তৈরি পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করেছিল ওবামা প্রশাসন। পোশাক খাতে কাজের পরিবেশের উন্নতি হলেও এখনো জিএসপি বিবেচনা আশ্বাসের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এরই মধ্যে আবার জিএসপি পুনর্বিবেচনায় আবারও ‘আশ্বাস’ দিল যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে করোনাকালে যেসব মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাকের ক্রয় আদেশ বাতিল করেছে, তাদের তালিকা পাঠানো হলে এ বিষয়ে মার্কিন সরকার সহযোগিতা করবে বলেও জানানো হয়েছে।
জিএসপি পুনর্বিবেচনায় আবারও ‘আশ্বাস’ দিল যুক্তরাষ্ট্র
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা)’-এর ইন্টারসেশনাল সভায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এই আশ্বাস দেওয়া হয়। বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া ক্রিস উইলসনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল এই সভায় অংশ নেয়।
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে জিএসপি প্রকল্প চালু করে যুক্তরাষ্ট্র।
সভায় বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফের চালুর আহ্বান করা হলে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বলেন, আগে ঘোষিত বিভিন্ন দেশের জন্য মার্কিন জিএসপি সুবিধা প্রকল্পের মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হবে। পরে এই প্রকল্প চালু হলে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করার সুযোগ আছে বলে জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, বাণিজ্য বাড়াতে সভায় তৈরি পোশাক, হালকা প্রকৌশল পণ্য, স্বাস্থ্য খাতের পণ্য রপ্তানি, করোনাকালে তৈরি পোশাকের ক্রয় আদেশ বাতিল না করা, ভ্যাকসিনসহ অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রী উৎপাদন, শিল্প-কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর, কারিগরি সহযোগিতা বাড়ানোসহ বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তুলা রপ্তানির জটিলতা নিরসন, ই-ওয়াস্ট রেগুলেশন সংশোধন, দেশের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড সংশোধন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাণিজ্য চালু, মার্কিন পণ্য আমদানি শুল্ক কমানোসহ বিভিন্ন বিষয় উত্থাপন করা হয়।
বারবার আশ্বাস দিয়েও জিএসপি না দেওয়ায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের জিএসপির কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা যতই অগ্রগতি করি না কেন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেবে না। সব শর্ত পূরণ করা হলেও যুক্তরাষ্ট্র এ সুবিধা দেবে না। আর আমাদের সুবিধার প্রয়োজনও নেই।’
প্রসঙ্গত : টিকফার ষষ্ঠ সভা যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পর্কিত খবর

শূন্য করের রিটার্ন কমাতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘অনেকেই শূন্য করের রিটার্ন দেয়, তাদের আয় আছে কিন্তু তারা রিটার্ন দেয় না। এটা কমাতে হবে। ভ্যাটের ক্ষেত্রে আমরা একবারে সিঙ্গেল রেটে আসতে পারব না।’
আজ রবিবার সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আইএমএফের মূল কনসার্ন হলো রেভিনিউ জেনারেট ও বাজেটের আকার কত হবে, ডেফিসিট কত হবে, আপাতত এসব নিয়ে আলাপ হয়েছে। এসব নিয়ে সামনে আরো আলাপ হবে। বাংলাদেশের লোন রেভল্যুশন নিয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ বলেছে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। তবে সঠিক দিকেই আছে। সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ‘রেভিনিউতে আমাদের লিকেজ আছে। সেটা কমাতে হবে। জিডিপির রেশিও কমাতে হবে।

দেশে রিজার্ভ বেড়ে ২৫.৬২ বিলিয়ন ডলার
অনলাইন ডেস্ক

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.৬২ বিলিয়ন ডলারে। রবিবার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫৬২৫.৩৮ মিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৬২ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০৪৬০.৫২ মিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৬ কোটি ৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
এর আগে মার্চ মাসের ২৭ তারিখ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, সেদিন পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫৪৪০.৮৮ মিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০২৯৬.৯৩ মিলিয়ন বা ২ হাজার ২৯ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
এদিকে গত মার্চ মাসে দেশে এসেছে ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে কোনে এক মাসে সর্বোচ্চ।

সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়নি বৈঠকে
অনলাইন ডেস্ক

বোতলজাত সয়াবিনের দাম একলাফে লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা; আর খোলা সয়াবিনের দাম বাড়াতে চান লিটারে ১৩ টাকা। গত ২৭ মার্চ এই সিদ্ধান্তের কথা সরকারকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
আজ রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা আজকের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে আরেকটি বৈঠক হবে।’
আগামী মঙ্গলবার আবারও ভোজ্য তেল পরিশোধন কারখানার মালিকদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে জানা গেছে।

বাংলাদেশে ব্যবসার অনুমোদন পেয়েছে স্টারলিংক
অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংককে বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এ কথা জানান।
বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে কাজ করতে হলে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) থেকে নিবন্ধন নিতে হয়।
তিনি বলেন, ‘গত মাসের ২৯ তারিখ আমরা অনুমোদন দিয়েছি।