<p>দেশের মোট অভ্যন্তরীণ রাজস্বের প্রায় ৯০ শতাংশের জোগানদাতা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত দিয়ে ১৯৭২ সালে এই বিশেষায়িত সংস্থাটির গোড়াপত্তন হয়েছিল। বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) এবং বিসিএস (কর) ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এর অধীনে মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোতে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ১৯৭৯ সালের আগে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালে জারীকৃত রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৭৬ অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হতেন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সামরিক সরকারগুলো ১৯৭২-এর আদেশকে কাটাছেঁড়া করে গঠন করেছিল অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, যার অধীনে রাজস্ব উইং হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন অবনমিত অবস্থান তৈরি করা হলো। এখানেই শেষ নয়। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিবকে পদাধিকারবলে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করার বিধান করা হলো। অর্থাৎ এসব সামরিক ফরমানবলে একটি টেকনিক্যাল ও পেশাদারি সংস্থার প্রধান হিসেবে একজন সাধারণ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার বন্দোবস্ত চূড়ান্ত করা হলো, যাঁর রাজস্বনীতি প্রণয়ন ও আহরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর কাজটি পরিচালনার বিষয়ে কোনো রকম অভিজ্ঞতা নেই। জাতির পিতার আদেশকে রহিত করে সামরিক সরকারের আমলে জারি করা এই বিধান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতেও অপরিবর্তিত রয়েছে। এর ফলে যা হলো সেগুলোর ফলাফল এককথায়—অর্থনীতিতে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবছর রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতা। সারা বিশ্বে, এমনকি দক্ষিণ এশিয়ায়ও কর-জিডিপির অনুপাতে আমাদের অবস্থান একেবারে তলানির দিকে। অথচ আমরা অচিরেই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছি এবং ২০৪১-এ আমরা একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশে রূপান্তরের কথা ভাবছি। এগুলোর সব কিছুই নির্ভর করছে আমরা অভ্যন্তরীণভাবে যথেষ্ট সম্পদ সংগ্রহ করতে পারছি কি না। এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাব আমাদের কর-জিডিপির অনুপাতে, যা বর্তমানে ১০ শতাংশেরও নিচে এবং দীর্ঘদিন থেকেই এই হারের আশপাশে আবর্তিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে যেসব উন্নয়নের চিত্র আমরা এখন দেখছি এবং ভবিষ্যতে দেখব বলে আশা করছি, সেগুলো <img alt="" src="http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Print Version Online/print /2021/12.December/15-12-2021/kalerkantho-6-2021-12-15-01a.jpg" style="float:left; height:260px; width:332px" />দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই হবে না। এই সহজ সত্যটি অনুধাবন করার জন্য আমাদের আইনস্টাইন হওয়ার দরকার নেই। বিদ্যমান ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা : ক. বর্তমানে সাধারণ প্রশাসন ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে একজনকে দু-তিন বছরের জন্য পদস্থ করা বা নিয়োগ দেওয়া হয়, যিনি পদাধিকারবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। রাজস্ব প্রশাসন একটি জটিল এবং স্পর্শকাতর ক্ষেত্র। এতে অনেক সূক্ষ্ম টেকনিক্যাল বিষয় রয়েছে, যা পেশাগত দীর্ঘ অভিজ্ঞতা না থাকলে হঠাৎ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব। এ কারণে বর্তমানে যাঁরাই এ পদে আসীন হচ্ছেন, তাঁরা মোটামুটি রুটিন কার্যক্রমের বাইরে মৌলিক কোনো সংস্কারের সূচনা করতে সক্ষম হচ্ছেন না। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়নের হতাশাব্যঞ্জক পরিস্থিতিই বলে দেয় রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সংস্কার কার্যক্রমগুলো ঠিকমতো এগিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনেও সময়ে সময়ে এর প্রতিফলন দেখা গেছে। খ. পেশাগত অনভিজ্ঞতার কারণে নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানরা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের রীতিনীতি, কর প্রদানের প্রবণতা, রাজস্ব প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংস্কৃতি, সক্ষমতা ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে করতেই তাঁদের মেয়াদ প্রায় শেষ করে ফেলেন। