সারজিসের অভিযোগ ভিত্তিহীন : ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সারজিসের অভিযোগ ভিত্তিহীন : ছাত্রদল
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তার দেওয়া বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন এ দাবি করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির জানান, গত বুধবার রাত ১০টার পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সারজিস আলমের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ছাত্রদলের নাম জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, দেশের যে কোনো জায়গায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ছাত্রদলের নাম জড়ানোর একটি দুরভিসন্ধিমূলক প্রবণতা লক্ষ্য করছি। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

তিনি বলেন, নবগঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করার অভিযোগে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশের দিনেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে সংঘর্ষ হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কথা দেশের সব সচেতন মানুষের অবগত।

আগের রেষারেষির জের ধরেই সম্প্রতি সারজিস আলম শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সারজিস আলমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধের সূত্রপাত জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যকার 'ঢাবি বনাম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়' এর চলমান অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সারজিস আলম এ ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দিতে ছাত্রদলকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত।

ছাত্রদলের সভাপতি আরো বলেন, সারজিস আলম তার পোস্টে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের 'সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতকারী এবং টোকাই' উল্লেখ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন। আমরা তার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তার বক্তব্য জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন ত্যাগকে মর্যাদাহানি করা হয়েছে। আমরা তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল না।

তাছাড়া সারজিস আলমের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো বিরোধ হয়নি। উল্টো সারজিস আলমের শোডাউনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যার আসামিদেরকে দেখা গেছে। এভাবেই জাতীয় নাগরিক পার্টি ও তাদের ছাত্রসংগঠনে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন হচ্ছে। আমরা নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের নিন্দা জানাই।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জাতীয় নাগরিক কমিটির ফতুল্লা থানার নারী সদস্য বহিষ্কার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
জাতীয় নাগরিক কমিটির ফতুল্লা থানার নারী সদস্য বহিষ্কার
ফাইল ছবি

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের আদর্শের পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার এক নারী সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই নারী সদস্যের নাম দিলশাদ আফরিন । বৃহসম্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন। 

এর আগে গত ৮ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ জারি করা হয়।

বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী দিলশাদ আফরিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে, তাকে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

তিনি আরো বলেন, ‘আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না।’

বহিষ্কারের বিষয়ে দিলশাদ আফরিন বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

এ বিষয়ে আমি পরে কথা বলবো।’

মন্তব্য

জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ
সংগৃহীত ছবি

জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে আরো একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ। তিনি এই রাজনৈতিক দলের প্রধান উদ্যোক্তা।

আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান জুনায়েদ। এই প্ল্যাটফরমটির লক্ষ্যও জানিয়েছেন তিনি।

ওই পোস্টে আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, “জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত হতে যাওয়া আসন্ন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরমের নাম আমরা ঠিক করেছি ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’। জুলাইয়ের আকাঙ্খা বলতে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি, যেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে প্ল্যাটফরমটি এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

দলের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘পিলখানা, শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ এবং জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার দাবিতে জনমত ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা এই প্ল্যাটফরমের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে বিবেচিত হবে।’

বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠাকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুনর্গঠন এই প্ল্যাটফরমের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা বলে জানিয়েছেন জুনায়েদ।

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে পেশিশক্তির দাপট, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনৈতিক অর্থনীতির যেই বৃত্ত, দীর্ঘ মেয়াদে আমরা তা উপড়ে ফেলতে চাই। ৪টি রাহুগ্রাস থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার অঙ্গীকার থাকবে এই প্ল্যাটফরমের প্রস্তাবনায়—ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শক্তির এই প্ল্যাটফরমটি।

প্ল্যাটফরমের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক আজাদি এবং বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তাবনা থাকবে জানিয়ে জুনায়েদ বলেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এই উদ্যোগে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। আসুন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গঠনের এই সংগ্রামে শামিল হই।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের স্মারকলিপি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিবিরের স্মারকলিপি
সংগৃহীত ছবি

গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

বৃহস্পতিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতিনিধির হাতে হস্তান্তর করেন কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী।

আরো পড়ুন
স্ত্রী, ৪ সন্তানসহ মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্ত্রী, ৪ সন্তানসহ মোহাম্মদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় এইচআরএম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভারতীয় ষড়যন্ত্রে আনন্দ শোভাযাত্রাকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপান্তর : হেফাজতে ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতীয় ষড়যন্ত্রে আনন্দ শোভাযাত্রাকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপান্তর : হেফাজতে ইসলাম
সংগৃহীত ছবি

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘সর্বজনীনতা’র নামে সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

সংগঠনটির নেতাদের দাবি, পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রাকে পরবর্তী সময়ে ভারতীয় ষড়যন্ত্রে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তারা ইউনেসকোর স্বীকৃতির পুনর্বিবেচনা ও ভুল সংশোধনের জন্য সংস্থাটির কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিবছরই তাদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে সাড়ম্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালন করে থাকেন। সংখ্যালঘুর যেকোনো ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা ও অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু পহেলা বৈশাখ উদযাপনে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই ধর্মাচারকে তথাকথিত ‘সর্বজনীনতা’র নামে সবার ওপর চাপিয়ে দিয়েছে ফ্যাসিস্ট সেক্যুলার বাঙালি জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী। মূলত আমাদের জাতীয় চেতনা ও ঐতিহ্য থেকে মুসলিম সংস্কৃতি ও ভাবধারাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে এই সেক্যুলার সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ সেক্যুলার ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।  

তারা আরো বলেন, ১৯৮৯ সালের পহেলা বৈশাখে প্রথম পালিত আনন্দ শোভাযাত্রাকে পরবর্তীতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ দেয়াকে আমরা ভারতীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখি। ঢাবির চারুকলা সব সময় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করলেও পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে জাতিসংঘের ইউনেসকো পহেলা বৈশাখের বানোয়াট মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘অধরা সাংস্কৃতিক ঐহিত্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তাই ইউনেসকোর স্বীকৃতির পুনর্বিবেচনা ও ভুল সংশোধনের জন্য সংস্থাটির কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

 

হেফাজত নেতারা বলেন, প্রাথমিক সমাধান হিসেবে ‘মঙ্গল’ শব্দ পরিবর্তন করে পহেলা বৈশাখের আদি ও আসল আনন্দ শোভাযাত্রা ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখতে পারে সরকার। আনন্দ শোভাযাত্রা অন্তত সাম্প্রদায়িক ছিল না। জাতীয় উৎসব উদযাপনে যেকোনো ধরনের মূর্তিবাদী সংস্কৃতির আমরা বিরোধিতা করি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশে জাতীয় কোনো উৎসবে ইসলামের তৌহিদি চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোনো চিহ্ন রাখা যাবে না। সেকুলারদের বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের বিভিন্ন দেবতা ও ধর্মীয় পশু-পাখির মূর্তি ও প্রতিকৃতিতে সয়লাব থাকে।

অথচ সেক্যুলার হয়েও তাদের এতে কোনো সমস্যা হয়না। কিন্তু নানাভাবে ইসলামবিদ্বেষ প্রকাশে ঠিকই তারা তৎপর। হাজার বছরের সংস্কৃতির মিথ্যা দাবিতে তারা সব সময় মঙ্গল শোভাযাত্রার দালালি করেছে। আমরা এসব বিজাতীয় সংস্কৃতি চর্চা ঠেকাতে ইসলামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান করছি।            

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