েও ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে মেরে বসেন। মধ্য মাঠ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আবাহনীকে চাপে ফেলানোর চেষ্টা চালায় সাদা-কালোরা। ২৫ মিনিটে চোট পেয়ে মুজাফফর মুজাফফরভ মাঠ ছাড়লে মধ্য মাঠে মোহামেডানের শক্তি কমে যায়। সুযোগে খোলস ছেড়ে বেরোনোর চেষ্টা করে আবাহনীর আক্রমণভাগ। কিন্তু প্রতিপক্ষের বক্সে একজন বিদেশি ফরোয়ার্ডের অভাব বারবার ফুটে উঠছিল। ঠিক এখানেই এগিয়ে ছিল মোহামেডান। গোল এনে দেওয়ার কাজটাই করেছেন একজন বিদেশি। বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে রহিম উদ্দিনের হাওয়ায় ভাসানো ক্রসে শূন্যে লাফিয়ে হেডে জালে পাঠান দিয়াবাতে।</p> <p>পিছিয়ে পড়া আবাহনীর ওপর দ্বিতীয়ার্ধে আরো চাপ বাড়ায় আলফাজের দল। কিন্তু নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে নিশানা খুঁজে পায়নি। ৬৩ মিনিটে দিয়াবাতের প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরে এলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি। উল্টো শেষ দিকে গোল হজমের শঙ্কায় পড়ে মোহামেডান। আক্রমণের পর আক্রমণ করে প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় বইয়ে দেয় আবাহনী। শেষ মিনিটে বদলি নামা আরমান ফয়সালের শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে না গেলে সমতা নিয়েই ফিরতে পারত আকাশি-নীলরা। দিনের অন্য ম্যাচে ময়মনসিংহে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। জোড়া গোল আল আমিনের। একটি করে গোল দীপক রায় ও কাজেম শাহ কিরমানির।</p> <p> </p>
