ঢাকা, শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫
১৫ চৈত্র ১৪৩১, ২৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫
১৫ চৈত্র ১৪৩১, ২৮ রমজান ১৪৪৬

গণ অধিকার পরিষদের একাংশের নাম পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গণ অধিকার পরিষদের একাংশের নাম পরিবর্তন
সংগৃহীত ছবি

আগ্রাসনবিরোধী লড়াই সুসংহত করতে গণ অধিকার পরিষদের একাংশ নাম বদল করে ‘আমজনতার দল’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুরানা পল্টনে প্রতীম জামান টাওয়ারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ পাওয়া দলটির আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান এ তথ্য জানান।

দলটির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বনির্ভর অর্থনীতি ও সুশাসনে সমৃদ্ধি’। এ ছাড়া আমজনতার দলের তিনটি মূলনীতি।

এগুলো হচ্ছে সার্বভৌমত্ব, স্বনির্ভর ও সুশাসন।

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে গণ অধিকার পরিষদ তার নাম পরিবর্তন করে এখন থেকে আমজনতা দল নামে পরিচিত হবে। এই পরিবর্তন আমাদের আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের সাংগঠনিক রূপান্তরের প্রতীক এবং জনগণের সঙ্গে আরো সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি নতুন প্রয়াস।’

আরো পড়ুন
দেশে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

দেশে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

 

পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যায় আমজনতা দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘গণ অধিকার পরিষদ বেশ কিছু নৈতিক ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নের দুই ভাগে বিভক্ত হয় ২০২৩ সালের ২০ জুন।

কাছাকাছি দুই দলের একই নাম হওয়ায় আমাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছিল।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, আজ থেকে আমার মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের অংশের নাম ‘আমজনতার দল’ নামে পরিচিত হবে।

আরো পড়ুন
দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকদের উদ্দেশে যা বললেন গভর্নর

দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকদের উদ্দেশে যা বললেন গভর্নর

 

মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের দলের ৭ সহযোদ্ধা জীবন দান করেছেন, শতাধিক আহত হয়েছেন। আমাদের দলটি অতীতে যেমন ছাত্র, যুবক, প্রবাসী, পেশাজীবী এবং পেশাজীবী নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করছ, ভবিষ্যতেও একইভাবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন রেজা কিবরিয়া। এক পর্যায়ে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের নেতৃত্বে দলটির একাংশ এবং মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বে অপরাংশ গঠিত হয়।

আরো পড়ুন
দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন

দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন

 

নুরুল হক নূর ও মিয়া মশিউজ্জামানের দুই গণ অধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে যুগপৎভাবে বিএনপির সাথে আন্দোলন করে।

নূরের গণ অধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনও পেয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা হেফাজতে ইসলামের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা হেফাজতে ইসলামের
সংগৃহীত ছবি

আগামী ৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, মোদীবিরোধী আন্দোলন ও ছাত্রজনতার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনসহ আওয়ামী লীগের আমলে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) কেন্দ্রীয় খাস কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এদিন বিকেলে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থসম্পাদক মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী,‌ প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী প্রমুখ।

সভায় পরামর্শক্রমে ৫ মে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, ২০২১ সালে মোদী বিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের ছাত্রজনতার ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আমলে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ মে শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে সংগঠনটি। 

এছাড়া আগামী জুন মাসে সব জেলা ও মহানগর প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় গৃহীত আরেক প্রস্তাবে বলা হয় যে, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করুন।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার বিচার দ্রুত হওয়া দরকার : এ্যানি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শেখ হাসিনার বিচার দ্রুত হওয়া দরকার : এ্যানি
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

‘ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর দুর্নীতি-দুঃশাসন তৈরি করেছে। এর বিচার দ্রুত হওয়া দরকার। বিচার না হলে শেখ হাসিনা আবারও সুযোগ গ্রহণ করবে। যদি আরেকবার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে, আগের চেয়ে বেশি অত্যাচার করবে।

এ জন্য আমাদেরকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’

আজ শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা মহিলা দলের ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। জেলা শহরের পুরাতন গোহাটা রোডের বশির ভিলা মিলনায়তনে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন
১৪ বছর ধরে বন্ধ ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্র

১৪ বছর ধরে বন্ধ ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্র

 

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আপনাদের চোখের সামনে বেগম খালেদা জিয়াকে কি পরিমাণ অত্যাচার-নির্যাতন করেছে তা দেখেছেন।

মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর জেলখানায় রেখেছে। আজকে তিনি অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবুও ওনার এখনো যথেষ্ট মনোবল ও সাহস আছে। এখনো পর্যন্ত তিনি আমাদেরকে মনোবল ও সাহস দিয়ে যাচ্ছেন যে, “তোমরা হাসিনার বিচারের জন্য যদি আন্দোলন না করো এবং বিচার প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সংস্কার প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া যদি না করো, তাহলে এ দেশে গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী হবে না”।
আমাদের প্রত্যাশা দেশে একটা স্বাভাবিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হলে মানুষের মনে স্বস্তি আসবে।

আরো পড়ুন
ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন দেখা যাচ্ছে : ডা. ইরান

ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন দেখা যাচ্ছে : ডা. ইরান

 

তিনি বলেন, তারেক রহমান একটি স্পেশাল ফ্যামিলি কার্ড চালু করার কথা বলেছেন। এ কার্ড পরিবারের গৃহকত্রীর নামে আসবে। সে কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য সহযোগিতা ও একটি পরিবারে যতটুকু সুবিধা সব পাওয়া যাবে।

