ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

বিয়ের যত কারিগর

  • নাবীল আল জাহান
অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
বিয়ের যত কারিগর
ছবি : নিজল ক্রিয়েটিভ স্টুডিও

ওয়েডিং প্ল্যানার

পুরো একটা বিয়ের আয়োজনের ঝক্কি পোহানো তো আর কম কথা নয়। সমস্যা সমাধানে এখন কাজ করছে বেশ কিছু ওয়েডিং প্ল্যানার প্রতিষ্ঠান। তারা সব ধর্মের বিয়ের সব অনুষ্ঠানেরই আয়োজন করছে।

 

ওয়েডিং সলিউশনস

হল বুকিং, বিয়ের কার্ড ডিজাইন ও ছাপানো, বর-কনের মেকআপ, ড্রেস ডিজাইন, ক্যাটারিং, ডেকোরেশন, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং, ডিজে—সব কিছুরই ব্যবস্থা করে তারা।

দেশের পাশাপাশি মুম্বাইয়ের দুজন ডিজাইনারের সঙ্গে তাদের বোঝাপড়া আছে। গ্রাহক চাইলে তাদের দিয়েও কনের লেহেঙ্গা বানানো যায়। অনুষ্ঠান আয়োজনের বেশ কিছু প্যাকেজ আছে। গ্রাহকদের পছন্দ ও চাহিদার ভিত্তিতেও প্যাকেজ তৈরি হয়।
খরচ মূলত অতিথি সংখ্যা ও অনুষ্ঠানের ধরনের ওপর নির্ভর করে। ন্যূনতম খরচ ৫০ হাজার টাকা। আয়োজনভেদে খরচ বাড়ে। ঢাকার বাইরেও বিয়ের আয়োজন করে তারা।

ঠিকানা : সড়ক ৭/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭৭৭৮৮৮৮৫৫

 

ক্রিয়েটিভ ওয়েডিং প্ল্যানার

পারিবারিক ব্যবসা ছিল ক্যাটারিং ও ডেকোরেটরের (হাবিব ডেকোরেটর)। বাবার সেই প্রতিষ্ঠানকেই ছেলেরা আধুনিক ওয়েডিং প্ল্যানার প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছেন। সম্পূর্ণ নিজস্ব লোকবল দিয়ে কাজ করে। গ্রাহকের চাহিদার ভিত্তিতে খরচ নির্ধারিত হয়।

শুধু খাবার নিলে মাথাপিছু খরচ পড়ে ৫০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা। আর ডেকোরেশনের ন্যূনতম খরচ এক লাখ টাকা। ঠিকানা : বাড়ি-৪৪১, সড়ক-৩০, মহাখালী ডিওএইচএস (নতুন), ঢাকা। মোবাইল : ০১৯৯২৫০৫০৫০

 

রয়্যাল ওয়েডিং প্ল্যানার

২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে। খাবার, ডেকোরেশন, ফটোগ্রাফিসহ প্রায় সব কিছুই করে। পাশাপাশি বেশ কিছু হল, মেকআপ আর্টিস্ট ও ওয়েডিং ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি আছে। ফলে তাদের মাধ্যমে বুকিং দেওয়া হলে সেগুলোতে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। বিয়ে, গায়েহলুদ ও রিসিপশনের জন্য বেশ কিছু প্যাকেজ রয়েছে। শুরু দেড় লাখ টাকা থেকে। তবে ব্রাইডাল শাওয়ার, মেহেদি নাইট ইত্যাদি ছোট আয়োজন গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী করা হয়। খরচও সে অনুযায়ী নির্ধারণ হয়। তবে কেউ যদি বিয়ে, গায়েহলুদ ও রিসিপশন—তিনটাই করেন, সঙ্গে ছোট একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন বিনা মূল্যে করে দেওয়া হয়। ঠিকানা : সৈয়দ গ্র্যান্ড সেন্টার, লেভেল-৯, প্লট-৮৯, সড়ক-২৮, সেকশন-৭, উত্তরা, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭০৩২১৭৭৩২

