<p style="text-align:justify">খ্যাতিমান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব (মিনার)-কে নতুন আহ্বায়ক নির্বাচিত করেছে এবি পার্টি। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লতিফের ক্ষমতার নাটাই ছিল চট্টগ্রাম চেম্বারে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728441219-0a3fa386ddccd491455221e1980b8fe9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লতিফের ক্ষমতার নাটাই ছিল চট্টগ্রাম চেম্বারে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/09/1433370" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><br />  <br /> গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) জরুরী ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের  (এনইসি) এক সভার পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনারকে পার্টির আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। তিনি দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একটি বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র অধ্যাপক। </p> <p style="text-align:justify">সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা দলের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার মেডিক্যাল সেন্টার গুলোতে ঘুরে ঘুরে তিনি আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা তদারকি করেন। তাছাড়া দেশের যেকোন দূর্যোগ দুর্বিপাকে খাদ্য ও চিকিৎসা সাহায্য নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে চলা এই মানুষটি ইতোমধ্যে একজন সামাজিক ও মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্যবসায়ীদের আতঙ্কগ্রস্ত করার সুযোগ নেই" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/09/1728440615-18e2999891374a475d0687ca9f989d83.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্যবসায়ীদের আতঙ্কগ্রস্ত করার সুযোগ নেই</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2024/10/09/1433368" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, এবি পার্টির আহ্বায়ক, অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৮ অক্টোবর ২০২৪ইং সন্ধ্যা ৬ টায় পার্টির আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর পরপরই গণমাধ্যমে এএফএম সোলায়মান চৌধুরী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদের আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। </p> <p style="text-align:justify">বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোন রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হতে হলে ব্যক্তির রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পরিহার করতে হয়। এবি পার্টির গঠনতন্ত্রেও কোন নেতার একইসাথে দলীয় পদ ও সরকারী দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই। সরকারী পদ গ্রহণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দলীয় পদ ত্যাগ করতে হয়। কয়েক সপ্তাহ আগে এবি পার্টির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামও দল থেকে পদত্যাগ করেন এবং এরপর তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। </p> <p style="text-align:justify">সোলায়মান চৌধুরীর পদত্যাগের প্রেক্ষিতে নতুন আহ্বায়ক নির্বাচনের জন্য ৮ অক্টোবর রাতে দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের জরুরী সভা আহ্বান করা হয়। এতে দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.)  আব্দুল ওহাব মিনারকে সর্বসম্মতিক্রমে দলের নতুন আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">এসময় কাউন্সিল সভায় দলের যুগ্ম আহ্বায়ক  অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কাসেম, এম হারুনুর রশীদ, বিএম নাজমুল হক, লে. কর্ণেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্ণেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার খান আজম, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানাসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">২০২০ সালের ২ মে নতুন দল হিসেবে এবি পার্টি আত্মপ্রকাশ করে। দলের সূচনালগ্নে এএফএম সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মজিবুর রহমান মঞ্জুকে সদস্যসচিব করে দলটির ২২২ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। </p> <p style="text-align:justify">বহু জল্পনা কল্পনার পর চলতি বছরের ২১ আগস্ট দলটি সরকারের নিবন্ধন লাভ করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য নতুন এই রাজনৈতিক দলটি বেশ আলোচিত হয় ও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।</p>