দিলীপের সঙ্গে বৈঠক : দলীয় রোষানলে খোকন, ব্যাখ্যা চেয়ে বিএনপির নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দিলীপের সঙ্গে বৈঠক : দলীয় রোষানলে খোকন, ব্যাখ্যা চেয়ে বিএনপির নোটিশ
বাঁয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বিতর্কিত ডায়মন্ড ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও ডানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।

আওয়ামী লীগ নেতা বিতর্কিত ডায়মন্ড ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সঙ্গে গোপন বৈঠক করে দলীয় রোষানালে পড়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। দিলীপের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বিগত সরকার আমলের সাড়ে ১৫ বছরে অবৈধভাবে স্বর্ণ পাচারসহ নানা অপকর্মের পৃষ্ঠপোষকতা দিতে অর্থের লেনদেন বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বিএনপির নেতার কাছে। স্বর্ণ পাচার সিন্ডিকেটের শিরোমণি দিলীপকে সহযোগিতা করতে গিয়ে রীতিমতো রোষানলে পড়েছেন বিএনপির এই নেতা।

গতকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ নেতার কাছে পাঠানো চিঠিতে আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে খায়রুল আলম খোকন গতকাল সোমবার বিকেলে চিঠির জবাব দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, ‘আগরওয়ালা নামের ব্যক্তিকে তিনি কখনোই চিনতেন না। তার সঙ্গে পূর্বপরিচয়ও ছিল না।

ঘটনাটি একেবারেই আকস্মিক, যা তাকে রীতিমতো বিব্রত ও অপ্রস্তুত করেছে।’

চিঠির জবাবে খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘৩১ আগস্ট আনুমানিক রাত ৮টায় এনামুল হক দোলন নামের আমার এক আত্মীয় ফোন করে আমি কোথায় আছি জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে, আমি জানালে সে ক্রাউন প্লাজার রেস্টুরেন্টে এসে আমার সঙ্গে দেখা করে। দোলন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাবেক সভাপতি। আমার আদৌ জানা ছিল না দোলন আমার সঙ্গে দেখা করতে আসার নামে তার সঙ্গে অন্য কাউকে আনবে কি না।

কিন্তু ঘটনাস্থলে এসে দোলন তাদের সমিতির সংক্রান্ত সমস্যার কথা তুলতে গিয়ে দিলীপ আগরওয়ালা নামক জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। আগরওয়ালা নামের ব্যক্তিকে আমি কখনোই চিনতাম না, তার সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয়ও ছিল না। ফেসবুকে পোস্টের বর্ণনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে বাস্তবতা ও সত্যের লেশমাত্র মিল নেই। তবু আমাকে কেন্দ্র করে এসব বিষয়ের অবতারণা হওয়ায় মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছি ও বিব্রত হয়েছি।’

এদিকে গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা থেকে বিএনপির আরেক নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেন।

এরপর দলের নেতাকর্মীদের গাড়িবহরের সঙ্গে পেকুয়ায় পৌঁছেন তিনি। সেখানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে জানা যায়, সালাহউদ্দিন আহমেদকে বহন করা গাড়িটি বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর ফলে তাকে দলটির পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

পরে ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন। এর আগে রাজধানীর গুলশানের বাসায় সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এস আলম গ্রুপের গাড়িতে চড়ার ঘটনাকে ‘অসাবধানতা ও অনিচ্ছাকৃত’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদি দেশবাসীর মনে কোনো কষ্ট দিয়ে থাকি, অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকি সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সেই জুলহাসকে আবারও সহায়তা তারেক রহমানের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সেই জুলহাসকে আবারও সহায়তা তারেক রহমানের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানিকগঞ্জের যুবক জুলহাস মোল্লার তৈরি করা বিমানে নতুন ইঞ্জিন লাগানোসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে আবারও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। 