 

ফটোগ্রাফি

ছবি তোলা, ভিডিও ধারণ করা এখন বিয়ের অপরিহার্য অঙ্গ। এখন আর নিজেদের ক্যামেরায় শখের বশে বিয়ের ছবি তুললে চলে না। চাই পেশাদার আলোকচিত্রী। কারণ পুরো বিয়ের আয়োজন যত ভালোই হোক, তার স্মৃতি ধরে রাখা থাকবে কিন্তু ওই ছবি আর ভিডিওতেই।

 

ওয়েডিং ডায়েরি বাংলাদেশ

এ বছরই এক যুগ পূর্তি হতে যাচ্ছে। ওয়েডিং ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি দুটোই করে। অনুষ্ঠানের বিস্তারিত জানিয়ে কোন প্যাকেজটি নিলে ভালো হবে সেটা জেনে নেওয়া যায়। ছবি-ভিডিও একসঙ্গে করলে খরচ পড়বে ১৯ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। মূল আলোকচিত্রী প্রীত রেজাকে পেতে অ্যাপয়েনমেন্ট নিতে হয়। ঠিকানা : ফ্ল্যাট-এ২, বাড়ি-৪০, সড়ক-৫, ব্লক-জি, বনানী, ঢাকা। মোবাইল: ০১৯৭৫৫৫৬৬৩৩

 

ড্রিম ওয়েভার

২০১২ সালে যাত্রা শুরু। ওয়েডিং ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি দুটোই করে। বেশ কিছু প্যাকেজ আছে। খরচ সাড়ে ১২ হাজার থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। মূল আলোকচিত্রী জে এইচ শুভকে পেতে ন্যূনতম খরচ পড়বে ৪৫ হাজার টাকা।

ঠিকানা : বাড়ি-২৩, সড়ক-১, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭১৭৯৯২২৮৫

 

নিজল ক্রিয়েটিভ ফটোগ্রাফি

মূল কাজ ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি। তবে বিয়ের সব আয়োজনের পরিকল্পনা ও তদারকিও করে। সে ক্ষেত্রে বাকি সেবাগুলোর জন্য গ্রাহকদের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করে। বেশ কিছু প্যাকেজ আছে। খরচ পড়বে ১৪ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত। চাহিদা মোতাবেক প্যাকেজ পরিবর্তন করে নেওয়া যায়। মূল আলোকচিত্রী আবু সুফিয়ান নিলাভকে পেতে খরচ পড়বে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা। ঠিকানা : বাড়ি-১১৮ (দ্বিতীয় তলা), নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭০৭১৩৩৫৫৪

 

ম্যারেজ মিডিয়া

ছেলে-মেয়ের জন্য বিয়ের পাত্র-পাত্রী খোঁজা এক বিশাল ঝক্কি। এখন অবশ্য অনেকেই নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করেন। কিন্তু সবাই তো আর চলার পথে মনের মানুষের খোঁজ পান না। বর্তমান যুগে ঘটকালি পেশায়ও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। প্রথাগত ঘটকদের পাশাপাশি চালু হয়েছে আধুনিক ম্যারেজ মিডিয়া।

 

অন্তরা ম্যারেজ মিডিয়া

মূলত অফলাইনে পাত্র-পাত্রী মেলানোর কাজ করে। খরচ একটু বেশি বলে অবস্থাসম্পন্ন পাত্র-পাত্রীদের জন্যই বেশি জুতসই। সেবা গ্রহণের জন্য একটা নির্দিষ্ট মেয়াদের সদস্যপদ গ্রহণ করতে হয়। সেটা তিন মাস, ছয় মাস বা এক বছরের হতে পারে। বিয়ের পরে মূল সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে হয়। সদস্যপদ গ্রহণ ও সার্ভিস চার্জ গ্রাহকের আর্থিক-সামাজিক অবস্থা, তাদের চাহিদা ইত্যাদি অনুযায়ী কমবেশি হয়। দেড় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার চারটি প্যাকেজ আছে। ঠিকানা : ১১/বি, সড়ক-৯৪, গুলশান-২, ঢাকা।

