<p style="text-align:justify">জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাফ ভাড়া না নিয়ে হয়রানি করার ঘটনায় ভিক্টর ক্লাসিকের ১২টি বাস আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসব বাস আটকে রাখা হয়।</p> <p style="text-align:justify">পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভিক্টর ক্লাসিকের মালিক পক্ষের লোক এসে মুচলেকা দিয়ে বাস ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তারা জানায়, ভবিষ্যতে এমন আচরণ আর করব না। এমন আচরণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত মেনে নিব।</p> <p style="text-align:justify">শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৪ অক্টোবর গুলিস্তানে হাফ পাস নিয়ে তর্কবিতর্কের সময় হেনস্তার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাত এশা। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার হেনস্তার ঘটনাটির বিস্তারিত লিখে পোস্ট করেন। পোস্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জান্নাত এশা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যেভাবে হেলে পড়ে পিসার টাওয়ার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/19/1729336182-14939ae5ea7393c2c3d87500dc254a36.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যেভাবে হেলে পড়ে পিসার টাওয়ার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/19/1436800" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ‘গত ১৪ অক্টোবর আমি নতুন বাজার (বাঁশতলা) থেকে ভিক্টর ক্লাসিক বাসে উঠি। আমার সঙ্গে আমার ছোট বোন ছিল। কিছুক্ষণ পর হেলপার ভাড়া চাইতে এলে আমি সদরঘাটের হিসেবে ৩০+৩০=৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে দিই। আর বলি যে লাস্ট স্টপেজে নামব। তখন সে বলে, এটা গুলিস্তান পর্যন্ত যাবে। আমি বললাম, তাহলে টাকা ফেরত দেন। তখন শুরু হয় ঝামেলা। তার মতে, নতুনবাজার থেকে গুলিস্তান বা সদরঘাট দুই জায়গার ভাড়া নাকি একই।</p> <p style="text-align:justify">পরে বললাম, আমি স্টুডেন্ট হাফ ভাড়া কাটেন। তাদের নাকি আবার হাফ ভাড়া কাটারও সিস্টেম নেই। এরপর বললাম, গুলিস্তান থেকে অন্য ভিক্টরে উঠলেও তো জনপ্রতি ১০ টাকা করে নেবে। ওই টাকা ফেরত দেন। আর আমি জগন্নাথের স্টুডেন্ট। আপনারা তো ঘুরে ওখানেই আসবেন। তখন দেখবোনে, আপনারা স্টুডেন্ট ভাড়া কাটেন কি না। তখন চালক বলে যে এরা বহু ঝামেলা করে, ধইরা নামায় দে।’</p> <p style="text-align:justify">এশা বলেন, ‘আমি চিল্লাচিল্লি করি যে হাফ ভাড়া কাটেন। নইলে গুলিস্তান পর্যন্ত ২০ টাকা করে রাখেন। পরে সামনের দিকে এক লোক বলে যে ঠিকই তো, আপনি স্টুডেন্ট ভাড়া কাটেন, নইলে টাকা ফেরত দেন। পরে সবার চিল্লাচিল্লিতে হেল্পার ১০ টাকা ফেরত দিয়ে যায়।</p> <p style="text-align:justify">আমি স্টুডেন্ট পরিচয় দেওয়ার পরও তারা হাফ ভাড়া কাটেননি। সমস্যা হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়ার পরও আমি কেন এমন হেনস্তার স্বীকার হব? গাড়ি গুলিস্তান পর্যন্ত আসার কথা। কিন্তু জিপিওতে আসার পর যানজটে পড়ার কারণে অনেকে নেমে যাচ্ছিল। তাই আমিও নেমে পড়ি, যেহেতু সঙ্গে ছোট বোন ছিল।’</p> <p style="text-align:justify">ঘটনার বিষয়ে ভিক্টর ক্লাসিকের মালিক পক্ষ থেকে আসা মোহাম্মদ দুলাল, শাহ আলম গোপালসহ অনেকেই আসেন। তাদেরকে ঘটনার বিষয়ে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। প্রক্টর বরাবর তিন দিনের সময় নিয়ে একটি মুচলেকা দেন।</p> <p style="text-align:justify">মুচলেকায় খোকন মিয়া লেখেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ করব না। করলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যারের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’</p> <p style="text-align:justify">জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজ্জামুল হক বলেন,  ‘মালিক পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এর ভেতর তারা ওই অভিযুক্ত হেল্পারকে হাজির করবে বলে জানিয়েছে।’</p>