<p style="text-align:justify">দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">আজ সোমবার আদালতে আনিসুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। তার করা এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।</p> <p style="text-align:justify">গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে একাধিক মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ ছাড়া একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।</p> <p style="text-align:justify">গত ১ জানুয়ারি আনিসুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এ মামলায় আনিসুল হকের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করার অভিযোগ করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজ নামে ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৪৯ দশমিক ১৬ কোটি টাকা জমা ও ৩১৬ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা উত্তোলন বাবদ সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ, ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে-এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।</p>