মোবাইল : ০১৮২৭৬২৫০৫৯

 

তাসলিমা ম্যারেজ মিডিয়া

২০১৪ সাল থেকে ম্যারেজ মিডিয়া হিসেবে অফলাইনে পাত্র-পাত্রী মেলানোর কাজ করছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকেই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে খরচের পরিমাণেও অনেক তারতম্য হয়। সাধারণত ২০ হাজার থেকে শুরু করে চাহিদা মোতাবেক কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। অনলাইনেও সেবা চালু করেছে তারা। সেখানে দেড় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের চারটি প্যাকেজ রয়েছে। খরচ পড়ে আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা। ঠিকানা : ৮৭ বিএনএস সেন্টার, লেভেল-৯, সড়ক-৫, সেক্টর-৭, উত্তরা, ঢাকা।

মোবাইল : ০১৭৮২০০৬৬১৫

 

ম্যাট্রিমনি সার্ভিস

অন্যান্য দেশের মতো সম্প্রতি বাংলাদেশেও চালু হয়েছে ডিজিটাল ম্যাট্রিমনি সার্ভিস। এগুলো ব্যবহার করে প্রথাগত কোনো মিডিয়ার সাহায্য না নিয়ে নিজেরাই পাত্র-পাত্রী খুঁজে নেওয়া যায়।

 

বাটারফ্লাই ম্যাট্রিমনিয়াল

দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়। ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেরাই পাত্র-পাত্রী পছন্দ করা যায়। এই সেবাটি বিনা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে কেউ যদি পুরো প্রক্রিয়াটি গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পন্ন করতে চান, সে জন্য ‘ভেনাস’ প্যাকেজে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। এর মাধ্যমে অনেকটা ম্যারেজ মিডিয়ার মতোই সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। পছন্দ জানিয়ে দিলে সে অনুযায়ী পাত্র-পাত্রী প্রস্তাব করা হবে। এই প্যাকেজের জন্য এখন খরচ পড়বে ৩০ হাজার টাকা [৭০ শতাংশ ডিসকাউন্ট]। তার অর্ধেক পরিশোধ করতে হবে রেজিস্ট্রেশনের সময়। www.butterflymatrimonial.com

মোবাইল : ০১৮২৩৩৪৬৭৭৭

 

বিবাহবিডি ডটকম

প্রায় ১২ বছর ধরে ম্যাট্রিমনি সেবা প্রদান করছে। সেবা গ্রহণের জন্য ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে সময় কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস (জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ভিসা ইত্যাদি) দিতে হয়। সেসবের ভিত্তিতে এবং পাত্র-পাত্রী ও তার অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে সব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। তারপর প্রফাইল সক্রিয় করা হয়। দেড় মাস থেকে এক বছরের চারটি প্যাকেজ আছে। খরচ পড়বে দুই হাজার ৯৯৫ থেকে ১৩ হাজার ৭৭৫ টাকা পর্যন্ত। আর প্রবাসীদের খরচ পড়বে ৪০ থেকে ১৮০ মার্কিন ডলার।

www.bibahabd.com

মোবাইল : ০১৯২২১১৫৫৫৫

 

বিডিম্যারেজ ডটকম

চার বছর ধরে ম্যাট্রিমনি সেবা প্রদান করছে। ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করলে বাকিদের প্রফাইল দেখা যাবে। তার থেকে পছন্দ করে যোগাযোগ করা যাবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনো খরচ নেই। তবে পছন্দের প্রফাইলে মেসেজ পাঠাতে বা লাইভ চ্যাটের আবেদন পাঠাতে টাকা লাগে।