এ ধরনের সুবিধাগুলো পেতে হলে একটা নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা প্রয়োজন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. হাছিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ও সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন আক্তার।

মন্তব্য

ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন দেখা যাচ্ছে : ডা. ইরান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন দেখা যাচ্ছে : ডা. ইরান

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, সম্প্রতি ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের শক্তির মধ্যে বিভক্তি, বিভাজন ও দোষারোপের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করছি। দেশের সাধারণ মানুষ বিভাজন বা বিভক্তি নয়, ইস্পাত কঠিন ঐক্য দেখতে চায়। জনগণের এই আকাঙ্খা বুঝতে না পারলে পরাজিত অপশক্তি সুযোগ পাবে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকাল রাজধানীর বাতামতলী ফলপট্টি ঘাটে কোতোয়ালি থানা লেবার পার্টির আয়োজনে পথচারীদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. ইরান বলেন, জনগন দোষারোপের রাজনীতির অবসান চায়। জুলাই অভ্যুত্থান ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট। এই গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ছাড়া সকল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক ও মানবতাবাদী শক্তি সমর্থন দিয়েছে। একই সঙ্গে রাজপথে অংশ নিয়েছে।

রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য বিবৃতিতে আরও সংযম ও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। কারণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যার্থ হলে, এই জাতি ব্যার্থ হবে। আমরা সাম্য, সুবিচার ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় কোনো দুরত্ব নেই।
আমরা শোষণমুক্ত, মানবিক বাংলাদেশের জন্যই ১৯৭১ ও ২০২৪ সালে লড়াই করেছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জোহরা খাতুন জুঁই, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সভাপতি মো. সুমন ভুঁইয়া, লেবার পার্টির দফতর সম্পাদক মো. মিরাজ খান, ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা লেবার পার্টির আহবায়ক মো. আনিস মোল্লা, সদস্য সচিব মো. জীবন প্রমুখ।

মন্তব্য

গণহত্যার বিচার দেরি হলে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে : আখতার

রংপুর অফিস
রংপুর অফিস
শেয়ার
গণহত্যার বিচার দেরি হলে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে : আখতার
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন

জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বত্র আমূল সংস্কার এখন সময়ের দাবি। গণহত্যার বিচার বর্তমান সময়ে একটি কাঙ্ক্ষিত বিষয়। এই বিচার দেরি হলে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে রাষ্ট্রকে আরেকবার অস্থিতিশীল করবে। তাই দেশ থেকে গণহত্যা নির্মূল করতে হলে ফ্যাসিবাসের দোসর আওয়ামী লীগের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রংপুর জেলা পরিষদ হলরুমে জাতীয় নাগরিক পার্টির আয়োজনে ফ্যাসিস্ট বিরোধী রাজনীতিবিদ, ছাত্র জনতা, শ্রমিক  পেশাজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ আল গালিব, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকাত আলীসহ এনসিপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা ও মহানগরের নেতারা।

আরো পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টা কাল পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন

প্রধান উপদেষ্টা কাল পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন

 

আখতার বলেন, আমরা যারা তরুণরা সামনের দিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের দায়িত্বের গ্রহণ করতে চাই, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণ তাদের পরামর্শ ও তাদের সমর্থন নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি সারা দেশে কার্যক্রম শুরু করেছে।

তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা চান আখতার। একই সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির বন্দোবস্তের আহ্বান সর্বত্র পৌঁছে দিতে নিজ দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি বলেন, অতীতে উত্তরাঞ্চলের মানুষ সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছে। সেই বঞ্চনা দূর করতে বিপ্লব পরবর্তী জাতীয় নাগরিক পার্টি নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে হাজির হয়েছে।

আগামীতে রংপুরে হাইকোর্টের আঞ্চলিক সেবা, শ্রমঘন শিল্পায়ানে বিশেষভাবে কাজ করবে নতুন ছাত্র সমাজের এই দলটি। 

উত্তরাঞ্চলের বৈষম্য নিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি'র) যে নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে তারা পুরো বাংলাদেশে সমানভাবে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাগুলো পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে। 

আরো পড়ুন
গাছের ওপর রাগ ঝাড়লেন বিএনপি নেতা!

গাছের ওপর রাগ ঝাড়লেন বিএনপি নেতা!

 

‎বিচারের জন্য উত্তরাঞ্চলের মানুষকে ঢাকায় যেতে হয়, জজ কোর্টের রায় শেষ হলে, হাইকোর্টের রায় পেতে ঢাকায় যাওয়ার যে কষ্ট সে কষ্ট থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়া দরকার। এ কারণে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে। একই সাথে জেলা শহরগুলোর বাইরে এসে উপজেলা শহরগুলো যেন বিচারব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটানো হয় সে ব্যাপারেও আমরা দাবি জানিয়ে আসছি।

 

‎আমরা আশা করব, এখানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যেসব রাজনৈতিক পক্ষ আমরা একত্রিত হয়েছি, আমাদের রাজনৈতিক মত-পথ আদর্শ আমাদের কর্মসূচিতে ভিন্নতা থাকবে। কিন্তু রংপুরের স্বার্থে দল-মত নিবিশেষে আমাদের সকলকে  আওয়াজ তুলতে হবে।

‎বাংলাদেশের স্বার্থে যেমন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আমাদের সকলকে একত্রিত থাকতে হবে, রংপুরের স্বার্থে, রংপুরের প্রশ্নে, রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে এসেও আমাদের সকলের মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