<p style="text-align:justify">দেশের কোন কোন আদালতে এখনো লোহার খাঁচা আছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিবকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।  </p> <p style="text-align:justify">সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।</p> <p style="text-align:justify">এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘কোনো সভ্য সমাজে দেশি-বিদেশি কোনো আইনে এগুলো (লোহার খাঁচা) সমর্থন করে না। যা প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’</p> <p style="text-align:justify">আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেনে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. তানিম খান। </p> <p style="text-align:justify">রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ইতিমধ্যে কিছু কিছু আদালত থেকে লোহার খাঁচা সরানো হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">দেশের অধস্তন আদালত কক্ষে থাকা লোহার খাঁচা অপসারণে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী এই রিটটি করেন।</p> <p style="text-align:justify">রিটকারী ওই ১০ আইনজীবীরা হলেন জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সারোয়ার।</p> <p style="text-align:justify">পরবর্তী এই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সারা দেশে অধস্তন কোন কোন আদালতকক্ষে লোহার খাঁচা রয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে জানাতে রুলসহ নির্দেশ দেন।</p> <p style="text-align:justify">আদালতকক্ষে লোহার খাঁচার পরিবর্তে কাঠগড়া পুনঃস্থাপনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা বসানো কেন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১, ৩২ ও ৩৫-এর সাথে সাংঘর্ষিক হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়।</p>