সে জন্য এক থেকে চার মাসের আলাদা আলাদা প্যাকেজ রয়েছে। খরচ সাড়ে চার হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।

www.bdmarriage.com

মোবাইল : ০১৭২৬৩৩৮৩৩৮

মন্তব্য

মেহেদি রাঙানো ঈদ

    চাঁদরাতে মেহেদি পরার ধুম পড়ে যায়। মেহেদির রং-নকশায় জমে ওঠে ঈদ। কোন হাতে কেমন নকশা, হালকা নকশা নাকি ভরাট, কোনটিতে মানাবে কাকে, রং গাঢ় করার উপায় নিয়ে ডিজাইনারের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন ফাতেমা ইয়াসমীন
শেয়ার
মেহেদি রাঙানো ঈদ
ঈদে একটু ভারী নকশার মেহেদি ভালো মানাবে। ছবি : সংগৃহীত

একসময় মেহেদি পাতা বেটে হাতে লাগানোর চল ছিল, যা ছিল সময়সাপেক্ষ এবং কিছুটা কষ্টসাধ্য। টিউব মেহেদির কল্যাণে এখন খুব সহজেই দৃষ্টিনন্দন নকশা আঁকা যায়।

নকশায় বৈচিত্র্য

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে মেহেদির নকশায় এসেছে বৈচিত্র্য। ফুলেল, চরকা, পানপাতা, ময়ূর, জ্যামিতিক মোটিফের নকশাই বেশি জনপ্রিয়।

কারো পছন্দ হালকা ডিজাইন, আবার কেউ চায় হাত ভরা নকশা। ফিউশন ডিজাইনে কালো মেহেদি দিয়ে আউটলাইন করে লাল মেহেদি দিয়ে ভেতরের অংশ পূরণ করাও বেশ জনপ্রিয় এখন। হাতের গড়ন কেমন তার ওপর ভিত্তি করেও মেহেদির ডিজাইনের তারতম্য করতে হয়। যাদের হাত বড় তাদের হাতে ভরাট ও বড় আকৃতির নকশা মানানসই।
যাদের হাত ছোট তাদের হাতে লম্বালম্বি ডিজাইন ভালো দেখায়।

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মেহেদি ডিজাইন

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মেহেদির ডিজাইন করলে সাজ পায় পূর্ণতা। শাড়ির সঙ্গে দুই হাত ভরে নকশা করলে ভালো লাগবে। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে হাতের তালুতে বেশি নকশা রেখে ওপরটা হালকা রাখুন।

লম্বা কামিজের সঙ্গে কনুই পর্যন্ত মেহেদি না পরাই ভালো। হাতকাটা পোশাকের সঙ্গে বাহুতে বাজুবন্ধের মতো নকশা দেবে ভিন্ন মাত্রা।

মেহেদির রং গাঢ় করার উপায়

মেহেদি লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে, শুকিয়ে নিন। মেহেদি শুকিয়ে গেলে ঝেড়ে ফেলুন, পানি দেবেন না। চায়ের লিকার ও লেবুর রস ব্যবহার করলে রং আরো গাঢ় হয়।

সরিষার তেল মাখলে রং দীর্ঘস্থায়ী হয়। যারা তাত্ক্ষণিক মেহেদি পরার কথা ভাবছেন তাঁরা মেহেদি দেওয়ার পর অবশ্যই ভালোভাবে ঘষে হাত পরিষ্কার করে নেবেন, যেন মেহেদিতে থাকা রাসায়নিক হাতে লেগে না থাকে। যাঁরা তাড়াতাড়ি রং উঠিয়ে ফেলতে চান, হাতের ওই অংশটুকুতে পেস্ট লাগিয়ে শুকানোর পর ঘষে তুলে ফেলুন। সঙ্গে লেবু বা কাঁচা হলুদ দিয়েও ঘষে দেখতে পারেন।

