সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে থাকছে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে থাকছে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা
ফাইল ছবি

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করা হয়েছে। ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা থাকছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতেই।

আরো পড়ুন
ধস নেমেছে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে

ধস নেমেছে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে

 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি হয়। শুনানি শেষে এই রায় দেন আদালত।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়।

পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে।

মার্শাল ল প্রক্লেমেশনে করা পঞ্চম সংশোধনীতে এক্ষেত্রে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংসদকে। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়।

সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

আরো পড়ুন
রাজধানীতে ঘন কুয়াশায় শীতের আমেজ

রাজধানীতে ঘন কুয়াশায় শীতের আমেজ

 

রুল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ।

 

পরে একই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্ত্রী, ৪ সন্তানসহ মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্ত্রী, ৪ সন্তানসহ মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, আয়েশা ফেরদাউস ও তাদের ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক আলী। সংগৃহীত ছবি

নোয়াখালী-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস, মেয়ে সুমাইয়া আলী ঈশিতা এবং দুই ছেলে আশিক আলী ও মাহতাব আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

দুদকের উপপরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ আলী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জন, খাসজমি দখলের মাধ্যমে ৫ তলা স্থায়ী বাণিজ্যিক হোটেল নির্মাণ এবং সন্দেহজনক লেনদেন বা মানি লন্ডারিংসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। 

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হত্যা মামলায় কাপড় ব্যবসায়ী দম্পতির যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হত্যা মামলায় কাপড় ব্যবসায়ী দম্পতির যাবজ্জীবন
ছবি: কালের কণ্ঠ

টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সদরঘাটের কাপড় ব্যবসায়ী কামরুল হাসান হত্যা মামলায় স্বামী সোহেল রানা ও তার স্ত্রী রুমা আক্তার ওরফে সুমনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন চায় ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন চায় ইসলামী আন্দোলন

 

এছাড়া হত্যার পর লাশ গুমের দায়ে তাদের আরও তিন বছর করে কারাদণ্ড, তিন হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তাদের কাছে আড়াই লাখ টাকা পেতেন। টাকা যেন না দিতে হয়, এজন্য তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে হাজির হন। সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন
সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে আটক করল বিএসএফ

সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে আটক করল বিএসএফ

 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম কামরুল হাসানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে তার খালা অ্যাডভোকেট রেহেনা পারভীন ঢাকার সিএমএম আদালতে ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। আদালত মামলাটি পল্টন থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

পল্টন থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। তবে ওই অভিযোগ পত্রে নারাজি দাখিল করেন রেহানা পারভীন। পরে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র পুলিশ পরিদর্শক হারুনর রশীদ তদন্ত শেষে দুইজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। তদন্তে কামরুল হাসানকে খুন করে লাশ ঘুমের রহস্য ওঠে আসে।
ভিকটিমের লাশ খণ্ডখণ্ড করে বস্তায় ভরে বিলের মধ্যে ফেলে দেয় তারা। ২০১৮ সালের ৫ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মন্তব্য
পিলখানা বিদ্রোহ

২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশ ৮ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশ ৮ মে
সংগৃহীত ছবি

পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাগারে আটক ২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ তারিখ এজাজের আদালত এ দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন
কুমিল্লা বোর্ড : এসএসসিতে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী বেশি ২৯ হাজার

কুমিল্লা বোর্ড : এসএসসিতে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী বেশি ২৯ হাজার

 

জানা গেছে, ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইব্রাহিম মিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

এজন্য মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জামিনের বিষয়ে কোনো আদেশ হয়নি। এ নিয়ে চারবার জামিনের বিষয়ে আদেশের তারিখ পেছাল। এর আগে, গত ১৩ মার্চ আসামিদের জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ১৬ মার্চ আদেশের জন্য রাখেন।
তবে ওইদিন আদেশ পিছিয়ে ১৭ মার্চ ফের আদেশের জন্য রাখা হয়। পরবর্তীতে ওইদিন আদেশ না দিয়ে ১০ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়।

আরো পড়ুন
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী নুরুল আবছার আটক

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী নুরুল আবছার আটক

 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। 

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।

যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরো ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।

অন্যদিকে, হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়। ২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে। 

আরো পড়ুন
থামছেই না অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, দেখার কেও নেই

থামছেই না অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, দেখার কেও নেই

 

গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেধে দিয়েছে সরকার।

মন্তব্য

অধিক ভিউ পেতে সন্তানদের ব্যবহার, সেই ‘ক্রিম আপা’র বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অধিক ভিউ পেতে সন্তানদের ব্যবহার, সেই ‘ক্রিম আপা’র বিরুদ্ধে মামলা
সংগৃহীত ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অধিক ভিউ পেতে এবং অনলাইনে টাকা আয়ের জন্য নিজের সন্তানকে ক্যামেরার সামনে এনে নানাভাবে নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগে ঢাকার সাভারের শারমিন শিলা ওরফে ‘ক্রিম আপা’র বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান আশুলিয়া থানায় শিশু আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

আরো পড়ুন
চাকরিজীবীদের টানা চার দিনের ছুটির সুযোগ

চাকরিজীবীদের টানা চার দিনের ছুটির সুযোগ

 

সাভারের বাইপাইল এলাকায় ‘ক্রিম আপা বিউটি পার্লার’ নামে শারমিন শিলার একটি বিউটি পারলার আছে। তিনি ভিডিওতে কিভাবে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে, তা জানান।

এর বাইরে কী রান্না করছেন, কী খাচ্ছেন—এসব নিয়ে ভিডিও করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় বসবাস করেন শারমিন শিলা ওরফে ক্রিম আপা। পেশায় তিনি একজন বিউটিশিয়ান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ক্রিম আপা নামে পরিচিত।

মেকআপের জন্য কাজ করাসহ বিভিন্ন রকম ক্রিম তৈরি করে বিক্রি করেন তিনি। তিনি নিজের ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করেন। গত ৩০ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যা ভাইরাল হয়।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, শারমিন শিলা তার মেয়ে শিশুকে (আনুমানিক দুই বছর) জোরপূর্বক এক হাত দিয়ে মুখে চাপ দিয়ে হাঁ করিয়ে মেয়ের অসম্মতিতে কেকজাতীয় কিছু খেতে বাধ্য করছেন।

শারমিন শিলা ভাইরাল হওয়ার জন্য এক বছর যাবৎ দুই শিশুসন্তানের প্রতি মাতৃসুলভ আচরণ না করে শিশুদের আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলাসহ তাদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। এমন আচরণের কারণে শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন  বলেন, ‘শিশু আইনের ৭০ ধারায় শারমিন শিলার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিশুকে আঘাত, উৎপীড়ন, ও অশালীনভাবে প্রদর্শন করার অভিযোগ করা হয়েছে। আসামিকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

তবে শারমিন শিলার দাবি, তিনি তার সন্তানদের কখনোই নির্যাতন করেননি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