ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে ভারত : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে ভারত : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী

শেখ হাসিনাকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ কথা বলার সুযোগ দিয়ে ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপরে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে দ্রোহের গ্রাফিতির প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভারত তাকে (শেখ হাসিনা) আশ্রয় দিয়েছে সেটা দিতে পারে। কিন্তু তাকে ফ্রি হ্যান্ড দেয়া যে সে বলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে…  পার্শ্ববর্তী দেশে থেকে উনি উসকানি দিচ্ছেন, একটা অরাজকতা তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তাকে সাপোর্ট করছে ভারতের পলিসিমেকাররা।

এটা অদ্ভুত ব্যাপার।’

‘এটা তো বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ, ভয়ংকর রকমের হস্তক্ষেপ। এটা একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ওপরে আরেকটি রাষ্ট্রের এরকম অবস্থান এটা তো চরমভাবে আান্তর্জাতিক রীতি-নীতি সমস্ত কিছু লঙ্ঘন করে এই কাজটা করছে।’

রিজভী বলেন, ‘আমার অবাক লাগে যে, ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন নির্লজ্জের মতো ওখানকার মিডিয়া, কিছু সাংবাদিক সেই এক ধরনের বয়ান তৈরি করছে... শেখ হাসিনা যেমনটি করেছেন… সেই ফ্যাসিস্টদের পক্ষ অবলম্বন করে এই বয়ান তৈরি করছে।

তাতে মনে হচ্ছে যে, অনেক দিনের গুপ্তধন তারা যেটা সঞ্চয় করেছে সেই গুপ্তধন যেন হাতছাড়া হয়ে গেছে।’

‘আজকে গণতন্ত্রের পথরেখা অনুযায়ী গণতন্ত্রের চর্চা-অনুশীলন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যে বিকাশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এটা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না শুধুমাত্র শেখ হাসিনাই নয়, ভারতের পলিসি মেকাররাও। এটা কেনো? একটি গণতান্ত্রিক দেশের কাছ থেকে তো এটা আমরা আশা করতে পারি না।’

প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘তাদের(ভারতের) কেউ কেউ খাপছাড়া টাইপের কিছু মানুষ তারা বলছেন যে, বাংলাদেশ আর থাকবে না।

পার্শ্ববর্তী একটি স্বাধীন দেশ সেটা থাকবে না সেই কথাটা এলাউ করছে কি করে ভারতের নীতিনির্ধারকরা?’

প্রতিবিপ্লবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমাদেরও সবাইকে গণতান্ত্রিক শক্তির স্বপক্ষের লোকদেরকে সর্তক পদক্ষেপ রাখতে হবে। কোনো নৈরাজ্যের কারণে কেউ যাতে কোনো সুযোগ না নিতে পারে….এটাও মনে রাখতে হবে প্রতিবিপ্লব উঁকিঝুঁকি মারে সবসময়… এই উঁকিঝুঁকি যাতে দিতে না পারে।’

‘আমাদের কাছে তো দৃষ্টান্ত আছে। আমরা বৃটেনের বিপ্লব দেখেছি সেখানে রাজা চালর্সের ছেলে আবার সে রাজা হয়ে এসেছে শুধু মাত্র কিছু ভুলের কারণে, ফ্রান্সের যে বিপ্লব হলো লুই সিক্সটিন গিলোটানাইজড হলো, তার ছেলেও একবার প্রত্যাবর্তন করেছিলো শুধুমাত্র ভুলের কারণে। আমাদের কাছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিপ্লবের পরবর্তী যে ভুলগুলো সেটা যেন না হয়… সেটা দেখলে পরে আর কখনো প্রতিবিপ্লব হবে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের রাস্তায় দিয়ে এগিয়ে যাবো। আমরা দেশবিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব বিরোধী… আমাদের ইতিহাস-সংস্কৃতি আবহামান বাংলার যা কিছু আছে সেটার চর্চা-অনুশীলন এবং সেটিকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কখনোই অন্যের হস্তক্ষেপকে মেনে নেবে না।’

‘এভাবেই এগুতে হবে। আমাদের যে পরিবর্তন এটাকে সংরক্ষণ করতে হবে নানা কাজের মধ্য দিয়ে।’

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘আজকে যারা খুনিদের পক্ষে বিবৃতি দেয় তারা বুদ্ধিজীবী না, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। খুনি-ফ্যাসিবাদ যাতে আর বাংলাদেশে আসতে না পারে সে জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ ও বাসসের প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে কালো অধ্যায়’

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
‘ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে কালো অধ্যায়’
সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের জন্য ‘মহামূল্যবান সম্পদ’ উল্লেখ করে গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেছেন, ‘তাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে দেশের জন্য কালো অধ্যায়।’

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন। 

ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো চাঁদাবাজি, মামলাবাজি বা মাদকবাজি দেখতে চায় না। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা চাঁদাবাজি-মামলাবাজিতে মেতে উঠেছেন।

তারা যদি মনে করেন আওয়ামী লীগ স্টাইলে চাঁদাবাজি, মামলাবাজি চালিয়ে জনগণকে দাবিয়ে রাখবেন, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’ 

আরো পড়ুন
বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস

বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস

 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা এলাকায় মাদকের বিস্তার ঘটিয়েছে, ছোট ছোট বাচ্চাদেরও মাদকাসেবী বানিয়েছেন। বিগত সরকারের নেতারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি।