মেহেদি লাগানোর সহজ কৌশল

ডিজাইনের জন্য আগে থেকে কিছু মোটিফ দেখে নিন। টিস্যু পেপার, টুথপিক বা আলপিন সঙ্গে রাখুন। মেহেদি দেওয়ার সময় নড়াচড়া কম করুন। এতে নকশা নষ্ট হবে না। জামা-কাপড়েও লাগবে না। যাঁরা বাসায় মেহেদি পরতে অভ্যস্ত নন তাঁরা ঈদের আগের দিন পার্লার থেকে মেহেদি নকশা করিয়ে আনতে পারেন।

খরচ

পার্লারভেদে মেহেদি লাগানোর খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। দুই হাত ভরে ঘন নকশার খরচ ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। হালকা নকশার খরচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। হাতের মাঝখানে ডিজাইনে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। কনুই পর্যন্ত নকশা করতে খরচ পড়বে ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা। শিশুদের মেহেদি করাতে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। বেশির ভাগ পার্লারে এই খরচের মধ্যেই আপনার পছন্দমতো নকশা করিয়ে নিতে পারবেন।

 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদের আগে চুল ও ত্বকের যত্ন

    ঈদের আগে পার্লারে যাওয়ার ফুরসত পাচ্ছেন না অনেকে। তাঁরা ঘরে বসেই সেরে নিতে পারেন ত্বক ও কেশচর্চা। সহজলভ্য উপাদান দিয়েই করতে পারেন চুল ও ত্বকের যত্ন। জানাচ্ছেন বিন্দিয়া বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী ও রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি
শেয়ার
ঈদের আগে চুল ও ত্বকের যত্ন
ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে লাবণ্যময় ত্বক। মডেল : রিভা

হেয়ার স্পা

নারকেল, জলপাই ও কাঠবাদামের তেল সমান অনুপাতে নিয়ে হালকা গরম করুন। আঙুলের ডগায় তেল লাগিয়ে চুলের নিচ থেকে ওপরে ম্যাসাজ করুন। পুরো মাথায় ম্যাসাজ হয়ে গেলে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে একটা তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে চুলসহ পুরো মাথায় কিছুক্ষণ পেঁচিয়ে রাখুন।

এভাবে তিনবার চুলে গরম পানির ভাপ দিন। এবার হেয়ার প্যাক লাগোনোর পালা। আধাকাপ টক দই অথবা তরল দুধ, একটা পাকা কলা, দুই টেবিল চামচ মধু নিন। প্রথমে টক দই, কলা ও অ্যালোভেরার শাঁস ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
মধু মেশান। রুক্ষ ও স্বাভাবিক চুলের জন্য এই প্যাক কার্যকর। তৈলাক্ত চুলে এই প্যাকে মধুর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ আপেল সিডর ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন।
এক ঘণ্টা পর প্রথমে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিয়ে শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পুর পর চুল মুছে কন্ডিশনার লাগান। দুই মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং ঈদের এক দিন আগে করুন হেয়ার স্পা।

 

ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে লাবণ্যময় ত্বক। মডেল : রিভা
ত্বক ও চুলের যত্নে বিভিন্ন ফলের প্যাকে উপকার পাবেন।
মডেল : ইতি।ছবি : মনজু আলম

ফেসিয়াল

আঁটসাঁট করে চুল বেঁধে তুলার বলে অলিভ অয়েল লাগিয়ে মুখমণ্ডলে বুলিয়ে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এবার স্ক্রাবিংয়ের জন্য ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে আধা টেবিল চামচ মসুর ডালের গুঁড়া এবং ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। হালকাভাবে সার্কুলার মুভমেন্টে ম্যাসাজ করুন। শেষ হলে কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। মাঝারি আকৃতির হাঁড়িতে ফুটন্ত গরম পানি ঢালুন। চাইলে পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করতে পারেন। চোখ বন্ধ করে বড় তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে ওই হাঁড়ির পানির ভাপ নিন। এভাবে ৫ মিনিট ভাপ নিয়ে আলতো করে মুখ মুছে খুব সাবধানে রিমুভার স্টিক দিয়ে ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস বের করুন। ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস রিমুভ হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিন। এবার ত্বকের ধরন অনুযায়ী বিউটি মাস্ক লাগিয়ে নিন।

