কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছর এ খাতের ১১ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে রপ্তানি বিলিয়ন ডলার হবে। আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলারের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে কাজ করছে দেশের এ খাতের উদ্যোক্তারা।
প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য ২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘দশম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডস দূতাবাস বাংলাদেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আন্দ্রে কার্স্টেনস, ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, চীনা দূতবাস বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলর সং ইয়াং, মেলা কমিটির চেয়ারপারসন এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, বাপার সভাপতি মো. আবুল হাশেম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইকতাদুল হক, অ্যাগ্রো বাংলাদেশে এক্সপোর আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, রিমস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চাঁনমোহন সাহাসহ বাপার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনব্যাপী মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা বড় রপ্তানির টার্গেট নিন। সে জন্য ইপিবি সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে। যেকোনো সহায়তা, বিদেশ বা অন্য কোনো সরকারি দপ্তরের সঙ্গে রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজনে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
এ সময় কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য খাতের কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ খাতগুলোর পণ্যের প্রসার আরো বিস্তৃত করতে হবে। আমি সম্প্রতি গালফ ফুড ফেয়ারে গিয়ে আপনাদের পণ্য দেখেছি।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি দুই বছরে দুই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এটা কঠিন নয়, আমাদের প্রতিটি কম্পানির যে বিশেষত্ব, পণ্য বৈচিত্র্য, প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবল রয়েছে তারা সেটা করতে পারবেন। সে জন্য আরো বেশি বেশি সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সম্প্রতি আমাদের সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, এ জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি, এ পণ্য রপ্তানি বাড়াতে আরো সহায়ক হবে।’
বাপার সভাপতি এম এ হাশেম বলেন, ‘ফুডপ্রোতে এবার ২২টি দেশের ২০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য এবং সেবা প্রদর্শন করেছে। এ ছাড়া প্রচুর বিদেশি ক্রেতা এবার মেলায় অংশ নিয়েছে। কারণ এ বছর আমরা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সহযোগিতার প্রায় প্রতিটি দেশের এমবাসির মাধ্যমে সেসব দেশের ব্যবসায়ীদের জানিয়েছিলাম। এতে ভালো সাড়া পেয়েছি।’
সম্পর্কিত খবর

বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫.৪৪ বিলিয়ন
অনলাইন ডেস্ক

ঈদকে কেন্দ্র পরিবরের জন্য বেশি বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে চলতি মার্চ মাসের রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে। এর আগে গত ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার নেমে এসেছে।
মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ।

আজ যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা
অনলাইন ডেস্ক

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল টানা ৯ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকছে। তবে পোশাক খাতে কর্মরতদের বেতন দেওয়ার সুবিধার্থে আজ শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা ছিল। তবে লেনদেন চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন-পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আজ শনিবার শিল্প এলাকায় ব্যাংকের শাখা দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর মধ্যে ১টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে।
২৪ মার্চ কিছু ব্যাংক শাখা খোলা রাখার বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় তফসিলি ব্যাংকের সব শাখা ও উপশাখা বন্ধ থাকবে।
এদিকে শিল্প এলাকায় যেসব ব্যাংক খোলা রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধিমোতাবেক ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এখনও ঈদ বোনাস দেয়নি ২৯৯টি পোশাক কারখানা
অনলাইন ডেস্ক

এখনও ১০২টির মতো গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল কারখানায় শ্রমিকদের এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মজুরি পরিশোধ করা হয়নি বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ। এসব কারখানার মধ্যে ৩০টি জানুয়ারি এবং তার আগের মাসের মজুরিও পরিশোধ করেনি। শ্রমিকদের দাবি, দ্রুত বকেয়া মজুরি ও বোনাস পরিশোধ করা না হলে তারা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।
শিল্প পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশে নিটওয়্যার ম্যানফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ) এবং বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনস অথরিটির (বেপজা) আওতাধীন দুই হাজার ৮৯০টি কারখানার মধ্যে দুই হাজার ৭৮৮টি কারখানার শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে।
শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রতি মাসের বেতন পরবর্তী মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা তা করেনি, যা শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ তৈরি করেছে।
এদিকে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এক হাজার ১৭৯টি কারখানা মার্চ মাসের বেতনের অর্ধেক অগ্রিম পরিশোধ করেছে। দুই হাজার ৫৯১টি কারখানা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দিলেও ২৯৯টি কারখানা এখনও বোনাস দেয়নি।
শিল্প পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে পাটকল ও অন্যান্য কারখানাসহ মোট ৯ হাজার ৬৯৫টি কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে আট হাজার ৩৯টি ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে, তবে চার হাজার ৩৫২টি এখনও মার্চ মাসের বেতন দেয়নি। যা মোট কারখানার ৪৫ শতাংশ।

ফের বাড়ল সোনার দাম
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বাজারে আবারো বাড়ল সোনার দাম। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম এক হাজার ৭৭৩ টাকা বেড়ে এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।
আজ শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ মূল্য বৃদ্ধির তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।
নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে এক লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে, অপরিবর্তীত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫৮৬ টাকা।