ভবিষ্যতে আর কোনো মাদক কারবারিকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। বর্তমান সরকার জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা তাদের দায়িত্ব।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
শেয়ার
কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের স্পিড হচ্ছে, অন্যায়-জুলুম-চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। কিন্তু কেউ কেউ ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে ক্ষমতা লোভী হয়ে নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।’

বুধবার বিকেলে বসুরহাট ইসলামীয়া কামিল মাদরাসা মাঠে নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির (দক্ষিণ) শাখার আয়োজনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে তা কখনো সফল হবে না। আবারও দেশপ্রেমিক সৎ ও খোদাভীরু নির্ভিক তাকওয়ার গুণাবলি সম্পন্ন ছাত্র-জনতা নব্য ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে রক্তদান ও শহীদ হতে প্রস্তুত।’

আরো পড়ুন
দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান

দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান

 

শিবির সভাপতি বলেন, ‘যাদের রক্ত ও আত্মদানের ফলে আজ মুক্ত বাংলাদেশে কথা বলছেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, সে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। আর যদি ভারতীয় প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের চেয়েও কঠিন ভাগ্যবরণ করতে হবে।

ইতিহাস এটাই বলে, এটাই সত্য।’

নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসুল ফুয়াদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মিছবাহুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসাইন, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভার আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, মাদরাসা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির দক্ষিণের অফিস সম্পাদক গোলাম আজম টিপু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাকিল হোসেন সম্রাট প্রমুখ।

সমাবেশের আগে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন শিবির সভাপতি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান
ফাইল ছবি

জামায়াতকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘দুই পারসেন্ট লোক নেই। পায়ের ওপর পা তুলে কথা বলে। ইউএনও চলে তার কথায়, ডিসি চলে তার কথায়। প্রশাসন চলে তার কথায়।

একলা নির্বাচন করলে ৩টা সিট পাবে না, কিন্তু ৩০০ সিটের পাওয়ার দেখাইতেছে এখন। পুরো প্রশাসন দখল করে বসছে। কেন? বাপের বেটা অইলে ইলেকশনে আসো। ইলেকশনে দেখা যাবে বাংলাদেশের মানুষ কারে দায়িত্ব দেয়।
তখন বেটাগিরি করো।’

মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের ইটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি জামায়াতের আমিরকে জিজ্ঞেস করব, আমি একটা কথা মিছা কইছি কি না? তাহলে আপনার শিবির ও জামায়াতের কর্মীরা আমারে এত বকাবকি করে কেন? আমারে ফজু পাগলা কয় কেন? ঠিক আছে আপনারা পাল্লা (দাড়িপাল্লা প্রতীক) নিয়া করবেন, আমরা ধানের শীষ নিয়া করব। পাবলিককে ডিসিশন নিতে দেন।

পাবলিক যারে ভোট দেব, হে দেশ চালাইব।’

আরো পড়ুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি

 

তিনি বলেন, ‘খালি বকাবকি করেন কেন? আর পেছন দিক দিয়ে কালো অন্ধকারে বসে কুটকুট করেন কেন? ১০ বছর কেমনে বিনা ভোটে থাকা যায়। কারণ জানেন, ভোট করলে জামানত থাকবে না। কূটকৌশল করে ক্ষমতায় থাকতে চান। এইটা কইলেই ফজলুর রহমান খারাপ।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফজলুর রহমান বলেন, ‘কলাগাছ কি বটগাছের চেয়ে বেশি উঁচু হয়? অনির্বাচিত সরকার কি নির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেশি আইন পাবে? কাজেই আমরা চাই না, এই দেশে অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকুক।’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আগে কইছে ডিসেম্বর মাসে ভোট  দেব। কয়দিন পরে গলা টাইনা বলে ইলেকশন ছয় মাস দেরি করে জুন মাসে দেব। জুন মাস যখন হয়ে যাবে, তখন বলবে আরে জুন মাসে তো আওয়ামী লীগের জন্মদিন। এ মাসে ফ্যাসিস্টদের জন্ম। এই মাসে তো কোনো ইলেকশন হইতে পারে না। এরপরে কইব, আগস্ট-সেপ্টেম্বর, এটাতে তো আমরা আন্দোলন করছিলাম, বিপ্লবের মাস। সেই মাসে ইলেকশন হবে না। আরেকটু পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হোক। এইভাবে ইলেকশন টেনে কূটকৌশল করে পিছাইতেছে। কারণ, তারা জানে, ইলেকশন অইলে বিএনপি ৮০ ভাগ ভোট পাবে। যেই কারণে ইলেকশন দিতে চায় না।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছে জুলাই আন্দোলনের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ অবস্থা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে ও অস্থির করে তুলছে বলেও অভিযোগ তাদের।

বুধবার (২ এপ্রিল) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তরে সংযুক্ত) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত আন্তঃসংঘর্ষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ মার্চ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্থানীয় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে হামলার শিকার হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহিরের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা। এতে তার হাত ভেঙে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।

২৪ মার্চ নোয়াখালীর হাতিয়ায় পথসভা ও জনসংযোগের সময়ে স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের ওপর হামলা চালান। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এনসিপির কর্মী-সংগঠকদের নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজনৈতিক কারণে হামলার বিরুদ্ধে কথা বললেও এবং অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হলেও এ ধরনের হিংস্র কার্যকলাপ থেমে নেই। এনসিপির নেতারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