মাস্ক লাগানো হয়ে গেলে শসা গ্রেট করে দুই চোখের ওপর দিয়ে ২০ মিনিট চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন। সব শেষে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। ফেসিয়াল করার জন্য রাতে ঘুমানোর আগের সময়টি বেছে নিন।

 

পেডিকিউর-ম্যানিকিউর

পছন্দমতো আকৃতিতে হাত ও পায়ের নখ কেটে নিন। ফাইলার দিয়ে ফাইল করুন। হালকা গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ লবণ ও সামান্য মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে হাত ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে আঙুলের নখ, নখের চারপাশ, কনুইসহ পুরো হাত পরিষ্কার করুন। কিউটিক্যাল কাটার দিয়ে নখের পাশের কিউটিক্যাল ফেলে দিন। হাত ধুয়ে মুছে নিন। এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া, এক টেবিল চামচ বেসন ও দুই টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে স্ক্রাবার বানিয়ে হাতের নিচ থেকে ওপরে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। একই পদ্ধতিতে পায়েও ক্লিনজিং ও স্ক্রাবিং করুন। পামস্টোন দিয়ে ঘষে পায়ের ময়লা ও মরা কোষ পরিষ্কার করুন। এবার হাত ও পায়ে লাগানোর জন্য মুলতানি মাটি, চন্দন পাউডার, গোলাপজল, মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। অথবা পাতিলেবু, হলুদ, চন্দন, মধু, অ্যালোভেরা, শসা, টক দই ইত্যাদি দিয়ে নিজের ত্বক অনুযায়ী বানিয়ে নিন ইচ্ছামতো প্যাক। ব্রাশের সাহায্যে হাত ও পায়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ভেজা হাতে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। স্বাভাবিক পানি দিয়ে হাত ও পা ধুয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। ব্যাস ঈদের আগেই ঘরে বসে সারা হয়ে গেল ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর।

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য

ঈদের দুপুর রাতে

    রোস্ট, বিরিয়ানি না হলে উত্সব ঠিক জমে না। ঈদের দিন দুপুর ও রাতে মাংসের সঙ্গে রাখতে পারেন মাছও। তিনটি রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজিয়া ফারহানা
শেয়ার
ঈদের দুপুর রাতে

মুরগির আচারি রোস্ট

 

উপকরণ

 

মুরগি একটি, পাঁচফোড়ন ২ চা চামচ, শুকনা মরিচ কুচি, মিষ্টি দই ৩ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, জিরার গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, কিশমিশ, বেরেশতা বাটা, গুড় ১ টেবিল চামচ করে, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো।

 

রোস্ট, বিরিয়ানি না হলে উত্সব ঠিক জমে না।

যেভাবে তৈরি করবেন

 

১.   মুরগি কাঁটাচামচ দিয়ে ভালো করে কেচে অল্প তেল ও ঘিয়ের মধ্যে হালকা সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন।

২.   বাকি তেল ও ঘিয়ে পাঁচফোড়ন ও শুকনা মরিচের ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি হালকা নেড়ে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন।

৩.   এবার ভেজে রাখা মুরগি দিয়ে কষিয়ে ২৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। বেরেশতা বাটা ও গুঁড় দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করে পোলাও, বিরিয়ানি অথবা খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন।

 

 

