ক্রীড়া প্রতিবেদক : রবিবার ম্যাচ জেতার পর হোটেলে ফিরে যে ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিককে কাঁধে তুলে উদযাপন করেন, সেই ক্রিকেটাররাই সোমবার রাতে আরেকটি ম্যাচ জিতে একই ব্যক্তির সঙ্গে দলীয় ফটোসেশনে অংশ নেননি। না নেওয়ার কারণ, রবিবার বিকেলে হাতে পাওয়া পারিশ্রমিকের চেক সোমবার ব্যাংকে জমা দিয়েও লাভ হয়নি কোনো। গতকাল মঙ্গলবারও প্রাপ্য অর্থ বুঝে পাননি বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে খেলা ক্রিকেটাররা।
খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধের তাড়া দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক শফিকুর রহমানকে একাধিক চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তাতেও লাভ হয়নি। এ জন্য গতকাল বিপিএলের দল মালিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে গভর্নিং কাউন্সিল। এই বৈঠকেও সময় চেয়েছেন শফিকুর। তাতে আস্থা রাখতে পারছে না বিসিবি। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে বিপিএলের সদস্যসচিব নাজমুল আবেদীনের কথায় তেমন বার্তাই পাওয়া গেল, ‘আস্থা কিছুটা কম বলে এখন আমরা প্রতি মুহূর্তে তাঁদের নজরদারিতে রাখছি। প্রতিশ্রুতি যদি মোটামুটি রাখতেন তাঁরা, তাহলে এত বেশি উদ্বিগ্ন হতে হতো না। এখন থেকে নিয়মিত নজরে রাখব আমরা।’
শফিকুরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাঁকে।
দলটির ম্যানেজার মেহরাব হোসেন গতকাল দুপুরে অবশ্য জানান, খেলোয়াড়দের দ্বিতীয়বারের মতো চেক ভাঙাতে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা জানা নেই তাঁর। তবে এটা স্বীকার করেছেন, ‘আমি এখনো টাকা পাইনি। মালিকপক্ষ আমাকে একটা তারিখ দিয়েছে। সেই অপেক্ষায় আছি।’
কিন্তু খেলোয়াড়রা কত দিন অপেক্ষা করবেন? ড্রাফটের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি পথে হাঁটার পরিকল্পনা করছে বিসিবি।
এসব নেতিবাচকতার মাঝে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের প্রাইজমানি ৫০ লাখ টাকা করে বাড়িয়েছে বিসিবি।