জুলহাস মোল্লা পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হয়ে ‘আলট্রা লাইট (আরসি)’ মডেলের একটি বিমান তৈরি করে সম্প্রতি দেশে-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। 

জীবনে নিজে কখনো বিমানে না চড়লেও তার এই অসাধারণ উদ্ভাবনী কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগাতে গত ৫ মার্চের আগে জুলহাস মোল্লাকে প্রথমবার আর্থিক সহায়তা পাঠান তারেক রহমান। 

গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলহাস মোল্লার হাতে এই আর্থিক সহায়তা তুলে দেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এতে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতা। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিন নসু, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্যসচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশের (অ্যাব) সাবেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সালাহউদ্দিন আহমেদ রায়হান প্রমুখ।

মন্তব্য

অল পার্টি ইকোনমিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে এনসিপি

বাসস
বাসস
শেয়ার
অল পার্টি ইকোনমিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে এনসিপি
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ফাইল ছবি

বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের পরিবেশ রক্ষায় সরকারকে অল পার্টি ইকোনমিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রতিনিধি দলের প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’-এ অংশগ্রহণ শেষে এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ ব্রিফিং করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা চ্যালেঞ্জের কথা আমাদের জানিয়েছেন।

আমরা তাদের আশ্বাস দিয়েছি, আগামীতে এনসিপির হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের দিকে যাবে। এজন্য বিনিয়োগকারীদেরও সহযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি, এনসিপি ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে সাথে নিয়ে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া তারা আমাদেরকে ব্লু ইকোনমি, হেলথ কেয়ার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতসহ বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্রের কথা জানিয়েছেন ।

এ সময় আমরা তাদেরকে আমাদের দেশে উচ্চপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করে শ্রমমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছি। বর্তমান এফডিআই প্রবাহ ১.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারে নিতে চাই, সে বিষয়ে তাদের সহায়তা চেয়েছি।’

মন্তব্য

বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা জানালেন খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা জানালেন খসরু
ঢাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আগামীতে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সকল ধরনের সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর জন্য বিডাতে (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ক্যাপ্টেন নিয়োগ দেওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত হোটেল সারিনাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অর্থনীতিতে যত ধরনের সংস্কার হয়েছে তার প্রায় সবগুলোই বিএনপির করা।

আগামী দিনের যে অর্থনীতি হবে সেটা মাথায় রেখে আমরা একটা পরিকল্পনা আগেভাগেই করেছি। আমাদের ভিশন ২০৩০-এ এর প্রতিফলন ঘটেছে। ৩১ দফার সংস্কারের মধ্যেও তার প্রতিফলন রয়েছে।’

‘সেটাকে মাথায় রেখে আমরা আমাদের দেশে আসা বিনিয়োগকারীদের বলছি আমরা কী কী পরিবর্তন আনব।

বিনিয়োগকারীদের বাধা-বিপত্তির মধ্যে যেন পড়তে না হয়, আগামী দিনে তার জন্য আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে চাই। তার মধ্যে একটি সিরিয়াস ডিরেগুলেশন করব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি মুক্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই। বিনিয়োগকারীদের এয়ারপোর্ট থেকে আনা থেকে শুরু করে তাদের বিনিয়োগ ও উৎপাদনে যাওয়া পর্যন্ত এবং উৎপাদনের পরবর্তী সময়ে তাদের সকল সুযোগসুবিধা যাতে ব্যাহত না হয় এজন্য আমাদের পরিকল্পনায় সবকিছু খুলে বলেছি।

তিনি আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ১৯৮০ সালে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আইন করেছেন। আমরা এখানে বাস্তবায়নের কথাও বলেছি। যেমন বিনিয়োগকারী আসার পরে তার প্রজেক্টটা শুরু করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তরের লাইসেন্সিংয়ের বিষয় আছে, অনুমতির বিষয় আছে। আমরা এর জন্য বিডাতে ইনভেসমেন্ট ক্যাপ্টেন বলে অনেকগুলো ক্যাপ্টেন দেব। প্রত্যেকটা ইনভেস্টরের জন্য একজন ক্যাপ্টেন থাকবে।