মাটন লেগ রোস্ট

উপকরণ

খাসির রানের মাংস ১ কেজি, টক দই ২০০ গ্রাম, গরম মসলা ১ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি লাল মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, আদাবাটা দেড় টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জায়ফল বাটা ১টি, জয়ত্রি বাটা ১ টেবিল চামচ, মৌরি ১ টেবিল চামচ, মালাই ৪ টেবিল চামচ, মাওয়া আধাকাপ, আস্ত কাঁচা মরিচ ৭-৮টি, ঘি আধাকাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতার কুচি সামান্য।

" height="483" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/Magazine 2023/24-03-2025/k019.jpg" width="800" />

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   মাংস ভালো করে ধুয়ে কাঁটাচামচ দিয়ে একটু খুঁচিয়ে নিতে হবে। এরপর পানি, মৌরি, ঘি বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিতে হবে ম্যারিনেশনের জন্য।

২.   এরপর ফ্রিজ থেকে প্যানে ঘি গরম করে তাতে মৌরির ফোড়ন দিন। এবার ম্যারিনেট করা খাসির রান দিয়ে দিন।

অল্প আঁচে কষিয়ে নিন।

৩.   মাংস থেকে পানি বের হতে শুরু করলে সামান্য গরম পানি দিন। এরপর অল্প আঁচে ২-৩ ঘণ্টা মাংসের দুই পিঠ উল্টেপাল্টে রান্না করুন। এখন এতে মৌরি ও ঘি দিয়ে দিন।

৪.   মাংস সিদ্ধ হয়ে ঝোল শুকিয়ে এলে আরেকটি পাত্রে নিয়ে পরিবেশন করুন মাটন রোস্ট।

 

প্যান গ্রিল কোরাল

উপকরণ

কোরাল মাছের ফিলে ৭০০  গ্রাম, লেবুর রস আধাকাপ, সি সল্ট ও কালো গোলমরিচের গুঁড়া দেড় চা চামচ করে, মাখন ৫০ গ্রাম, ফুল ক্রিম দেড় টেবিল চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, ঘি আধা চা চামচ, জলপাই তেল ২ টেবিল চামচ, কয়লা এক টুকরা, জাফরান ৮ থেকে ১০টি।

রোস্ট, বিরিয়ানি না হলে উত্সব ঠিক জমে না।

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   মাছের ফিলে ধুয়ে কিচেন টাওয়েল দিয়ে পানি মুছে নিন। ফিলে দুটি ৬ টুকরা করে একটি ছড়ানো পাত্রে নিয়ে লেবুর রস, সি সল্ট ও গোলমরিচের গুঁড়া মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন।

২.   গ্যাসের চুলায় কয়লা গরম হতে দিন। একটি পাত্রে ৩০ গ্রাম গলানো মাখন নিয়ে তাতে জাফরান ও বাকি লেবুর রস ও ফুল ক্রিম দিয়ে মিনিট দুয়েক চুলায় জ্বাল দিন।

৩.   চুলায় গ্রিল প্যান দিন। প্যান গরম হলে তাতে জলপাই তেল দিন। মাখন ২০ গ্রাম যোগ করুন। মাখন গলে এলে রসুন দিন। খানিকটা সতে নিন।

৪.   এবার ম্যারিনেট করে রাখা মাছগুলো সাবধানে প্যানে রসুনের ওপর বসিয়ে দিন। চুলার আঁচ চড়া থাকবে এ সময়। এক পাশ গ্রিল হলে সাবধানে উল্টে দিন। দুই পাশে সমানভাবে রান্না হলে ছোট একটু ফয়েল পেপার গোল করে নিয়ে তার ওপর কয়লা রেখে ওপরে আধা চা চামচ ঘি দিন।

৫.      ধোঁয়া বের হলে চুলার আঁচ বন্ধ করে প্যানের ওপর ঢাকনা লাগিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক। এরপর ঢাকনা খুলে পাত্রে সাজিয়ে লেবুর রস আর জাফরানের সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