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, তাঁরা কোনো তৃতীয় পক্ষের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন এবং অনেক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হন, যা দেশের অর্থনীতিতে একটি সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এরপর যখন তাঁরা কিছুটা ধারণা লাভ করেন, তখন লব্ধজ্ঞান কাজে লাগানোর কোনো সুযোগ এবং সময় তাঁরা পান না। এরপর নতুন একজন আসেন এবং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা আরো দীর্ঘায়িত হয়। গ. জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান স্ট্যাটাস নিয়ে একটি বিভ্রান্তি রয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা পদাধিকারবলে সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং প্রথম সচিবরা উপসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে ১৯৭৯-এর প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়ক প্রস্তাবগুলো বোর্ডের চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদনের পর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে প্রেরণ করতে হয়। এটি একটি দ্বৈতশাসনের মতো ব্যবস্থা। কারণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব একই ব্যক্তি। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়ে, যা বোর্ডের অপারেশনাল ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। এ কারণে ১৯৭৯ সালের প্রজ্ঞাপনটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রকৃত অর্থে একটি অধিদপ্তরে পরিণত করেছে, যা সরকারের রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়ায় গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ঘ. বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) এবং বিসিএস (কর) ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা দেশের সেরা মেধাবী কর্মকর্তাদের অন্যতম। এ বিভাগে তাঁরা সারা জীবন চাকরি করে পেশাগত উৎকর্ষ চরমে পৌঁছার পরে বোর্ডের সদস্য পদে উপনীত হন। যৌক্তিকভাবেই তাঁরা বিশ্বাস করেন যে বিভাগের প্রধানের পদটি অলংকৃত করার সব দক্ষতা ও যোগ্যতা তাঁদের রয়েছে। তাই বোর্ডের চেয়ারম্যান অন্য ক্যাডার থেকে পদস্থ হলে এই বিভাগের কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানের মধ্যে একটি মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের ক্ষেত্র তৈরি হয়। এর অনিবার্য পরিণতি হলো—রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা হতাশায় পর্যবসিত হয়ে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের সেরাটি দেশের জন্য দিতে ব্যর্থ হন এবং নিজেদের অনেকখানি গুটিয়ে নেন। পেশাগত অনভিজ্ঞতার কারণে চেয়ারম্যানরা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন, যা তাঁদের মধ্যে হীনম্মন্যতার জন্ম দেয়। এ কারণে অনেক সময় তাঁরা তাঁদের ক্যাডারভুক্ত কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের (যাঁরা অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে প্রেষণে পদস্থ হন) সঙ্গে নিয়ে ‘অফিস পলিটিকসে’ ব্যস্ত হয়ে পড়েন, যা প্রায়ই দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে। এতে রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি এটি আন্ত ক্যাডার বৈরিতাকেও ব্যাপকভাবে বাড়তে সাহায্য করে। এর ফলে রাজস্ব প্রশাসনে একটি সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখা বেশ কঠিন হয়ে যায়, যার নেতিবাচক প্রভাব আমাদের বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়ছে। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যেসব বিভাগ তাদের নিজস্ব পেশাদার কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, তাঁরা তাঁদের দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজ নিজ বিভাগকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, পররাষ্ট্র, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী তাদের নিজস্ব নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও তাদের পেশাদারির ছাপ রেখে চলেছে। আধুনিক ব্যবস্থাপনার সব তত্ত্বেই এটি সর্বজনস্বীকৃত যে নিজস্ব পেশার কর্মকর্তাদের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত করা হলে তাঁরা সেখানে অন্য যেকোনো ব্যক্তির তুলনায় অনেক বেশি পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ রাখতে সমর্থ হন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে এর ব্যতিক্রম হওয়ার কারণে কাস্টমস ও আয়কর বিভাগের অনেক চৌকস ও মেধাবী কর্মকর্তা হতাশার গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁদের মধ্যে কিছু কর্মকর্তা ক্যাডার পরিবর্তন করে উপসচিব হিসেবে সচিবালয়ে চলে যাচ্ছেন। এতে মেধা ও মননে এগিয়ে থাকার পরও আমরা এসব কর্মকর্তার দক্ষতা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোসহ এশিয়া ও ইউরোপের প্রায় সব দেশেই রাজস্ব বিভাগের প্রধান ব্যক্তিরা রাজস্ব প্রশাসনের দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। এতে তাঁরা পেশাদারি মনোভাব নিয়ে তাঁদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। সরকারের চলমান এবং আসন্ন মেগাপ্রকল্পগুলো, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), ১০০ বছরের ডেল্টা পরিকল্পনা ইত্যাদি বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজন হবে। এই সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসতে হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। বিদ্যমান রাজস্ব প্রশাসনের কাঠামোগত সংস্কার ছাড়া পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনসহ বোর্ডের বিভিন্ন সংস্কারমূলক প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সেটি করা না হলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করাও সম্ভব হবে না। এই লক্ষ্যে প্রথম ধাপ হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে একীভূত করে একটি স্বতন্ত্র রাজস্ব বিভাগ সৃজন করা, যা পরিচালিত হবে কাস্টমস ও আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দিয়ে। অর্থাৎ এই বিভাগের সচিবসহ অন্যান্য পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এই দুটি ক্যাডার থেকে পদায়ন করা হবে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরূপ একটি পূর্ণাঙ্গ ও বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ের মর্যাদায় সেটি পরিচালিত হবে। এ ব্যবস্থার সুবিধা হচ্ছে : ক. একটি বিশেষায়িত বিভাগ হওয়ার কারণে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন সহজ হবে। খ. বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বিক টানাপড়েন, সেটি দূর হবে। এর ফলে ‘দ্বৈতশাসনের’ অবসান হবে। গ. একটি জ্ঞানভিত্তিক রাজস্ব প্রশাসন ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজের দক্ষতা ও নিষ্ঠার বিষয়ে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব বজায় থাকবে। ঘ. রাজস্বনীতি প্রণয়নের কার্যক্রম এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রম আলাদা করে একটি সুন্দর সমন্বয়ের মাধ্যমে তা পরিচালিত হবে। অর্থাৎ রাজস্ব বিভাগ নীতি প্রণয়ন (বার্ষিক আয়ের বাজেট) সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে মাঠ পর্যায়ের কমিশনারেট এবং অধিদপ্তরগুলো। ঙ. সর্বোপরি রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে এটি একটি বিশাল অবদান রাখবে, যা জাতীয় অর্থনীতির সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।</p> <p>এটি অনস্বীকার্য অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। উন্নয়নের এই চাকাকে সচল রাখতে হলে একটি টেকসই এবং আধুনিক রাজস্ব প্রশাসন পাশে থাকা একান্ত অপরিহার্য। একটি জ্ঞানভিত্তিক এবং বিশেষায়িত সেবার কাজ আমরা সে পেশায় দক্ষ লোকদের দিয়েই নির্বাহ করতে চাই। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তো বটেই, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও এরই মধ্যে রাজস্ব প্রশাসন বিষয়ে এই কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন করেছে। সেসব দেশের রাজস্ব প্রশাসন পরিচালিত হয় রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। অথচ আমরা এখনো প্রায় ৪২ বছর আগের সামরিক সরকারের জারি করা ব্যবস্থায় পড়ে আছি। তাই আর সময় নষ্ট করে এখনই আমাদের একুশ শতকের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এসব মৌলিক প্রশাসনিক সংস্কারের দিকে গভীর মনোযোগ দিতে হবে। কাজটি অবশ্যই কঠিন এবং এতে অনেক স্বার্থান্বেষী মহল বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু সেটি যেন আমাদের সঠিক কাজটি করা থেকে বিরত না রাখে।</p> <p> </p> <p>লেখক : সাধারণ সম্পাদক,</p> <p>বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি</p>