বিনিয়োগকারীকে কোনো অফিসে যেতে হবে না, কোনো মন্ত্রণালয় যেতে হবে না। ওই ক্যাপ্টেনকে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। যেমন লাইসেন্স এক সপ্তাহের মধ্যে, তাদের ভিসা অনুমতি এক সপ্তাহের মধ্যে। আমরা একটা সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছি, যাতে করে বিনিয়োগকারীর কোথাও যেতে হবে না।’

বিনিয়োগকারীদের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা এখন রি লোকেশন করার চেষ্টা করছেন। এজন্য তারা ভালো দেশ কোনটা সেটা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। সবাই রিক্যালিব্রেট করছে তাদের পলিসি। সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই প্রস্তুতি বিএনপি নিয়েছে আগামী দিনের জন্য। বিএনপি যখন ইপিজেড করেছে তখন এই সাব কন্টিনেন্টে এটা চিন্তাও করেনি। ঠিক একইভাবে আমাদের এই যে ভবিষ্যতের চিন্তা আমরা সকল দেশের চাইতে এগিয়ে থাকব এই অঞ্চলে। একইসঙ্গে এই সাব কন্টিনেন্টে সবার চাইতে প্রতিযোগিতামূলক থাকব। আন্তর্জাতিকভাবেও প্রতিযোগিতামূলক থাকব। আমরা মনে করি, আমাদের যে প্রস্তাবনা এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী দিনের বাংলাদেশে একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে বিশ্বাস করি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আগামী দিনের নির্বাচিত সরকার। কারণ বিনিয়োগ তো অল্প সময়ের জন্য নয়। সুতরাং, তারা জানতে চাচ্ছে আগামী দিনে আমাদের নীতিমালা কী হবে। সেগুলোই আমরা তাদের সামনে তুলে ধরছি। আমরা আশা করি, আমরা যে নীতিমালা প্রস্তুত করেছি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি সবসময় বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চায়। এজন্য জিয়াউর রহমানের নীতির মধ্যে প্রথমেই ছিল বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং উন্নয়ন মানে উৎপাদন। এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বিনিয়োগের বিকল্প কিছু নেই। বিএনপির জন্ম থেকেই এই ধারণা নিয়েই আমাদের রাজনীতি। এজন্য বিনিয়োগের স্বার্থে দেশের সকলের একটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকা উচিত। যে কারণে আমরা এই বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আমাদের পক্ষ থেকে তাদের আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতা থেকে চলে যায়, আজ থেকে ১৭-১৮ বছর আগে, আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.০৭%। প্রবৃদ্ধি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সেই ধারা অব্যাহত থাকলে এখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে থাকার কথা ছিল। কিন্তু বিগত সরকারের মিস ম্যানেজমেন্ট ও দুর্নীতির কারণে সেটা ধ্বংস হয়ে গেছে।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, তাজভীরুল ইসলাম, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য হুমায়ুন কবির, ড. মাহাদি আমিন ও বিএনপির আন্তর্জাতিক সহ পরামর্শ কমিটি সদস্য ইসরাফিল চৌধুরী খসরু।

মন্তব্য

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সংগঠক দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাঁকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটির নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী দিলশাদ আফরিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের শৃঙ্খলা ও আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

সব অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব (ভারপ্রাপ্ত) আখতার হোসেনের অনুমোদনক্রমে দিলশাদ আফরিনকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব আল আমিন (বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব) সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎসহ বেশি কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
প্রতিদ্বন্দ্বী ভার্সাচিকে ১.৩৭ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিচ্ছে প্রাদা

প্রতিদ্বন্দ্বী ভার্সাচিকে ১.৩৭ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিচ্ছে প্রাদা

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