 

 

 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

শেয়ার
ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

ঈদের সকালে পাতে মিষ্টি থাকেই। রাখতে পারেন চেনা-অচেনা নানা পদ। পাঁচটি রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী লিপি ইসমাইল

 

তরমুজের নেকলেস সন্দেশ

 

উপকরণ

 

এক কাপ গ্রেট করা তরমুজ, এক কাপ সুজি, হাফ টিন কনডেন্সড মিল্ক, হাফ কাপ গুঁড়া দুধ, হাফ কাপ কাজুবাদাম পেস্ট, দুই টেবিল চামচ ঘি, ডেকোরেশনের জন্য ড্রাই ফুট এবং তরমুজের জেলো প্রয়োজনমতো।

ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

যেভাবে তৈরি করবেন

 

১. একটি পাত্রে চুলার আঁচ কমিয়ে ঘি দিয়ে সুজি দিন এবং হালকা করে ভেজে নিন।

২. এরপর এতে একে একে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন যেন নিচে না লেগে যায়।

৩. মিশ্রণটি ঘন ও পাত্র থেকে আলাদা হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। একটি ডিশে ঘি ব্রাশ করে এতে তরমুজের মিশ্রণ সমান করে রেখে ঠাণ্ডা হলে পছন্দসই আকারে কেটে বাদাম ও তরমুজের জেলো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। ব‍্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার তরমুজের নেকলেস সন্দেশ।

 

ইনস্ট্যান্ট খেজুর সেমাই মিল্কি বাইটস

উপকরণ

 

সেমাই এক প‍্যাকেট, ঘি আধাকাপ, কনডেন্সড মিল্ক এক কাপ, নরম খেজুর কুচি এক কাপ (বীজ ছাড়ানো), গুঁড়া দুধ আধাকাপ, ড্রাই ফ্রুট

আধাকাপ।

ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   অল্প আঁচে কড়াইয়ে ঘি গরম করে ছোট করে সেমাইগুলো ভেঙে ঘির মধ্যে দিয়ে ভালো করে নেড়ে খেজুর দিয়ে মিলিয়ে নিন।

২.   এবার এতে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালো করে নেড়ে গুঁড়া দুধ ও ড্রাই ফুট দিয়ে সব উপকরণ ভালো করে মিলিয়ে নিন।

৩.   একটি ডিশে ঘি ব্রাশ করে খেজুর সেমাইয়ের মিশ্রণ সমান করে সেট করে নিন নরমাল টেম্পারেচারে।

৪.   ঠাণ্ডা হয়ে এলে পছন্দসই আকারে কেটে ওপরে বাদাম ও খেজুর দিয়ে পরিবেশন করুন চটজলদি চিনি ছাড়া মজাদার এই ঈদ স্পেশাল ডেজার্ট।

 

ছানার পায়েস

উপকরণ

১.৫ লিটার দুধ, আধাকাপ পোলাওর চাল, এক কাপ ছানা, দুটি এলাচ, আধাকাপ গুঁড়া দুধ, এক কাপ চিনি।

ঈদের সকালে মিষ্টি মুখ

যেভাবে তৈরি করবেন

১.   প্রথমে দুধ চুলায় বসিয়ে নিন এবং চাল আগে থেকে ভিজিয়ে রেখে আধাভাঙা করে নিন।

২.   এবার চাল দুধের সঙ্গে দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। এরপর এতে দুটি এলাচ দিন।

৩.   চাল সিদ্ধ হয়ে কিছুটা ঘন হয়ে এলে ছানা দিন। ছানা দিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে। এরপর এতে গুঁড়া দুধ দিয়ে আবারও ভালো করে নাড়ুন।

৪.   এবার এতে চিনি দিয়ে আবারও ঘন ঘন নাড়তে হবে। চিনি গলে এলে এবং মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার ছানার পায়েস।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